আমাদের সমাজে দুই শ্রেনীর ব্যক্তি হরহামেশা চোখে পরেঃ
১. যারা যোগ্য এবং প্রতিভাবান ব্যক্তির মূল্যায়ন করতে জানে।
২. যারা যোগ্য ব্যক্তির যোগ্যতা কে এবং প্রতিভাবন ব্যক্তির প্রতিভাকে নানা ভাবে প্ররচিত করে।
প্রথম শ্রেনীর মানুষগুলো সত্যি প্রশংসার দাবিদার ।
কেননা তারাও নিস্বন্দেহে যোগ্য ব্যক্তি তাই তারা যোগ্য ব্যক্তির কদর করতে জানে।
পক্ষান্তরে ২য় শ্রেনীর ব্যক্তিগুলোকে কিভাবে শ্রেনী ভুক্ত করা যায় তা আমার জানা নাই।
এই সকল ব্যক্তির এমন ব্যবহারে অন্যতম প্রধাণ কারণ ঈর্ষা ।
আর ঈর্ষা আ্সে অযোগ্যতা থেকে ।
কেননা যে ব্যক্তি সত্য কোন কিছু করার যোগ্যতা রাখে তার মনে কখনো ঈর্ষা ঠাই পায় না।
ধরুন আপনি লেখালেখি করেন বা অন্যের লেখা পড়তে ভালবাসেন ।
আর আপনি অবশ্যই মানবেন লেখালেখি এক ধরনের যোগ্যতা সম্পন্ন এবং প্রশংসাযোগ্য কাজ!!লেখালেখিতে দক্ষতার প্রয়োজন অত্যবশ্যকিয়।
দক্ষতার প্রতিফলন হয় কিন্ত্ যোগত্যা থেকে ।
আর অন্যের লেখা নিজের ভালোলাগানোটাও কিন্তু একধরনের যোগ্যতা!!
আপনি যখন দেখবেন অন্য একজন মোটামুটি দক্ষতার সাথে লিখে যাচ্ছে তখন নিশ্চয় তা দেখে ঈর্ষান্বিত হবেন না???
কেননা আপনার মাঝে সেই যোগ্যতাটা বিদ্যমান।
আবার সেই লেখালেখি যদি ঐ ব্যক্তির কাছের কোন অযোগ্য ব্যাক্তির চোখে পরে এবং সেই লেখার যদি দু একটাও প্রশংসাও পায় তবে সেই প্রশংসা তার কাছে চক্ষুশুল মনে হবে ।
সে ঈর্ষাই মরিয়া হয়ে উঠবে ।
এবং সে নিজের ভারসাম্য হারিয়ে যত্র তত্র পাগলের প্রলাপ বকে যাবে।
কিন্তু এতে করে যোগ্য ব্যক্তিরা মোটেও বিচলিত হয় না। কেননা তাদের নিজ যোগ্যতার উপর যথেষ্ট আস্থা থাকে ।
আর এই কটুক্তিকারক ব্যক্তিকে মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী ভেবে মায়া করে , কারণ এই ঈর্ষা থেকেই এই কটুক্তি এসেছে ।
আর ঈর্ষা একধরনের মানসিক রোগ।
তাই প্রতিটা ঈর্ষান্বিত ব্যক্তির প্রতি সেই সব ব্যক্তির গুড উইস
#Jealousy_is_a_mental_disease_get_well_soon
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩০