নাস্তিকদের একটা প্রকারভেদ করার চেষ্টা করলাম। কারো অনুভূতিতে আঘাত লাগলে ক্ষমাপ্রার্থি। নাস্তিক সাধারণত ৫ প্রকারঃ
১। উগ্র বা চরমপন্থি নাস্তিকঃ
এরা হলো নাস্তিক প্রজাতির গ্র্যান্ডমাস্টার। এদের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হল ধর্মকে সমূলে উৎপাটন করা। আর এরাই মূলত ধর্মীয় জঙ্গিবাদের স্বীকার হয়।
২। নরমপন্থী নাস্তিকঃ
এদের নাস্তিকতা নিয়ে কারো মনে কোনো সন্দেহ না থাকলেও এরা সাধারণত কারো টার্গেটে পরিনত হয়না কারন এদের ধর্ম নিয়ে কোনো মাথাব্যাথা নাই। ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোতে এদের বিন্দুমাত্র আগ্রহ নাই।
৩। রহস্যময় নাস্তিকঃ
আপাত দৃষ্টিতে এদের আস্তিক বলে মনে হলেও এরা আসলে মনে প্রানে নাস্তিক। ধর্মকে এরা সংস্কৃতির মতো পালন করে তাই এদের আচরণে সেটা ধরা পরে না।
৪। ভণ্ড নাস্তিকঃ
এক লোক সমুদ্রে গোসল করতে যেয়ে গভীর পানিতে তলিয়ে যাচ্ছিল। শেষ চেষ্টা করলো উপরওয়ালার কাছে প্রার্থনা করে “হে আল্লাহ্! এবারের মতো আমাকে রক্ষা করো। আমি তোমার নামে ১০০ ফকিরকে বিরিয়ানি খাওয়াবো” পরে দৈবক্রমে একটা ঢেউ এসে লোকটাকে বাঁচিয়ে দেয়। বিপদ কেটে যাওয়ার সাথে সাথে লোকটা বলে উঠে “ ধুর! কিসের বিরিয়ানী!” পরক্ষনেই আরেকটা ঢেউ এসে লোকটাকে যখন সমুদ্রের গভীরে নিয়ে যায় তখন সে বলে উঠে “হে আল্লাহ্! আমিতো শুধু জানতে চেয়েছি, চিকেন না কাচ্চি?” এই কৌতুকের মাধ্যমেই এদের চরিত্রটা আসলে সম্পূর্ণ বুঝা যায়। এরা সাভাবিক অবস্থায় পুরোপুরি নাস্তিক। কিন্তু কোনো বিপদ-আপদ আসলে এরা ১৮০ ডিগ্রী এঙ্গেলে ঘুরে পুরোপুরি আস্তিক হয়ে যায়।
৫। ভীতু নাস্তিকঃ
এদেরকে আসলে নাস্তিক প্রজাতির মধ্যে ফেলা যায় না। ধর্ম নিয়ে এদের মনে অনেক প্রশ্ন থাকে। ধর্মের অনেক বিষয় এরা মনে প্রানে মানতে পারেনা কিন্তু এইসব নিয়ে প্রশ্ন করার সাহসও তাদের নেই। শেষে আম-ছালা দুই’ই হারানোর ভয়ে এরা চুপচাপ থাকে।