ঘটনাস্থল দিনাজপুর - ঢাকা হাইওয়ের পাঁচবাড়ি নামক স্থানে। সময় বিকেল ৫.৩০। চিরিরবন্দর থানার দল্লা বানিয়াখাড়ি, ঢাকইল স্থানে বন্যাদুর্গতদের জন্য ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছিল হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোমী ছাত্রছাত্রী। পাঁচবাড়ি হাইওয়ে বন্যার পানিতে ভেঙে যাওয়ায় এক লেনে গাড়ি চলছিল। বিকাল ৫.৩০ এ ঐ ভাঙা স্থানে দিনাজপুরের উদ্দেশে একটি আর্মড পুলিশের গাড়ি আসে , আর্মড পুলিশের গাড়ির সামনে একটি লোকাল বাস এবং বিপরীত পাশে অবস্থান করছিল হাবিপ্রবির বন্যাদুর্গতদের ত্রাণের গাড়ি। সন্ধ্যা নেমে আসছিল দেখে হাবিপ্রবির ত্রাণের গাড়িটি আগে ভাঙা অংশ পার করার জন্য কিছু ছাত্র নেমে রাস্তা ক্লিয়ার করতে যায়। ওই গাড়িতে পুলিশ ছিল কেউ জানতো না। গাড়িটিকে সাইড করতে বলা হলে ভিতর থেকে এক পুলিশ এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে থাপ্পড় মারে। ঐ পুলিশ বলেন যে , আগে আমাদের গাড়ি যাবে তারপর অন্যান্য গাড়ি যাবে। ছাত্রছাত্রীরা বলেন যে, আমরা ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছি, ৪০০ মানুষ আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তুু পুলিশ এই কথায় গুরুত্ব দিলো না। ইতমধ্যে বাসের বাকি ছাত্ররা নেমে এসে থাপ্পড় মারার কারণ জানতে চান। কিন্তুু তিনি কোনো কথা না বলে তাদের গাড়িটি সামনের দিকে নিতে বলেন। ছাত্ররা এতে বাধা দিলে প্রায় ৪০-৫০ জনের মত পুলিশ গাড়ি থেকে নেমে ছাত্রদের রাইফেল দিয়ে বেধড়ক মারতে থাকেন। প্রায় ৩০ ছাত্রকে তারা আহত করে। ছাত্ররা পিছিয়ে গেলে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের ভেতরে অবস্থানরত ছাত্রীদের উপর হামলা চালায়। স্থানীয় কয়েকজন এবং এক পুলিশ অফিসার এতে বাধা দিলে তারা চলে এবং শিবির বলে গ্রেপ্তারের ভয় দেখায়।
এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের দোষ কোথায়! অন্যায় ভাবে পুলিশের গাড়ি আগে যেতে না দেয়া কি আমাদের অপরাধ!! তারা পুলিশ বলে কি জঘন্যতম অপরাধ করেও পার পেয়ে যাবে!
এই ঘটনার আমি তিব্র প্রতিবাদ জানাই।
এই ঘটনাটি কাল প্রধানমন্ত্রী কে জানানো হক।
তথ্যসূত্র: সংগৃহীত( ফেসবুক গ্রুপ "পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আমরা" )
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৩২