হুঁ, আমি 'রটন টমেটো' তে রেটিংয়ে *বস্তাপচা* হিসেবে সার্টিফায়েড ফিল্ম Oz the Great and Powerful (2013) এর প্রসঙ্গেই লিখছি।
এক কথায় যদি বলি, ছায়াছবিটা আমার ভালো লেগেছে।
যে কারণে ভালো লেগেছে:
- আমরা সাধারণতঃ সবকিছুতে নিজেদের প্রতিবিম্ব দেখতে পছন্দ করি। হারমোনিকসে গোলযোগ ঘটলে তৃপ্তি মেলা দুষ্কর! একারনেই ছবি দেখার সময়ে কারো কাছে ভালো লাগে নিহিলিজম-ধর্মী প্লট, কেউবা আশ্বাস ফিরে পায় আশাবাদ-এ। কারো ভালো লাগে 'ট্যাক্সি ড্রাইভার' (১৯৭৬), কারো বা তৃপ্তি মেলে 'লাইফ ইজ বিউটিফুল (১৯৯৭) দেখে। "গ্রেইট অ্যান্ড পাওয়ারফুল" অবসেসিভলি আশাবাদীদের জন্য!
- আমাদের জীবনে বিজ্ঞানের অবদান অনস্বীকার্য। মিডিয়ার স্পটলাইটে কোন বিজ্ঞানীর স্থান পাওয়ার ঘটনা বিরল। 'অতিমানব' ইমেজটা সাধারণতঃ তোলা থাকে কোন ক্রীড়াবিদ, অভিনেতা, শিল্পী, মডেল কিংবা লেখকের জন্য। আলো্চ্য ছবিতে আইকনিক চরিত্র হিসেবে স্থান পেয়েছেন থমাস আলভা এডিসন।
- আমরা যে যার অবস্থান থেকে পৃথিবীকে আরও বাসযোগ্য করে তুলতে ভূমিকা রাখতে পারি, এই বার্তাটুকু সফলভাবে চিত্রায়িত করা হয়েছে চলচ্চিত্রটিতে।
- আমাদের দ্বৈতসত্তাটুকু চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে "থিওডোরা" চরিত্রের মধ্যে দিয়ে। অসম্ভব রূপবতী "থিওডোরা"র অপাপবিদ্ধ মুখাবয়ব বদলে কুৎসিত ডাইনীর রূপ ধারণ করে ঠিক যে নিমিষে তার ভেতরের অসুরটার শক্তি সন্তকে ছাড়িয়ে যায়। চেহারার এই রূপান্তরটুকু দারুণ লেগেছে।
- প্যানোরামিক দৃশ্যায়ন ছিলো দৃষ্টিমনোহর; রঙধনু রঙের ছড়াছড়ি, দৃষ্টিনন্দন।
Oz the Great and Powerful (2013) আমার কাছ থেকে পাবে দশে ছয় দশমিক দুই!
==
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: এটা হল "নেই কাজ, তো খই ভাজ" টাইপের পোস্ট। তায় আবার জনৈক ছিঃনেমাখোরের (আমার ইমিডিয়েটলি আগের পোস্ট দ্রষ্টব্য) লেখনীতে! এই জাতীয় ক্ষুদে-ব্লগ আদৌ সামুতে পোস্টানো ঠিক হচ্ছে কি না বুঝতে পারছি না।