হুমায়ুন আহমেদের গল্প পড়ে জেনেছি, মস্তিষ্কের ভেতরে অজানা রহস্যময় এক জগত আছে যা স্বাভাবিক চেতনা জাগ্রত থাকা অবস্থায় প্রকাশিত হয় না। যখন মানুষ অচেতন হয়ে পড়ে বা দেহের মৃত্যু ঘটে তখন মস্তিষ্ক তার স্ব রুপে আবির্ভুত হয়। তখন সে বিচিত্র অদ্ভুত সব ঘটনা দেখাতে থাকে।
এ জন্যই কোমায় যাওয়া রোগীরা প্রায় পুরো সময় ধরেই নানা দুঃসপ্ন দেখে থাকে।
গত দুদিন ধরে আমার সাথে এই রকম হালকা পাতলা কিছু ব্যাপার ঘটছে।
ঘটনা হলো গিয়ে, সেদিন মশার জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে খুব করে এরোসল স্প্রে করে একেবারে ঘন কুয়াশা জমিয়ে ফেলেছিলাম।
তারপর ক্লান্ত হয়ে জানালা বন্ধ রেখেই বদ্ধ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েছি।
ফলস্বরুপ বিষ অনেকটা ইনহেল হয়ে গিয়েছে, কিছুটা মস্তিষ্কে প্রবেশ করে সেখানে নিউরনে প্রদাহ তৈরি করে থাকবে। বুকে ব্যাথা এবং হাল্কা মাথা ঘুরানো ভাব হচ্ছিল। মস্তিষ্কে অক্সিজেনের স্বল্পতা দেখা দিয়েছে হয়তো।
এর পর থেকে যখনই ঘুমাচ্ছি তখনই সারাক্ষন বিচিত্র অতিবৈজ্ঞানিক এবং ভয়ংকর প্যারানরমাল সব স্বপ্ন দেখছি দুদিন ধরে। সেগুলো যদি লিখে ফেলা যেতো তাহলে চমৎকার কিছু সায়েন্স ফিকশন এবং ভৌতিক গল্প তৈরি হয়ে যেত। কিন্তু সমস্যা হলো ঘুম ভাঙ্গার পর স্বপ্নগুলা বেশিক্ষন মনে থাকছে না।
অনেকে বলে থাকেন স্বপ্ন হচ্ছে ঘুমন্ত মস্তিষ্কের এলোমেলো চিন্তা। সাধারনত মানুষ ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে পৃথিবী থেকে যে ডাটা সংগ্রহ করে সে অনুযায়ী চিন্তা করতে পারে। যা আমরা দেখিনি কখনো সে সম্পর্কে আমাদের ধারনাই করতে পারি না।
কিন্তু আমি দুদিনে স্বপ্নে যা দেখেছি তা কষ্মিনকালেও জাগ্রত মস্তিষ্কে চিন্তাও করতে পারতাম না, এ সম্পর্কিত কোনো ডাটাই আমার মাথায় কখনো ছিল না।
সম্ভবত মানুষের মস্তিষ্কে মেমোরিতে সৃষ্টিকর্তা এমন কিছু ডাটা লোড দিয়ে রেখেছেন যা বেঁচে থাকতে একসেস করা সম্ভব না। সেগুলো হচ্ছে মৃত্যুর ওপারের অজানা জগতের গল্প। কেউ যখন মৃত্যুর খুব কাছাকাছি চলে যায় তখন ওপারের জগতের দৃশ্যগুলো আংশিক প্রকাশিত হয়। তখনই আমরা অদ্ভুত স্বপ্নগুলো দেখে থাকি।
ব্যাপারটা বেশ ইন্টারেস্টিং লাগছে। ভাবছি স্বপ্নের মাধ্যমে গল্পের আইডিয়া পাওয়ার জন্য হলেও মাঝে মাঝে অল্প একটু এরোসোল বিষ জীবন সংশয় না হয় এমন নিরাপদ মাত্রায় পানির সাথে গুলিয়ে খেয়ে ফেললে মন্দ হয়না। মাঝে মাঝে ব্রেনের সেই রহস্যময় রোমাঞ্চকর গোপন জগতে ঘুরে আসা ভালো।
Feeling Like মিসির আলি
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৩১