একদা জনৈক ব্যাক্তি কোনো এক খান্দানি ঘরে এক দিনের আতিথ্য গ্রহন করেছিলেন। বাড়ির গৃহকর্তা অবস্থা সম্পন্ন, ভারিক্কি স্বভাবের লোক। আরাম কেদারায় বসে বসে হুকুম করেন সাথে সাথে সব কিছু পায়ের কাছে হাজির হয়। অতিথি লক্ষ্য করলেন, ভদ্রলোকের স্ত্রী খুবই পতিব্রতা, সর্বদা স্বামির পদসেবায় ব্যাতিব্যস্ত। তিনি রান্না বান্না কুটা বাছা থেকে শুরু করে কাপড় কাচা ঝাড় পোছ সব করেন। এই স্বামীর জন্য চা করে আনছেন, হাতপাখা দিয়ে বাতাস করছেন। এই অজুর পানি এনে দিচ্ছেন, পা ধুইয়ে দিচ্ছেন, গোসলের জন্য পানি গরম করে দিচ্ছেন, সে যখন যা খেতে চায় রান্না করছেন, মাছ বেছে ভাত মেখে খাইয়ে দিচ্ছেন, স্বামী বাইরে যাওয়ার সময় পায়ের কাছে জুতা ছাতা সব এগিয়ে দিচ্ছেন। এভাবে সর্বদা স্বামী সেবায় ব্রত আছেন স্ত্রী। মানে হচ্ছে গৃহস্বামি এক গ্লাস পানি পর্যন্ত নিজে গড়িয়ে খান না।
এ সব অতিথি মুগ্ধ হয়ে দেখছিলেন। তিনি যাবার সময় মন স্থির করে ফেললেন বিয়ে যদি করতেই হয় যে করেই হোক এই পরিবারের মেয়েকেই বিয়ে করবেন। কারন তাদের মেয়েরাও নিশ্চয়ই এভাবেই স্বামী সেবা করার শিক্ষা পেয়েছে, সুতরাং এই পরিবারের কোনো মেয়েকে বিয়ে করলে সেও নিশ্চয়ই এভাবেই তার পদেসেবা করবে।
তো পরিকল্পনা মোতাবেক সে অতিথী পরবর্তীতে উক্ত পরিবারের ছোট মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠালেন। নানান কাঠ খড় পোড়ানোর শেষে তারা তার সাথে মেয়ের বিয়ে দিতে রাজি হল। যথাসময়ে ধুম ধাম করে বিয়ে সম্পন্ন হল।
বাসর রাতে দরজা বন্ধ বর কনে অনেক্ষন গল্প গুজব করার পর যখন দুজন ঘুমাতে যাবে তখন কনে বলল,
- আপনাকে একটা কথা বলব?
-- জি বল কি বলবে।
-আমি না আমার বাবার কাছ থেকে একটা খারাপ অভ্যাস পেয়েছি।
-- কি সেটা?
- আসলে আমাকে কেউ পা টিপে না দিলে আমি ঘুমাতে পারিনা।
--সর্বনাশ!! এতদিন কে তোমার পা টিপে দিয়েছে?
- আমার আব্বাকে আমার আম্মা সব সময় পা টিপে দিত। আমাকে পা টিপে দিতো আমাদের এক কাজের মাসী
--কিন্তু এখন তোমার পা কে টিপে দেবে?! এই মুহুর্তে কাজের মেয়ে টেয়ে তো নেই।
- দেখেন দরজা তো বন্ধ, এখন আমাদের বাসর ঘরে কাউকে ডেকে আনা তো ঠিক হবে না। আপনিই একটু কষ্ট করে আমার পা টিপে ঘুম পাড়িয়ে দিন না।
শুনে বেচারা বরের তো একেবারে মাথায় হাত
কার্টেসি: মুসলেহ উদ্দিন
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৩৩