ছোট্ট একটা সামান্য ভুলে
বিদায় নিল সে,
আর তীরবিদ্ধ রোদ এসে
আছড়ে পড়লো গায়ে।
যৎ কিঞ্চিত সময় থাকা সত্তে্বও
কুয়াশা কুয়াশা আঁকা হয়ে গেলো
শহরের শরীরটা।
তাতে বাকী রাতটুকু ছাই হয়ে গেলেও
হঠাৎই নির্জনে
একটি একটি করে টুপটাপ শিশির ঝরলো
পাতার গা ছুঁয়ে ছঁয়ে,
আর একটা দুটো
পায়ের কাছাকাছি।
সময় ছিলনা বেশী,
আকাংখাও ছিলনা ততোটা,
বাতাসের পাখার গন্ধও তাই
কেমন যেনো
ম্যাড়ম্যাড়ে আর বিষন্ন।
আর ঠিক তুনি বিদায় নিল সে।
বাড়ীটা পড়ে রইলো নির্বাক শোকে
অসাঢ় পাথরের গালিচায়,
বই এর খোলা পাতাটা খোলাই পড়ে রইলো,
জলের গ্লাসটিও তারই কাছাকাছি ু
দেয়ালের কোনে অসাবধান দাগটিও
তাকালো না প্রতিদিনের মতো।
কাউকে বলে যেতে হলোনা,
একটি স্পর্শেও তুললো না চোখ,
অজস্র ভুলের মাঝে
সময় সামান্য হলেও
এখন তো তার হাতে অফুরন্ত সময়।