যা হওয়ার কথা ছিল, যা হয়ে ওঠেনি
যা বলা হয়েছিল, যা বলা হয়নি
তারই মাঝামাঝি বসতি গেড়েছে এক নক্ষত্র অবিনাশী
এক অসহ্য যন্ত্রণা সতত সর্বগ্রাসী
এই এক অকারণ বিভাব, এই আমার দুঃখ স্বভাব
ভেসে যেতে ভালোবাসি, শৌখিন স্রোতে তবু পাশাপাশি
বেঁচে থাকি, নিজের আড়ালে নিজেকে কেবল লুকিয়ে রাখি।
অন্তর্যামী? – আমি তা নই,
জেনেছিলে কি তুমি – হৃদয়ে জমা কথা যতো –
নিজেকে ভুলিয়ে বেঁচে থাকার মতো
এমন অদৃশ্য দুঃখ আর আছে কোই?
হে বিদগ্ধ নারী!
তোমার স্পর্শে শুষ্ক হৃদয়ে প্রজ্বলিত হয় এক নীলাভ আগুন -
আজ কিছু উষ্ণতা দাও, যেন পথ চিনে নিতে পারি।
পাখীর ডানায় যাকে উড়িয়েছিলে একদিন –
তাকে কি তুমি ফিরিয়ে নেবে – আজ কিংবা কোনোদিন?
এই বিচ্ছেদ – এই আড়ষ্ট অবগুণ্ঠন
ভারী পাথরের মতো কি করে আমি বইবো আজীবন?
ভাবছো বিরহী – আমি তা নই,
আমি এক ক্লান্ত ফেরারি – অবাক পথচারী,
এই ফিরে আসা নিশ্চিত জেনেছ, তবু তো নাওনি ফিরায়ে
নির্নিমেষ আমি পথ চলে খুঁজে ফিরি, তবুও পথ হারায়ে।
দুঃস্বপ্নে জাগা প্রতি রাতে ঘুমন্ত দরোজায় কড়া নাড়ে এক দুরন্ত হাওয়া
নগ্ন পায়ে ধুলো মেখে - তোমার কাছে, এমনই আমার অকারণ আসা যাওয়া
তোমার মাঝে এভাবেই আমার নিজেকে ফিরে পাওয়া।
দূর হতে তাই দেখি বারেবার, আঁধারে ঘুরে মরে এক আশ্চর্য আঁধার।
স্তব্ধ বাতিঘর – নীরব – ফাঁকা
দরজার ওপাশে - বন্ধ জানালা
ভুল সময়ে হল দেখা
কিছু কথা তাই হল বলা, কিছু আর বলা হলনা।
আমার অন্যান্য কবিতাঃ
১) ঘুণপ্রলাপ
২) আমার আজ আর ফেরা হবে না
৩) মুর্খের আত্মপোলব্ধি
৪)মরীচিকায় কানামাছি
৫)ঈশ্বরের কাছে এক দিনের জন্য মৃত্যু দাবী করেছিল তরুণ এক কবি
৬) প্রায় অজানা সুদূর অতীতে
৭) বাস করছি আপন অমাবস্যায়
৮) শ্মশানযাত্রী
৯) ওরা জেগে থাকে
১০) বেদনার ঋণ
১১) দ্বিতীয় পর্ব