হাসিনাকে হিন্দু সরকার বলা হচ্ছে খুব প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে এবং ব্যাপক জোরেসোরেও বটে। কারণ হাসিনাকে ভারত এখন সহযোগিতায় করছে এবং ফলশ্রুতিতে হাসিনাও ভারতকে ঢেলে দিচ্ছে।
কিন্তু আমার কথা হলো হাসিনা ইসলাম ধর্মের আলিমা নয়। বরং তিনি একজন ফাসিক-ফুজ্জার মহিলা ও দেশনেত্রী। তিনি নিজেকে আলিমা হিসেবে দাবিও করেন না। তারপরও বাংলার মুসলমানরা তাকে হিন্দু সরকার বলছে।
স্মর্তব্য যে, হাসিনা যেহেতু ফাসিক-ফুজ্জার। ইসলাম নিয়ে তিনি থাকেন না। তাহলে তার দ্বারা ইসলামের বিরোধীতা হওয়া এবং কাফির হিন্দুদেরকে সহযোগিতায় করা অনেকটা স্বাভাবিকও বটে। আর মুসলমানও তার কাছে পুরোপুরি ইসলামিক কাজও আসা করতে পারেনা। কেননা তিনি ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ এবং ইসলামী ব্যাক্তিত্ব নয়।
অপরদিকে ইসলামের মহান ব্যাক্তিত্ব দাবিদার, আলিম দাবিদার, মাওলানা-মুফতী দাবিদার জামাতের পক্ষ নেয়াই কট্টর মুসলিমবিদ্বষী আমেরিকা-বৃটেন বিষয়ে বাংলার জনগন বোবা কেন? হাসিনা যদি হিন্দু হয় তাহলে নিকৃষ্ট ধর্মব্যবসায়ী জামাতকে খ্রিস্টান বলা হচ্ছে না কেন?
এখন খবরের দিকে তাকালেই দেখতে পাওয়া যায় জামাত-জাতিসংঘ(ইহুদীসংঘ) কানেকশন, জামাত –আমেরিকা কানেকশন, জামাত-বৃটেন কানেকশন, জামাত-ইইউ কানেকশন কেন? জাতিসংঘ-আমেরিকা-বৃটেন-ইইউ কি আল্লাহ-নবী-অলী আল্লাহ-আলিম যে জামাত ও তারা একজোট?
কিসের জন্য জামাতের পক্ষে তারা লবিং করছে, সাফাই গাইছে, বাংলাদেশকে চাপ দিচ্ছে? ৯৭% মুসলমানদের দেশে জামাতের পক্ষ নিলো কেন এই কট্টর মুসলিমবিদ্বষী দেশ ও সংস্থাগুলো? কট্টর মুসলিমবিদ্বষী খ্রিস্টানরা বাংলাদেশের মুসলমান দাবিদার জামাতের পক্ষ কেন নিয়েছে? কুরআন শরীফ-হাদিছ শরীফ উনার কোন আদেশ বলে খ্রিস্টান-মুসলমান(জামাত) এক হয়েছে?
মূলত জামাত প্রকৃতপক্ষে কোনও ইসলামী দল নয় এবং তাদের সদস্যরাও কোন মুসলমান নয়। তারা ভিতর ভিতর ইহুদী ও খ্রিস্টান এবং হাসিনা থেকেও ভয়ংকর এক মুসলিমবিদ্বষী ধর্মব্যবসায়ী দল। এই ধর্মব্যবসায়ী দলটা এখন ফকির আমেরিকা-বৃটেনকে বিলিয়ন বিলিয়ন সম্পদ ঢেলে দিচ্ছে। মুসলমানকে ইসলাম থেকে কাফিরে পরিনত করছে। বাংলাদেশকে গৃহযুদ্বের দিকে নিয়ে যেতে চাইছে।
সুতরাং দেশবাসীর উচিত এই মুসলিমবিদ্বষী ধর্মব্যবসায়ী দল জামাত থেকে সাবধান হওয়া। সাথে সাথে দরকার মুসলিমবিদ্বষী ধর্মব্যবসায়ী দল জামাতকে বয়কট করা এবং সর্বস্তর থেকে প্রতিহত করা। কেননা এরা ইসলামকে ব্যবহার করেই বাংলার মুসলমান এবং সম্পদকে নিশেষ করে দিচ্ছে ও দিবে।