তুমি একটা মেয়েকে পছন্দ কর?
তা কিভাবে তাকে ইমপ্রেস করবে?
পরীক্ষায় ভালো নাম্বার পেয়ে? নিজের মেধা তার কাছে শো অফ করে? করে দেখতে পারো। হ্যা সে তোমাকে মনে রাখবে। তোমার কাছ থেকে পড়া বুঝিয়ে নিতে পারে, তোমাকে দিয়ে তার এসাইনমেন্ট করিয়ে নিতে পারে। এতটুকু সম্মান সে তোমাকে দিবে।
আর কিভাবে? ভালো ভার্সিটিতে চান্স পেয়ে? ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হয়ে? হ্যা তাও কাজে দেবে। সে হয়ত একদিন তোমার কাছে এসে ধর্না দেবে তার বয়ফ্রেন্ডকে একটা চাকরি দেওয়ার জন্য।
তাকে কোনো বিপদ থেকে উদ্ধার করে দেখতে পারো। শৌর্য বীর্য প্রদর্শন করে দেখতে পারো। ইভ টিজারদের হাত থেকে নায়োকচিত স্টাইলে প্রটেক্ট করতে পারো। সি উইল বি ইম্প্রেসড। তুমি পারমানেন্টলি তার পাড়াতো ভাই হয়ে যাবে। তাকে প্রটেক্ট করার গুরুদায়ীত্ব পেয়ে যাবে।
মেয়েটিকে ইম্প্রেস করার জন্য গিটার শিখতে পারো। গান গাইতে পারো। সে তোমাকে মনে রাখবে। তার বিয়েতে গিটার বাজানোর আমন্ত্রন তুমি নিশ্চই পাবে।
তুমি আর্টিস্ট? তাকে ইমপ্রেস করার জন্য তার একটা স্কেচ করে তাকে উপহার দাও। সে মুগ্ধ হয়ে বলবে 'ওয়াও'। সে তোমাকে স্পেশালি মনে রাখবে। একদিন সে তোমাকে তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে একটা কাপল পিক স্কেচ করে দেওয়ার অনুরোধ করবে।
তুমি ভালো গল্প উপন্যাস লিখ? সে তোমার ফ্যান হয়ে যাবে। সে তার বয়ফ্রেন্ডকে তোমার প্রেমের উপন্যাস পড়ে শোনাবে আর কান টেনে ধরে বলবে 'দেখছ? কিছু শিখ, এভাবে ভালোবাসতে হয় বুঝলে? পারো তো শুধু ঝগড়া করতে।' তোমার কবিতা হতে পারে তার বয়ফ্রেন্ডকে প্রেমের আকুতি জানানোর ভাষা।
তোমার গাওয়া গান সে মুখস্ত করবে আর বাথরুমে গিয়ে গুনগুন করে গাইবে তোমার মুখ চিন্তা করে নয়। তার মুখ লজ্জা রক্তিম হবে অন্য পুরুষের ফেন্টাসিতে।
সে তোমার সব গুনে ইম্প্রেসড। কিন্তু সে হয়ত এমন এক পুরুষকে বেছে নিয়েছে যে ভাল ছাত্র নয়, গান গাইতে পারেনা, নাচতে পারে না, ছবি আকতে পারে না, গিটার বাজাতে পারে না, যার কোনো কৌতুকবোধ নেই, বিশেষ কোনো গুনও নেই। সে কি কিছুই পারে না? সে একটা কিছু শুধু পারে, সেটা হচ্ছে মেয়েটির যে গুনগুলো আছে সেগুলোর প্রশংসা করতে পারে, নিজে নিচু হয়ে মেয়েটিকে উপরে তুলে ধরতে পারে, নিজে ম্লান হয়ে মেয়েটিকে উজ্জ্বল করে তুলতে পারে।
তুমি নিজেকে শো অফ করে যা দেখালে তা হচ্ছে ইউ আর মিস্টার ইমপ্সিবল। ইউ ডিজার্ভ টু বি এলোন।
সে এমন একজন খুজছিল যে সারা জীবন বলবে "তুমি ভালো আমি পচা"
এক্সপ্রেস টু ইম্প্রেস বলে একটা কথা আছে যা সব যায়গায় কাজ দেয় না। একটা ভুল মানুষকে ভুল সময়ে যতই ইমপ্রেস কর না কেন কোনো লাভ নাই। তোমার পাজরের হাড় থেকে যে তৈরি হয়নি সে কখনও তোমার কাছে পটবে না।
ভুল মানুষের কাছ থেকে এক সাগর সেভেন আপ খেয়েও তৃষ্ণা মেটে না। সঠিক সময়ে মাত্র দুই ফোটা জলই জনম জনমের পিপাসা মিটিয়ে দিতে পারে।
...................................................................
তুমি অসহ্য রকম সুন্দরী। তোমাকে দেখলে মোটেই আনন্দ হয়না বরং কষ্ট হয়। বুকে চিনচিনে ব্যাথা হয়
যারা মোটামুটি সুন্দরী তাদের দেখলে মনে প্রেম জাগে, শরীর জাগে। কিন্তু তোমাকে দেখলে শরীরের সমস্ত অংগপ্রত্যংগ অসাড় হয়ে যায়। তোমাকে ভেবে ফেন্টাসাইজ করতেও লজ্জা হয়। তুমি একা বড্ড একা। তোমার সামনে দাড়ানোর মত পুরুষ খুব কমই আছে।
যে ছেলেটি তোমাকে শিষ দেয়, পেছন থেকে টিজ করে তাকে অপমান না করে প্রেম নিবেদন করে দেখতে পার, বিয়ের প্রস্তাবই দিয়ে দেখ না। সে দৌড়ে পালাবে। সে হয়ত দুষ্টু কিন্তু সে জাতে মাতাল হলেও তালে ঠিক আছে। সে জানে তোমাকে নিয়ে সে সুখি হতে পারবে না। তুমি তাকে সামান্য গুরুত্ব দিয়েছ এতেই সে ধন্য। মানুষ তার আবেগকে প্রশমিত করতে চায়। অনেক সময় তোমার মত সুন্দরি মেয়ে যদি তুচ্ছ হয়ে ধরা দেয় তাতেই পেট ভরে যায়। মনের আবেগ প্রশমিত হয়ে যায়। আর কিছু লাগে না। তোমার যত আকর্ষন ক্ষমতা আছে তার চেয়ে অনেক বেশি আছে বিকর্ষন ক্ষমতা। যে বখাটে ছেলেটি তোমাকে টিজ করে সেও তোমাকে আসলে চায় না। সে তোমাকে নষ্ট করে ছুড়ে ফেলতে চায়। তোমার সৌন্দর্যকে সে হিংসা করে। সুন্দর জিনিস তছনছ করার মধ্যে অনেকে পৈশাচিক আনন্দ পায়।
তুমি বড় একা আর অসহায় ভয়ংকর সুন্দরী। পঙখীরাজ ঘোড়ার টিকিট না পেলে অচিনপুরের রাজপুত্রও দেবলোক থেকে তোমার কাছে পৌছানোর ভিসা পাবে নাকো সুন্দরী।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৮