আমাদের সারাদিনের বেশির ভাগ সময়ই কর্মক্ষেত্রে কাটাতে হয়। আর এই কর্মক্ষেত্রটা সুন্দর স্বাচ্ছন্দময় হোক এটা কে না চায়। সুন্দর পরিবেশের ১ টা কর্মক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারে বিরক্তের কারণ আমাদের কিছু অসচেতনতার কারণে। যেসব কারণে অন্যের বিরক্তের কারণ হয়ে উঠতে পারে এরূপ কিছু কারণ উল্ল্যেখ করছি -
ধূমপান : কর্মক্ষেত্রে অনেকেই ধূমপান করেন আবার অনেকেই ধূমপান করেন না। যারা ধূমপান করে না তাদের কাছে ধূমপান কালিন বা ধূমপান পরবর্তী গন্ধটা অনেক বিরক্ত লাগে। অনেকে বাইরে থেকে শেষ টানটা দিয়েই মুখে ধূয়া নিয়েই কর্মস্থলে চলে আসেন। সেক্ষেত্রে কর্মস্থল দুর্গন্ধ হয়ে যায় এবং আপনি অনেকের বিরক্তের কারণ হবেন।
মোবাইল রিং : কর্মস্থলে অনেকেই মোবাইল এর রিং এর ব্যাপারে অসচেতন। রিং সাউন্ড অনেক বেশি বা এমন ১ টা রিং সাউন্ড দিয়ে রাখেন, মোবাইল রিং বাজলে অন্যের কাজের মনোযোগ নষ্ট হয় এবং সেই সাথে সে চরম বিরক্ত হন। এ ব্যাপারে অবশই খেয়াল করা উচিৎ যেন মোবাইল রিং এর শব্দে অন্যের কাজের মনোযোগ নষ্ট না হয়। এ ক্ষেত্রে সাউন্ড কমিয়ে রাখা বা ভাইব্রেশন মুড ব্যবহার করা উঠিত।
মুখের দুর্গন্ধ : অনেকের মুখে দুর্গন্ধ আছে। আর সে দুর্গন্ধ হয়ে উঠতে পারে অন্যের বিরক্তের কারণ। এ ব্যাপারে একটু সচেতন হলেই এই বিরক্তকর পরিস্থিতি থেকে বেঁচে থাকা যায়। যখন কোনো কিছু উপস্থাপন করতে হয় তখন মাউথ স্প্রে বা সুগন্ধী কিছু ব্যবহার করা। পাশের ব্যাক্তির কাছে যেন দুর্গন্ধ না পৌঁছায় সে জন্য সচেতন থাকা। মুখে হাত দিয়ে কথা বলা যেতে পারে।
বগলের দুর্গন্ধ : বগলের দুর্গন্ধ অন্যের কাছে বিরক্তের একটা অন্যতম কারণ। এ ব্যাপারে একটু সচেতন হলেই এই বিরক্তকর পরিস্থিতি থেকে বেঁচে থাকা যায়। স্প্রে বা সুগন্ধী কিছু ব্যবহার করে এ সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।
শব্দ করে কিছু খাওয়া : অনেকে খাবার সময় চপাক-চপাক ধরণের শব্দ হয় যা অন্যের কাছে খুবই বিরক্তকর। একটু সচেতন হলেই এই অভ্যাস দূর করা সম্ভব।
খেতে খেতে কথা বলা : অনেকে খাবার খেতে-খেতে কথা বলে। এটাও শুনতে খারাপ লাগে। হয়তো এটাও অন্যের কাছে বিরক্তের কারণ হতে পারে। এ ব্যাপারে একটু সচেতন হওয়া উচিত। খাওয়া শেষ করে কথা বলা অথবা কথা বলা জরুরি হলে খাওয়া বন্ধ করে দেয়া উচিৎ।
মুখের ভিতরে হাত দেয়া : অন্যের সামনে মুখের ভিতরে হাত দিয়ে দাঁত অথবা মুখ পরিষ্কার করা। এটাও হতে পারে কর্মস্থলে অন্যের বিরক্তের কারণ। এরূপ প্রয়োজনে ওয়াশ রুম এ যাওয়া উচিত বা যদি পরিস্থিতি এমন হয় যে এটা করা জরুরি তাহলে মুখের সামনে অন্য হাতের তালু দিয়ে ঘিরে রাখা উচিত।
এগুলো ছাড়াও অনেক কারণ আছে যেগুলোর ব্যাপারে সকলকে সচেতন হওয়া জরুরি। সকল সময় খেয়াল করা উঠিত আমার কোনো আচরণে অন্য কেউ যেন কষ্ট না পায়, তাহলেই কর্মস্থল সহ সকল জায়গা হয়ে উঠবে সুন্দর ও শান্তিময়।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:২৫