somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আসুন জেনে নিই আকবর আলী খানের কুকির্তি সম্বন্ধে ঐ রাজাকার বাংলা ছাড় :P :P

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ২:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আকবর আলি খান সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেছেনঃযিনি ব্যর্থ, তাঁর ফর্মুলা দেওয়ার অধিকার নেই।

আসলে প্রধানমন্ত্রী এমনি এমনি তা বলেননি। কারণ যিনি একটি নির্বাচন করতে ব্যর্থ হয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকার বিষয়ে তাঁর কোনো ফর্মুলা দেওয়ার অধিকার নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক একজন উপদেষ্টাও এ রকম ফর্মুলা দিয়েছেন। অথচ এই ব্যক্তি সাবেক রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের সময়ে একজন উপদেষ্টা ছিলেন। তখন তিনি নির্বাচন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। আজ রোববার গণভবনে কাউন্সিলর ও দেশের বিভিন্ন জেলার দলীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সেখানে শেখ হাসিনা বলেন, একজন ব্যর্থ মানুষের দেওয়া ফর্মুলার কোনো কার্যকারিতা নেই।

তিনি কি তাহলে রেজাকার ছিলেন?

আসুন জেনে নিইঃ
আকবর আলি খান একজন বাংলাদেশী আমলা, অর্থনীতিবিদ এবং শিক্ষাবিদ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি হবিগঞ্জের এসডিও ছিলেন এবং যুদ্ধকালীন সময়ে সক্রিয়ভাবে মুজিবনগর সরকারের সাথে কাজ করেন দেশ স্বাধীন হবার পর তিনি সরকারী চাকুরী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার সাথে যুক্ত ছিলেন। ২০০৬ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একজন উপদেষ্টা ছিলেন। পরবর্তীতে সুষ্ঠ নির্বাচন সম্পন্ন না হবার আশংকায় তিনি তিনজন উপদেষ্টার সাথে একযোগে পদত্যাগ করেন।

মুক্তিযুদ্ধ

যুদ্ধ শুরুর আগের অসহযোগ আন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। যুদ্ধ শুরু হলে তিনি গেরিলা যোদ্ধাদের অস্ত্র যোগান দেবার সিদ্ধান্ত নেন। মুজিবনগর সরকার তখনো প্রতিষ্ঠিত না হওয়ায় অনেক সরকারী কর্মচারীই লিখিত অনুমতি ছাড়া অস্ত্র যোগান দিতে অস্বীকৃতি জানান। ফলে খান নিজ হাতে লিখিত আদেশ তৈরি করে মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র , খাদ্য ও অর্থ যোগান দেবার অনুমতি দেন। তিনি বাংলাদেশের জন্য তহবিল তৈরি করতে ব্যাংকের ভল্ট থেকে প্রায় তিন কোটি টাকা B:-) B:-) উঠিয়ে ট্রাকে করে আগরতলায় পৌছে দেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের খাদ্য যোগান দেবার জন্য গুদামঘর খুলে দেন এবং পরবর্তীতে আগরতলায় চলে যান। তিনি বলেন, আগরতলায় যাওয়ার পর আমরা একটা পূর্বাঞ্চলীয় প্রশাসন গড়ে তোলার চেষ্টা করি। আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করা, উদ্বাস্তু শিবিরে যারা আশ্রয় নিয়েছিল তাদের সহায়তা করা। প্রথমদিকে আমাদের একরকম একা একাই কাজ করতে হয়েছে। মুজিবনগর সরকার গঠিত হবার মাসখানেক পর আমাদের সঙ্গে পুরোপুরি যোগাযোগ হয়। জুলাই মাসে তাকে সরকারে যোগ দেবার জন্য কলকাতায় ডাকা হয় এবং সেখানে তিনি মন্ত্রীপরিষদ বিভাগে উপসচিব পদে যোগ দেন। আগস্ট মাসে তিনি একই পদে থেকে নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন।

