বাবা'র ঘরে যতদিন ছিলাম কোনদিন উপলব্ধি করিনি যে মেয়ে বলে অবজ্ঞা বা উপেক্ষা করা হয়েছে। বরং একটা ছেলেকে যেভাবে বড় করা হয় ঠিক সেভাবেই বড় হয়েছি। নিজের চিন্তা ও কর্মের স্বাধীনতা নিয়ে নিজের পা ফেলেছি কিন্তু তাই বলে স্বাধীনতার অপব্যবহার কখনও করিনি। তেমনি বিয়ের পরও আমি উপলব্ধি করিনি চারদেয়ালে গুমরে কাঁদে আমার নারী স্বত্ত্বা! যতটা স্বাধীনতা থাকলে একজন নারী প্রাণখুলে বাঁচতে পারে ঠিক তার চেয়ে বেশিই পেয়েছি।অনেকেই বলেন মেয়েদের স্বাধীনতা দিলে মেয়েরা সেটার অপব্যবহার করে কিন্তু আমি মনে করি স্বাধীনতা দিলেই সেটাকে মেয়েরা যত্ন করে এবং ভাবে যে মানুষটা আমাকে আমার মত করে বাঁচতে দিচ্ছে তার বিশ্বাসের অমর্যাদা করার আগে মৃত্যুই শ্রেয়---
নারী দিবসে শ্রদ্ধা ও ভালবাসা রইল আমার প্রিয় বাবা আর প্রিয় মানুষটি যার সাথে হেঁটে চলেছি দশটি বছর। আমার জীবনে দেখা শ্রেষ্ঠ দু'জন পুরুষ হলেন তারা।
আপনারাও ভেবে দেখুন না আপনার কন্যাটি কি বৈষম্যের শিকার হচ্ছে কিনা! ছেলেকে মেয়ের চেয়ে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন কিনা! ভেবে দেখুন আপনার স্ত্রীকে তার প্রাপ্য ভালবাসা,যত্ন এবং স্বাধীনতা ঠিকমত দিচ্ছেন কিনা! বেলাশেষে কি আপনার স্ত্রী চারদেয়ালের মাঝে দীর্ঘ নিঃশ্বাস নিয়ে ভাগ্যের উপর অভিশাপ দিচ্ছে কিনা!
একজন মানুষ ভাবুন নারীকে। তার চিন্তা ও কর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন এবং সহযোগিতা করুন। দেখবেন জীবনের আকাশে খেলা করছে সত্যিই সোনাঝরা রোদ্দুর। জীবন একটাই তাই জীবনটাকে ভালবাসুন । নিজে ভাল থাকুন এবং পাশের মানুষটাকেও ভাল রাখুন।