আমরা একটি গল্প প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিলাম যার নিয়ম হল- ১০০ শব্দের মধ্যে গল্প লিখতে হবে, যার শেষে থাকবে সাসপেন্স। অসংখ্য লেখকের লেখাও জমা পরেছে। কিন্তু একজন লেখকের লেখার মৌলিকত্ব বা নিজস্বতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। লেখক দাবি করছেন, লেখাটি মৌলিক এবং সম্পূর্ণ তার নিজস্ব কল্পনাপ্রসূত। কিন্তু যারা প্রশ্ন তুলেছেন তারা কোন প্রমাণ দিতে পারছেন না।
আমি জানি ব্লগে দেশের সব থেকে বাঘা বাঘা, চৌকস ও জ্ঞানী লেখকদের সমাবেশ। তাই নিচে আমি ১০০ শব্দের ওই গল্পটি তুলে ধরলাম। আপনাদের জানা মতে গল্পটি মৌলিক কিনা বা কোন প্লট থেকে কপি করা হয়েছে কিনা, হয়ে থাকলে তার কোন তথ্য প্রমাণ আছে কিনা তা জানালে চরম উপকৃত হতাম। আপনাদের বিচক্ষণ মন্তব্যের জন্য অগ্রীম কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।
উক্ত গল্পটিঃ
শতবর্ষ পুরানো বিশালাকার জরাজীর্ণ লাইব্রেরি।সমস্তকিছু ধুলির আবরণে আবৃত।গা ছমছমে পরিবেশ।আবছা আলোতে ধীরে ধীরে ভেতরে প্রবেশ করছে মরিস।
কাঠঘড়িটির দিকে বিস্মিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মরিস। ঘড়িটিতে সময় একঘণ্টা বেশি। অর্থাৎ বারোটার পরে তেরোটা। বর্ণনানুযায়ী তাকে ঘড়িটি থেকে পাঁচফিট বামে যেতে হবে।সে তাই করলো।
লাল মলাটে বইটি এখন মরিসের হাতে। এখানেই আছে চির অমর হওয়ার রহস্য। মৃত্যকে জয় করার শ্লোক। আনন্দে চিৎকার দিয়ে উঠলো মরিস। সহসা চারপাশের সমস্তকিছু কাঁপতে শুরু করল। আবারো জেগে উঠল ক্ষুধার্ত লাইব্রেরিটা।.....
টং টং টং। ঘড়িতে তেরোটার ঘণ্টা বাজছে।আগন্তুক সকলের ন্যায় সদ্য বইবন্দি হল আরেকটি চরিত্র, মরিস। যন্ত্রণাদায়ক দ্বিতীয় চিৎকারটি, আর শোনা যায়নি।