স্বাধীনতার পর তিনি সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন। তিনি সেখানে ছয় মাস চাকরি করেন এবং মুক্তিযোদ্ধা ও পাকিস্তান থেকে ফেরত ব্যক্তিদের চাকরি পেতে সহায়তা করেন। পরে তাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সরিয়ে নেয়া হয়। ১৯৭৩ সালে তিনি চাকরি ছেড়ে শিক্ষকতায় যোগ দানের জন্য সিদ্ধান্ত নেন। তিনি তার পদত্যাগপত্র জমা দিলেও শেখ মুজিবর রহমান B:-) B:-) B:-) তা গ্রহণে অস্বীকৃত জানান। তাকে অবসর না দিয়ে শিক্ষকতা করার জন্য ছুটি দেয়া হয়। কমন ওয়েলথ বৃত্তির জন্য মনোনীত হবার আগে তিনি অল্পসময়ের জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। বৃত্তির জন্য তিনি কানাডার কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়এ যোগ দেন এবং সেখানে অর্থনীতি বিভাগে মাস্টার্স এবং পি. এইচ. ডি. ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৯ সালে দেশে ফেরত আসার পরে অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করেন। তাকে আবারো প্রশাসনের মন্ত্রীপরিষদ বিভাগে যোগ দেবার জন্য আহ্বান জানানো হয়। ১৯৮৭ সালের আগ পর্যন্ত তিনি পল্লী উন্নয়ন বোর্ড, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং কর্মকমিশন সচিবালয়ে কাজ করেন।


এছাড়াওঃ

আলি আকবর খানের গ্রন্থ "হিস্টোরি অফ বাংলাদেশ" বা বাংলাদেশের ইতিহাস’ বাজারে এনেছে এশিয়াটিক সোসাইটি। বইটিতে তিনি বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও সামাজিক উত্থান ও পরিবর্তন নিয়ে গবেষণা করার পাশাপাশি দেশে ইসলাম ধর্মের বিকাশ নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি অর্থনীতিবিষয়ক বই, পরার্থপরতার অর্থনীতিতে তিনি সরস ও প্রাঞ্জল ভাষায় অর্থনীতির জটিল বিষয়বস্তু ব্যাখ্যা করেছেন।

মাননীয় প্রধাণমন্ত্রীঃ বয়সত কম হল না। এবার থেকে আল্লাহ ওয়াস্তে চিন্তা করে কথা বলবেন। আপনি মুরুব্বি মানুষ। আপনার থেকে আমরা কি শিখব? আর স্মরণ করে দেখুন্ তো আপনার কমেন্ট গুলাঃ
'আকবার সাহেব যখন ইয়াজ উদ্দিনের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন'

এই বয়সে তরুণ প্রজন্মএর কাছ থেকে গালি খেতে চান?




সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ২:৫৩
১৫টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বর্ণচোখ

লিখেছেন শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু, ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ ভোর ৬:৩৮


(ষড়ঋপু সিরিজের তৃতীয় কাহিনি — লোভ)

⸻ সতর্কীকরণ: ছায়া পড়লে আলোও কাঁপে ⸻

এই কাহিনি কেবল একটি গল্প নয়। এটি এক মানসিক প্রতিচ্ছবি, যেখানে লুকিয়ে আছে মানব আত্মার... ...বাকিটুকু পড়ুন

এসব লুটপাটের শেষ কোথায়!

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:১৮

আধা লিটারের পানির বোতল দোকানদার কেনে সর্বোচ্চ ১২.৫০ টাকায় আর ভোক্তার কাছে বিক্রি করে ২০ টাকা। এগুলো কি ডাকাতি না?

গোপন সূত্রে যতটুকু জানা যায়,
প্রাণ ৮.৫ টাকা কেনা
ফ্রেশ ১০... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। চারুকলায় আগুনে পুড়ে গেল ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:৪৭

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে নববর্ষের শোভাযাত্রা উদ্‌যাপনের জন্য বানানো দুটি মোটিফ আগুনে পুড়ে গেছে। এর মধ্যে একটি ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি ও আরেকটি শান্তির পায়রা।



আজ শনিবার সকালে চারুকলা অনুষদে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘোষণাপত্র ও অঙ্গীকারনামা....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৬

ঘোষণাপত্র ও অঙ্গীকারনামা
March for Gaza | ঢাকা | ২০২৫

বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম
আল্লাহর নামে শুরু করছি
যিনি পরাক্রমশালী, যিনি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাকারী,
যিনি মজলুমের পাশে থাকেন, আর জালেমের পরিণতি নির্ধারণ করেন।

আজ আমরা, বাংলাদেশের জনতা—যারা জুলুমের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডক্টর ইউনুস জনপ্রিয় হয়ে থাকলে দ্রুত নির্বাচনে সমস্যা কি?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:৪১



অনেকেই ডক্টর ইউনুসের পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার কথা বলছেন। এর জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় নির্বাচন। আদালত যেহেতু তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বহাল করেছে সেহেতু ডক্টর ইউনুস তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×