দ্বিতীয় জীবন পাওয়ার আগে আমি বুঝেনি
প্রথম প্রেম মৃত্যু দিয়ে আঁকা ছিল ,
এক খণ্ড অবসর বিষের কাঁটার মত বিধেঁছিল
যখন ছেড়ে গেছে আবেগ উচ্ছলতার অস্তিত্ব ।
আমাকে আমি শহরের সবচেয়ে অপাংক্তেয় মানুষ
ভাবতে শুরু করেছিলাম,
শীর্ণকায় যুবকের মাঝে আর আমার মাঝে
কোন পার্থক্য খুঁজে পাচ্ছিলাম না আমি ।
জীবিত সব উষ্ণ অভ্যর্থনা মৃত হিসেবে
আবির্ভূত হচ্ছিল আমার কাছে ।
শহরের সব পরিচিত মোড়গুলো
যেখানে ফুলের পসরা নিয়ে বসতো দোকানীরা
তা আমার কাছে অপ্রয়োজনীয় মনে হতো ।
সব অকল্পনীয় স্রোতগুলো আমার কাছে
কল্পনার আধার হয়ে উঠতে লাগলো ।
আশ্রয়হীন হয়ে পরতে লাগলাম শহরের পরিচিত গলি
রাস্তায় রেস্তোরা পার্কে তোমার সঙ্গ না পাওয়ায় ।
সব এক নিমেষে উবে যাচ্ছিল ,
অনুভূতির চারদেয়ালে ক্রমাগত নিস্তরঙ্গ ঢেউয়ের স্রোত
খেলে যাচ্ছিল তোমার থেকে অনেক অনেক দূরে
সরে যাওয়ার জন্যে ।
ক্রমাগত ধূসর হয়ে আসছিল
চোখের সামনে দেখা পথ ।
রক্তের হিমশীতলতা কুরে কুরে খাচ্ছিল
নিউরনের অবস্থানগুলোকে ।
গোলাপী রঙ আর কালোর মধ্যে বাস্তবিক আমি
কোন পার্থক্য খুঁজে পাচ্ছিলাম না ,
প্রতিটি দেয়াল যেন তোমার কথা বলতে শুরু করলো ,
প্রতিটি রাস্তা যেন তোমার হেঁটে যাওয়া পথের অস্তিত্ব
জানান দিচ্ছিল ।
অথচ আমি খুব বোকার মতন
তখনো তোমার ভালোবাসার আবেগে নিমগ্ন ,
তখনো বুঝতে পারেনি
ওই দেয়ালের মাঝে তোমার নাম আর আমার নাম
যোগ চিহ্ন দিয়ে লিখতে
সামনে থেকে তোমার অনুমতি লাগবে ।
তুমি তার জন্যে তিরস্কার করার অধিকার
নিয়ে রেখছো ,
রাস্তার পথ ধরে হাতের মুঠোয় হাত বন্দী
কল্পনাতীত ।
তোমার পথ এ রাস্তা মাড়াবেনা আর
সেখানে অজস্র অপেক্ষা থাকবেনা অপেক্ষায় তোমার জন্যে।
শিশির ভিজে যাওয়া পথে কোন নান্দনিকতার অর্থ ঘুরবেনা
জীবন এঁকে যাওয়া মাঠে ।
সব ধূসর সব অপাংক্তেয় এখন তোমার কাছে ,
রাস্তার মোড়ে চায়ের কাপের টুংটাং শব্দের সাথে
আমার দ্বিতীয় মৃত্যু অপেক্ষা করছে ।
তোমার জন্যে ভালোলাগার অনেক মৃত্যু ঘটিয়েছি ,
বুকের ভেতর থেকে বুক ক্ষতবিক্ষত করেছি
তোমার এক মুহূর্তের অবস্থানের লোভে ।
কত বিক্ষিপ্ত রাতে কবিতা আমি লিখে ফেলেছি রক্তের ফোঁটার স্রোতে ,
সেখানে তোমার নাম ছিল আমার প্রথম মৃত্যু ছিল ।
সেখানে প্রথম প্রেম ছিল দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে ।
সেই মৃত্যুর এপিটাফ লিখে গেছো তুমি নিজ হাতে ।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:২২