নিচের লেখাটির কিছু অংশ ১৬ই ডিসেম্বর,২০১৬ তে প্রকাশিত ।লেখাটি পুনরায় দিলাম এর সাথে কিছু অংশ যোগ করবো বলে ।
১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের তাৎপর্য কি ছিলো ?
অর্থনৈতিক মুক্তির ও নিজেদের জাতিগত পরিচয় ফিরে পাবার জন্য একটা ভূখন্ডকে স্বাধীন করা।
এক জন্য আমরা কি কি সরিয়ে ফেলেছিলাম আমাদের জীবন থেকে ?
ধর্মের পরিচয় বড় করে দেখাটা।যেটাকে আমরা বলেছিলা, ”ধর্ম মানুষের ব্যক্তিগত ব্যাপার”।শুধু এই একটাই। কারন ৭১ এ পাকিস্থানিদের একমাত্র অস্ত্র ছিল লোক সংগঠিত করার জন্য ধর্ম(যেটা তারা পরে আফগানস্থানেও ব্যবহার করে ) ।
এটাকে আপনি শ্রেনী সংগ্রাম বলতে পারবেন না । কারন শুধু অর্থের কারনে কোনো ধনী ব্যাক্তিকে পূর্ব পাকিস্থানে হত্যা করেনি মুক্তি যোদ্ধারা । এটা ছাড়া যুদ্ধের বাকি সব আদর্শ গুলোর সাথে চায়না বা সোভিয়েত বিপ্লবের অনেক মিল আছে ।
এতো কথা এই জন্য বলছি যে,আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আর্দশটাকেই এখন পশ্চিমা বিশ্ব ছড়িয়ে দিতে চাইছে সারা বিশ্বে । ৯/১১ পর থেকে মুলত এটা শুরু হয়েছে । বঙ্গবন্ধু যদি আজ বেঁচে থাকতেন তাহলে ৭১ এ সংগঠিত করা আদর্শের জনক হিসেবে নোবেল পুরস্কার পেয়ে যেতেন শান্তিতে ।
যাই হোক যে কারনে এতো কথা বলছি তা হলো,আমরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মুল জায়গাটা বিশ্বের কাছে ফোকাস করতে পারছি না । এটা যদি করতে পারতাম আমাদের পররাষ্ট নীতি নিশ্চিত আরও বেশি শক্তিশালী হতো ।
উপরের লেখাটি ১৬ই ডিসেম্বর,২০১৬ তে প্রকাশিত ।
আমাদের এখন উচিত রবিন্দ্রনাথ ও নজরুলকে নিয়ে যতো গবেষণা হয়েছে তার সব গবেষণা পত্র দ্রুত ইন্টারনেটে বাংলা ও ইংরেজিতে নির্দিষ্ট সাইটে প্রকাশ করা । শুধু নজরুলেরটা প্রকাশ করলে মৌলবাদিরা অবশ্যই এটার সুযোগ নিবে ।
১. রবিন্দ্রনাথেরটা দরকার বাঙ্গালী জাতিয়তাবাদ বুঝতে যেটা ইংরেজ আমলে শুরু হয় ।
২. নজরুলেরটা দরকার আধুনিক বাঙ্গালী মুসলীম সমাজের ( কোনো মুসলিম জাতিয়তাবাদ নয়,কারন নজরুল ও মুসলিমলীগের মাঝে তফাৎ ছিলো । এই তফাৎটাকেই আমরা ৭১ এ কাজে লাগিয়েছি। ) ও মুক্তিযুদ্ধের আর্দশ বুঝতে ।
কাজটা বাংলা একাডেমি করতে পারে বা মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রনালয় করতে পারে । যে করুক কাজটা দ্রুত করা উচিত । এটা হলে দেশি ও বিদেশিরা সহজেই ব্যাপার গুলো জানতে ও বুঝতে পারবে এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় কেউ বিদেশিদের জনে জনে বলতে হবে না ।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০৮