খবরে এসেছে.—
চুয়াডাঙ্গা বেগমপুর ঝাঁজরি গ্রামের অন্তঃসত্তা স্কুলছাত্রীকে অবশেষে বিয়ে করেছে অভিযুক্ত জাহিরুল।
অভিযুক্ত লম্পট প্রেমিক জাহিরুল ও তার পরিবারের লোকজন টাকার বিনিময়ে অন্তসত্তার ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টায় মরিয়া হয়ে ওঠে। গ্রামে কয়েক দফা বসে সালিস বৈঠক। কোনো বৈঠকই সমাধানে পৌঁছুতে পারেননি গ্রাম্যমাতবররা। সর্বশেষ সালিস বৈঠকে জাহিরুলের পিতা ফজু চ্যালেঞ্জ করে বলে, অন্তঃসত্ত্বার ঘটনাটি মিথ্যা। তার ছেলেকে ফাঁসানোর জন্যই মিথ্যা নাটক সাজানো হয়েছে বলেও দাবি তোলে। ফজুর এ চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষিতেই গ্রামবাসী ও জাহিরুলের পিতা রোববার স্কুলছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নিয়ে যায় চুয়াডাঙ্গা শহরে। ডাক্তারি পরীক্ষা করলে শেষ পর্যন্ত পরিষ্কার হয় স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা। ডাক্তারি পরীক্ষায় অন্তঃসত্ত্বার প্রমাণ মিললে ফের বেকে বসেছে জাহিরুল ও তার পরিবারের লোকজন। বিভিন্ন ধরনের ছলচাতুরি এবং স্কুলছাত্রী দরিদ্র পরিবারের মেয়ে হওয়ায় হুমকি-ধামকি দিতে থাকে।
বিষয়টি চুয়াডাঙ্গা জেলা লোকমোর্চার দৃষ্টিগোচর হয়। বুধবার সন্ধ্যায় লোকমোর্চার একটি টিম ঝাঁজরি গ্রামে উপস্থিত হয়ে পাপিয়ার কাছ থেকে ঘটনার বর্ণনা শোনে। পরে জাহিরুলের বাড়িতে ফের উপস্থিত হয়ে তার পিতা ফজলুর হোসেন ও জাহিরুলকে বোঝানোর পর তারা বিয়েতে রাজি হলে লোকমোর্চার উপস্থিতিতে বিয়ের আয়োজন করা হয়। বেশ আনন্দ উল্লাসের সাথে অবশেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে স্থানীয় কাজি ডেকে দেড় লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিয়ে দেয়া হয়। উপস্থিত ছিল চুয়াডাঙ্গা জেলা লোকমোর্চার সভাপতি অ্যাড. আলমগীর হোসেন পিপি, নির্বাহী সদস্য অ্যাড. মানিক আকবর, লায়লা শিরিন ও জেলা লোকমোর্চা সচিব শাহানাজ পারভীন শান্তি।
পাঠক। মেয়েটি যেহেতু স্কুলছাত্রী সেহেতু সে ১৫-১৬ বছরের উপরে হতে পারেনা। আর ছবিতে দেখে মনে হচ্ছে তাদের বয়স ১২-১৩ বছর হতে পারে কিন্তু সন্ত্রাসী মিডিয়া সুচতুরভাবে মেয়েটির বয়স এবং ক্লাস উল্লেখ করেনি। উল্লেক করলে সন্ত্রাসী মিডিয়ার মুখে চুলকানী মাখা হবে। কিন্তু মিডিয়া এর দ্বারা কি প্রমান করলো? প্রমান করলো যে মেয়েরা কুমারীত্ব হারালেই বয়স ব্যাপার না। তোমরা যারা কম বয়সে বিয়ে করতে চাও তারা আগে অন্তসত্তা হয়ে আস তাহলে তোমাদের সন্ত্রাসী মিডিয়া এবং অ্যাডভোকেট সবাই তোমার সাথে আছে। কিন্তু বিয়ের আগে কুমারীত্ব হারাতে না পারলে তোমাদের বিয়ে আমরা হতে দিবনা। বরং তোমাদেরকে জেলের ভাত খেতে হবে।
হাইরে মুসলমান!! হাইরে সন্ত্রাসী মিডিয়া!!হাইরে আইন!! তোদের কি লাজ-লজ্জা কাফিরদের কাছে এতো নির্মমভাবে বিক্রি করে দিয়েছিস? একটা কুকুরও এমন আচরন করতে পারেনা, আজ তোরা তোদের বানোয়াট আইন নিয়ে যা করছিস।
অথচ বাল্যবিবাহ একটি খাছ নিয়ামত এবং সুন্নতী আমল। কিন্তু এই সুমহান সুন্নত কেউ পালন করতে চাইলে তোরা জোর করে করতে দিসনা। আরো জেল-জরিমানা করে থাকিস। তোরা সত্যি পশুর থেকে নিকৃষ্ট কিছু। যাদেরকে পশুরাও ঘৃনা করে। কেননা তোরা বাল্যবিবাহের বিরোধীতা করে নুরে মুজাসসাম হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধীতায় মেতেছিস। তোরা জালিম,তোরা পশু, তোরা কাফির, তোরা নিকৃষ্ট জীব। তোদের জন্য অপেক্ষা করছে অপমাননাদায়ক শাস্তি। যেখান থেকে তোদের কথিত মনিবরা তোদেরকে রেহাই দিতে পারবে না।
Click This Link
Click This Link