বিদগ্ধ কবিতার শরীর
নাসরীন খান
কবিতা আজ লাশের কফিনে বন্দী
বিদগ্ধ কবিতার শরীর
ভন্ড আার নষ্টদের দখলে তার
চারণভূমি।
ধর্ষিত আজ কবিতার কুমারী শরীর
হায়েনার খপ্পরে,
কোলের শিশু,বৃদ্ধ মা টিও যখন
ধর্ষিত৷ হয় লোলুপ পশুত্বের অগ্নিবাণে।
সমাজের দেয়ালে খসে খসে
ভীতিকর নির্জনতা
ত্রাস আর সংঘাতের মন্ত্রে।
হাহাকারে কাঁদে কবিতার বুক
আকাশ সেই লাশের আভরণ
ওখানেও দূষণের প্রলেপ
কবি জিম্মি, জিম্মি মানবতা।
কবিতার লাশ দাফন হবে!
পবিত্র সে জায়গা কোথায়?
কাস্তে,কুড়াল, বেয়নেটে ধরেছে মরিচা
লড়াকু শরীর হতাশাচ্ছন্ন,
কলমের জোরে চলছে না আর
তেজের বারুদে ক্ষীণতা।
কবি যুঝতে পারে না,
তাই কফিনে পঁচছে
বিদগ্ধ কবিতার শরীর।
তবে-----
কবিদেরও আছে তেজস্বী মন
বারুদ হতে জানে কবিতা,
অগ্নিবৃষ্টি ঝরাতে পারে কবি।
ঢেলে কেরোসিন, দেশলাইয়ের কাঠিতে
জ্বালিয়ে অমানুষ দের করতে পারে
ভস্মীভূত লেলিহান শিখায়।
তারপর গড়তে পারে এক পৃথিবী
বিদ্বেষ হীন,বিভেদ হীন,
বিবেকবান আর নিরেট মানুষদের -
নিয়ে হবে জঞ্জাল হীন পদযাত্রা।।