To Whom it may concern
কিছু কিছু আধা দাড়ি বিশিষ্ট আধা পাঙখা আধা হুজুর জিহাদি ভাই ফেবুতে, ব্লগে নাস্তিক এবং মুক্তমনাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করে অশ্লীল ভাষায়।
ইসলামিক চেতনাধারী, খিলাফত/জামায়াত তাদের আকীদা, কিন্তু ভাষার প্রয়োগ এবং আক্রমনাত্মক মনোভাব দেখলে বুঝা যায় তারা কিছুদিন আগেও ব্রাজারস ডট কমের রেগুলার কাস্টমার ছিল এবং ভেতরে ভেতরে মারাত্মক সেক্সুয়াল অবশেসনে ভুগে।
মেয়েদের ইনবক্সে জ্ঞান দিয়ে বেড়ায়। স্ট্যাটাসে, লেখনিতে মেয়েদের পর্দা করার উপদেশ দেয় আবার বেপর্দা পাঙখা মেয়েদের পিকে গিয়ে ঠিকই লাইক মারে, কমেন্টে খাজুরে আলাপ করে।
এক দিকে সমানে ইসলামিক পোস্ট দেয় আরেক দিকে সমানে মেয়েদের উপর ক্রাশ খায়।
ধর্ম, আধুনিকতা, অশ্লীলতা আর জঙ্গী মনোভাব মিলিয়ে রিতিমত জগা খিচুড়ি মনোভাব এদের।
ফেসবুকে এসে ধর্ম প্রচারের চেষ্টা অনেকটা গোবরে সেন্ট মেখে সুগন্ধ ছড়ানোর মত।
ফেসবুক হচ্ছে ইহুদিদের তৈরী। এই নীল সাদার জগত প্রতি মুহুর্তে বদ দ্বিনের দাওয়াত দেয়। এখানে বিচরন করতে করতে সুন্দ্রী মেয়েদের প্রোফাইল আর পিক সামনে চলে আসে। সোসিয়াল কমপ্যারিজন এর শিকার হয়ে সবাই ডিপ্রেশনে ভুগে। এখানে যেই আসুক সে হুজুর হোক বা খেজুর হোক মেয়েদের উপর ক্রাশ খাওয়া থেকে কেউ রেহাই পাবে না। এখানে আপনি ইসলাম প্রচার করতে আসবেন তো কয়দিন পর নিজেই গোমরাহ হয়ে ফেরত যাবেন।
ইন ফ্যাক্ট ফেসবুক এক্টিভিস্টদের হাশর হবে মার্ক জুকারবার্গের সাথে। যার সাথে যার ওঠা বসা তাদের হাশর তার সাথেই হয়।
শয়তান নাকি ১০০ টার মধ্যে একটা মাত্র বদ সুরতে এবং বাকি ৯৯টা নেক সুরতে ধোকা দেয়। অতএব সাবধান।
বনীঈসরাইলের আমলে বারসিসা নামে এক ধার্মিক লোক ছিলেন। তার কাহিনী পড়ে জানা যায় তিনি এক রমনীকে সাহাজ্য করতে গিয়ে শয়তানের ধোকায় পড়ে ধীরে ধীরে তার সাথে সম্পর্ক এবং অবশেষে ব্যাভিচারে জড়িয়ে পড়েন। তার এমন অধঃপতন হয় যে শেষ পর্যন্ত সে শয়তানকে সেজদা করে মৃত্যুবরন করে।
ফেসবুকে যেসব হুজুরেরা হাজার হাজার নারী ফলোয়ার এবং সুন্দ্রীদের লাইক কমেন্টে পরিবেষ্টিত হয়ে ছাঁইয়া ছাঁইয়া করে জিহাদ করছেন তাদের এই বারসিসার পরিনতি থেকে শিক্ষনীয় কিছু আছে।
আপনি ফেসবুকে নাস্তিকদের সাথে বুদ্ধিবৃত্তিক তর্ক করতে করতে করতে কোন মেয়ের উপর ক্রাশ খেয়ে যাবেন মনের অজান্তে, তারপর ছ্যাকা খেয়ে ব্যাকা হয়ে যাবেন। মুক্তমনারা ছ্যাকা খেলে দেবদাস হয়ে যায় আর দাড়ি বিহীন হিপোক্রেট হুজুররা ছ্যাকা খেলে হয়ে যায় জঙ্গী নিব্রাস। তারপর একদিন র্যাবের ক্রসফায়ারে মরে চ্যাগায়া পড়ে থাকবেন যখন তারপর সুন্দরীরা আপনার উপর খাবে ক্রাশ।
লেখকদের সাইকোলজি সম্পর্কে আমার কিছুটা ধারনা আছে। তাদের মাথায় সব সময় চলতে ফিরতে চিন্তার ঝড় বইতে থাকে। বাঁধভাঙ্গা বানের পানির মত তাদের মাথায় আইডিয়া প্রতিনিয়ত আছড়ে পড়তে থাকে। যারা লেখালিখি করেন তারা সাধারনত নামাজে মনোযোগ দিতে পারেন না। ইমাম সাহেব কেরাত পড়ার সময়ও তাদের মাথায় হয়তো তখন নাস্তিকদের বিরুদ্ধে কোনো লেখার বুদ্ধিবৃত্তিক আইডিয়া ঘুরপাক খেতে থাকে।
তর্ক করতে করতে এক সময় নিজের বুদ্ধি এবং লজিক্যাল ক্ষমতার উপর অহংকার চলে আসে।
যার অন্তরে সরিষা পরিমান অহংকার আছে সে বেহেশতে যেতে পারবে না।
যার মনে আল্লাহর ভয় আছে সে বিনয়ী হয়, সে যেখানে সেখানে ইসলামিক বিষয়গুলো নিয়ে তর্ক জুড়ে দেয় না। কোরান হাদিস এর একটা সম্মান আছে আপনি এগুলো নিয়ে তুমুল বিতর্ক করে এগুলোর সম্মান রক্ষা করছেন নাকি আপনার যুক্তির অহংকার জাহির করছেন তা আপনি নিজেও হয়তো বুঝতে পারছেন না। আল্লাহ মানুষের অন্তরের খবর রাখেন।
নাস্তিক হোক, মুক্তমনা হোক, হুজুর হোক কে শেষ পর্যন্ত কোন অবস্থায় মৃত্যুবরন করে কেউ বলতে পারে না।
চরম নাস্তিক এক সময় হেদায়েত পেয়েও যেতে পারে আবার চরম ইমানদার ব্যাক্তি অহমিকার কারনে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
আপনি সঠিক পথে আছেন তা আপনি যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করতে যাওয়া বোকামী। আমি সঠিক রাস্তায় আছি, অমুকের আকীদা গলদ এসব নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি করা খুবই হাস্যকর কাজ। অদৃশ্য জিনিসের উপর বিশ্বাস এবং আশা করা যায় কিন্তু সেটা গানিতিক সুত্র দিয়ে প্রমান করতে যাওয়া উচিত নয়। মৃত্যুর পরে আসলে কি হবে সেটা আসলে একটা রহস্য। আপনি বা আমি যেভাবে ভাবছি তা ঠিক সেভাবে নাও হতে পারে। হতে পারে সম্পুর্ন ভিন্ন কিছু চমক অপেক্ষা করছে। সেজন্য যুক্তি তর্কের অহংকার পরিত্যাগ সরল মনে বিশ্বাস এবং আশা রাখা উচিত এবং সব সময় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা উচিত আল্লাহ আমাকে সঠিক পথ দেখাও।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:০০