নিস্তব্ধ শীতের রাতে সততা'র অন্তর্বাস খুলে
নিবিড় রমনী দাঁড়িয়ে থাকে আজও
ওই খোলা আকাশের তলে!
জীর্ণ পাতা'র মতো পড়ে থাকে সে
তোমরা দলিত করো তাকে বার বার, অজস্রবার!
মৈথুন শেষে নীল নরকে উল্লাসে তৃপ্ত হয়
তোমাদের বিলাসী ক্ষুধা!
কিন্তু যে দানবীয় ক্ষুধা আজ নগ্ন হয়ে
ক্ষুরাঘাত করে রমনী'র পেটে
মার্জিত- অমার্জিত ভুলে
অবগুণ্ঠন খুলে সে নীল হয়ে যায় নির্মল বিষে!
যে রাতের উষ্ণতায় গলে পরাজিত হয় তোমাদের বর্তমান
আঁধার কেটে গেলে সেই রমনী'র শরীরের দুর্গন্ধে
তোমারা সংক্রামিত হও কপট ঘেন্নায়!
তার শরীরে বেড়ে উঠা ভ্রণ কুঁচি কুঁচি হয়ে
দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বরফের মতো ভেসে থাকে
তোমাদের হিংস্রতা'র পেয়ালায়!
তোমাদের নগ্নতায় কি নিশ্চুপ হয়ে থাকে এই নগরী!
কিন্তু রমনী? সে একলা দাঁড়িয়ে থেকে থেকে দেখে
চিরায়ত নিয়মে ফিরে যায় রাতের ট্রেন হাসি কান্না সাথে করে
ফিরেনা শুধু সে- ফিরতে পারেনা সেই নিবিড় রমনী!
ভাবে একদিন নিশ্চিত বিসর্জিত হবে
এই চিরচেনা ট্রেনের পথে….......