ঐতিহ্যই হবে অভিশাপ
নদীমাতৃক দেশ বাঙলাদেশ। একসময় নদীই ছিলো যার প্রাণ। কালক্রমে শুধু কিছু অসাধু মানুষের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে দেশের ঐতিহ্যবাহী নদী শতিলক্ষ্যা। ‘প্রাচ্যের ড্যাণ্ডি’ নামে খ্যাত নারায়ণগঞ্জের এই নদী এক সময় ছিলো সৌন্দর্র আধার, সুপেয় পানির নিরাপদ উৎস। কিন্তু বর্তমানে এ নদীর ভয়াবহ অবস্থা দেখলে একদিকে যেমন চরম কষ্ট হয় তেমনি অপর দিকে প্রশাসনিক অসাধু কর্মকর্তাদের অপতৎপরতা দেখে রাগে, ক্ষোভে, বাকরুদ্ধ হতে হয়। ২৮ এপ্রিল ‘দৈনিক বাংলাদেশ সময়’ পত্রিকায় ‘দূষণে বিপন্ন শীতলক্ষ্যা’ নামক শিরোনামে যে খবরটি পেলাম তা পড়ে আমার মনে হলো এখানে আমরা কেন বসে আছি? রাজনীতি নিয়ে এতটাই ব্যস্ত আমরা যে সুস্থ্য থাকার, পরিবেশকে সুস্থ্য রাখার কথা পুরোপুরি বিস্তৃত হয়েছি। আজ শীতলক্ষ্যা, বাড়ু আর বুড়িগঙ্গার পানি কালো আলকাতরায় পরিণত হয়েছে, টন টন মাছ মরে ভেসে উঠছে পানিতে, ছড়াচ্ছে বিদঘুটে দুর্গন্ধ। আমরা দেখছি, শুনছি, ছি ছি করছি অথচ এ থেকে উত্তরণের কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছি না। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের নদী ঐতিহ্যই আমাদের অভিশাপ হবে। ধ্বংস করবে জনজীবন।
অসাধু কর্মকর্তারা শুধু কিছু মুনাফার জন্য ধ্বংস করছে প্রকৃতি, নদী, ঐতিহ্য। তারা তো এ্রর বিভৎস প্রতিফল প্রত্যক্ষভাবে উপলব্ধি করতে পারছে না, যে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে জনসাধারণকে।অথচ এর প্রতিবাদে কেউ এগিয়ে আসছে না।কিন্তু কিসের ভয়ে? অত্রে এলাকার বড় বড় প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এর সাথে জড়িত রয়েছে তার ভয়ে? যদি তাই হয় তবে অবস্থা আরো ভয়াবহ রূপ পরিগ্রহ করবে অচিরেই। এক শীতলক্ষাই বাংলাদেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিতে অগ্রণী হয়ে উঠবে।
কিন্ত আমরা কি পারি না কিছু অসাধু, স্বার্থান্বেষী ব্যবসায়ী আর কর্মকর্তাদের হাত থেকে আমাদের ঐতিহ্যকে বাঁচাতে? পারি না কি কঠোর ভাবে আন্দোলন করে নদী দূষণ থামাতে? সুধী জনের কছে আমার অনুরোধ, আপনারা সোচ্চার হউন, আসুন আমরা সোচ্চার হই, ঐতিহ্যকে অভিশাপ থেকে রক্ষা করি
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৪৮