প্রত্যেকটা বিপ্লবের পর কিছু মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয় । এটা সব দেশেই হয় । এই ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ গুলো ক্ষতির প্রতিশোধ নিতে চায় । অপেক্ষা করে কেউ নিতে পারে কেউ পারে না । এই না পারার পেছনে মূল কারন হলো সংশ্লিষ্ট দেশের বিপ্লবের স্থায়ীত্ব । বিপ্লবটা যদি সেই দেশে চরিত্র,বৈশিষ্ট ও সর্বস্তরের লোক দ্বারা বৈধ শাসন ব্যবস্থা হয়ে যায় তখন প্রতিশোধ নেবার টার্গেট হয়ে যায় রাষ্ট্র । যার কারনে আর প্রতিশোধ নেয়া সম্ভব হয় না । ঠিক এই কারনে যুক্তরাষ্ট লম্বা সময় পর পর বিভিন্ন রাষ্ট্রের সাথে তাদর সম্পর্ক স্থাপন বা স্বাভাবিক করছে ।যাদের সাথে সংশ্লিষ্ট দেশের বিপ্লব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সমস্যা ছিল । (এখানে যুক্তরাষ্ট্রে উদাহরন দিচ্ছি এই জন্য যে,এখন পর্যন্ত পররাষ্ট্র নীতির দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র অন্য যে কোনো দেশের তুলনা ঈর্ষানিয় ভাবে সফল ।) যেমন: ইরান,ভিয়েতনাম,কিউবা ইত্যাদি । এখাানে দেখার বিষয় তালেবানদের আফগান ও উত্তর কোরিয়া ব্যতিক্রম এবং দেখার বিষয় এরা রাষ্ট্র হিসেবেও দাড়াতে পারেনি । অন্য দেশ গুলোর কাছেও । সুতরাং এই দেশ গুলোর অপর প্রতিশোধ নেবার লোক ছিল এবং তালেবানদের আফগান আর নেয় ।
এখন একেবারে অন্য একটা বিষয়ে আসি । বাংলাদেশ ও পাকিস্থান সম্পর্ক । এই সম্পর্ক এখন খারাপ আছে কিন্তু মাঝে মাঝে ভালো হয় এটা সত্যি । তবে তা নির্ধারণ করে বাংলাদেশের ক্ষমতায় কোন রাজনৈতিক দল আছে তার উপর । মজার ব্যপার হলো রাষ্ট্রের সাথে পাকিস্থানের কোনো সম্পর্ক নেই । আর এর জন্য রাষ্ট্র যখন তার মূল স্তম্ভ গুলো নিয়ে নাড়াচাড়া করে,শক্ত করে (বাংলাদেশের কথা বলছি) ঠিক তখনই পাকিস্থানের সাথে সম্পর্ক খারাপ হয় । এটা দুটো কারন থাকতে পারে । ১. প্রতিশোধ নেবার সুযোগ কমে যাওয়ার সংঙ্কা । ২. রাষ্ট্র হিসেবে দাড়াতে না দেয়া ।
আমাদের উচিত বাংলাদেশ পাকিস্থান সম্পর্কের মাঝের এই ব্যাপার গুলো বিশ্বের কাছে পরিস্কার ভাবে তুলে ধরা । যেনো পাকিস্থান আমাদের ক্ষতি করতে না পারে ।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:০৩