আকবর আলি খান সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেছেনঃযিনি ব্যর্থ, তাঁর ফর্মুলা দেওয়ার অধিকার নেই।
আসলে প্রধানমন্ত্রী এমনি এমনি তা বলেননি। কারণ যিনি একটি নির্বাচন করতে ব্যর্থ হয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকার বিষয়ে তাঁর কোনো ফর্মুলা দেওয়ার অধিকার নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক একজন উপদেষ্টাও এ রকম ফর্মুলা দিয়েছেন। অথচ এই ব্যক্তি সাবেক রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের সময়ে একজন উপদেষ্টা ছিলেন। তখন তিনি নির্বাচন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। আজ রোববার গণভবনে কাউন্সিলর ও দেশের বিভিন্ন জেলার দলীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সেখানে শেখ হাসিনা বলেন, একজন ব্যর্থ মানুষের দেওয়া ফর্মুলার কোনো কার্যকারিতা নেই।
তিনি কি তাহলে রেজাকার ছিলেন?
আসুন জেনে নিইঃ
আকবর আলি খান একজন বাংলাদেশী আমলা, অর্থনীতিবিদ এবং শিক্ষাবিদ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি হবিগঞ্জের এসডিও ছিলেন এবং যুদ্ধকালীন সময়ে সক্রিয়ভাবে মুজিবনগর সরকারের সাথে কাজ করেন দেশ স্বাধীন হবার পর তিনি সরকারী চাকুরী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার সাথে যুক্ত ছিলেন। ২০০৬ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একজন উপদেষ্টা ছিলেন। পরবর্তীতে সুষ্ঠ নির্বাচন সম্পন্ন না হবার আশংকায় তিনি তিনজন উপদেষ্টার সাথে একযোগে পদত্যাগ করেন।
মুক্তিযুদ্ধ
যুদ্ধ শুরুর আগের অসহযোগ আন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। যুদ্ধ শুরু হলে তিনি গেরিলা যোদ্ধাদের অস্ত্র যোগান দেবার সিদ্ধান্ত নেন। মুজিবনগর সরকার তখনো প্রতিষ্ঠিত না হওয়ায় অনেক সরকারী কর্মচারীই লিখিত অনুমতি ছাড়া অস্ত্র যোগান দিতে অস্বীকৃতি জানান। ফলে খান নিজ হাতে লিখিত আদেশ তৈরি করে মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র , খাদ্য ও অর্থ যোগান দেবার অনুমতি দেন। তিনি বাংলাদেশের জন্য তহবিল তৈরি করতে ব্যাংকের ভল্ট থেকে প্রায় তিন কোটি টাকা


স্বাধীনতার পর তিনি সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন। তিনি সেখানে ছয় মাস চাকরি করেন এবং মুক্তিযোদ্ধা ও পাকিস্তান থেকে ফেরত ব্যক্তিদের চাকরি পেতে সহায়তা করেন। পরে তাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সরিয়ে নেয়া হয়। ১৯৭৩ সালে তিনি চাকরি ছেড়ে শিক্ষকতায় যোগ দানের জন্য সিদ্ধান্ত নেন। তিনি তার পদত্যাগপত্র জমা দিলেও শেখ মুজিবর রহমান



এছাড়াওঃ
আলি আকবর খানের গ্রন্থ "হিস্টোরি অফ বাংলাদেশ" বা বাংলাদেশের ইতিহাস’ বাজারে এনেছে এশিয়াটিক সোসাইটি। বইটিতে তিনি বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও সামাজিক উত্থান ও পরিবর্তন নিয়ে গবেষণা করার পাশাপাশি দেশে ইসলাম ধর্মের বিকাশ নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি অর্থনীতিবিষয়ক বই, পরার্থপরতার অর্থনীতিতে তিনি সরস ও প্রাঞ্জল ভাষায় অর্থনীতির জটিল বিষয়বস্তু ব্যাখ্যা করেছেন।
মাননীয় প্রধাণমন্ত্রীঃ বয়সত কম হল না। এবার থেকে আল্লাহ ওয়াস্তে চিন্তা করে কথা বলবেন। আপনি মুরুব্বি মানুষ। আপনার থেকে আমরা কি শিখব? আর স্মরণ করে দেখুন্ তো আপনার কমেন্ট গুলাঃ
'আকবার সাহেব যখন ইয়াজ উদ্দিনের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন'
এই বয়সে তরুণ প্রজন্মএর কাছ থেকে গালি খেতে চান?