''মানবতাবাদী'' কথাটার বিশালতা অনেক।ফেসবুকে আমি 'মানবধর্ম' পালন করি- লিখে রাখলেই আপনার মানবধর্ম পালন শেষ হয়ে যায়না । মানুষ ছড়িয়ে আছে পৃথিবীর সবখানে , নিগৃহীত হচ্ছেও সর্বত্র । আপনি শুধু পাকিস্তানি বালিকার স্কুলে না যেতে পারার কষ্ট নিয়ে ফেসবুকে মানবধর্মের প্রচার করে যাবেন,এর পাশাপাশি ইজরাইলি মিসাইলের আঘাতে লুন্ঠিত মানবতার কথাও বলতে হবে।
বলতে হবে সেই সব শিশুর কথা যারা বিমান হামলার ভয়ে রাত কাটায় বাংকারে,যাদের বিশ্রামের রাত কেড়ে নিয়েছে ব্ল্যাকআউটের সাইরেন। আপনাকে বলতে হবে সেই সব শিশু 'মানবের' কথা যারা স্কুলে যেতে পারেনা কারন তাদের স্কুল ধ্বংস হয়েছে রকেটে । আপনি ভুলে যেতে পারবেন না সেই সব শিশুর কথা,যারা নিজের একটি দেশ পাওয়ার জন্য যুদ্ধে নামার আকাঙ্খায় জন্ম নেয়।আপনাকে সেই সব শিশুর কথা বলতেই হবে,কারন এইসব শিশুর জন্ম পাকিস্তানে নয়,তাদের বন্ধুদেশও আমেরিকা নয়।
মালালাকে অবরুদ্ধ হয়ে থাকতে হয় নি কোনো সেনাদল দ্বারা,রেশনের যৎকিঞ্চিত খাবারের জন্য তাকে চিন্তিত থাকতে হয় নি প্রতিনিয়ত। তার চোখের সামনে নিয়মিত খুন হয়ে যেতে দেখেনি বাবা-মা কে, অথবা প্রতিবেশীদের। স্কুলে যাওয়ার প্রতিবন্ধকতা ছাড়া মালালা ইউসুফজাইকে আর কোন সমস্যায় পড়তে হয়নি,অথচ প্যালেস্টাইনের শিশুরা জন্ম থেকেই খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থান-শিক্ষা এবং নিজের একটি পতাকার জন্য যুদ্ধ করে যাচ্ছে , বলে যাচ্ছে ,
You might rob me of my last inches of land…
And throw my youth to years of imprisonment…
You might put out a flame in my darkest night…
And deprive me of my mother’s kiss…
You might rob me of a fragment of my dreams…
And deprive our children of the joy of celebrating a Eid with new clothes..
You might build around me walls and walls, enemy of the sun..!
But, I will never compromise..!
And to the very last pulse in my veins, I will fight..!
মালালা ইউসুফজাই'র জন্য ক্রন্দন যদি মানবতার জন্যই হয়,তবে প্যালেস্টাইনের এইসব শিশুর জন্যও আপনার মুখ খুলতে হবে। আমি বিশ্বাস করি মানবতা কোন স্থান-কাল-পাত্র ভেদে পরিবর্তনশীল নয়।যে মানবতা পাকিস্তানের বুলেটবিদ্ধ বালিকার জন্য কথা বলে,সেই মানবতা প্যালেস্টাইনের রকেটবিদ্ধ শিশুর জন্যও বলবে।যে মানবতা মুসলিম মালালার জন্য বলেছে,সেই মানবতাই মুসলিম প্যালেস্টাইনি শিশুর জন্য বলবে। বলতেই হবে ।