আমি বরাবরই আস্তিক-নাস্তিক বিতর্কের বাইরে থাকতে চাই। আমার ঈমানে আমি শক্ত। এই হাদিসটি আমি কঠিন ভাবে অনুসরণ করার চেষ্টা করি, "আবু হোরায়রা রাদিয়াল্লাহু 'আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ "যে ব্যক্তি আল্লাহকে ও আখেরাতকে বিশ্বাস করে, তার হয় উত্তম কথা বলা উচিত অথবা চুপ থাকা উচিত।" তাই যে বিষয়ে আমি যথাযথ পাল্টা উত্তর দিতে পারবনা সে বিষয়ে চুপ থাকাই শ্রেয় বলে মনে করি।
এটা ঠিক যে জাফর ইকবালের বিরুদ্ধে নাস্তিকতার একটা অভিযোগ সবসময়ই চলে আসছে। তিনি যদি তাঁর লেখায় বোরকা কে নারী উন্নয়নের প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কোনোভাবে উপস্থাপন করেন তাহলে আমাদের তো উচিত ইসলামের আলোকে নারীদের জন্য বোরকার প্রয়োজনীয়তা এবং সেটা প্রতিবন্ধকতা নাকি সহায়ক তা যুক্তি তথ্য দিয়ে ব্যাখ্যা করা । কিন্তু সেদিকে না গিয়ে আমরা কত কষ্ট করে, না জানি কত রাতের ঘুম বাদ দিয়ে তাঁর মেয়ের ছবি যোগার করে তা নিয়ে ব্যাপক হইচই শুরু করে দিলাম !! তাতে কি আমাদের আস্তিকতা এবং জ্ঞ্যানের বিচ্ছুরণ হলো নাকি আমাদের পাল্টা জবাব দিতে না পারার অক্ষমতার নির্লজ্জ বহিঃপ্রকাশ হলো ?
আর শেষে, একটি পোষ্টে ব্লগার আম-আঁটির ভেঁপুর একটি কমেন্ট উদ্ধৃত না করে পারছি না, "আমি তাঁর লেখার একজন ভক্ত। তবে তিনি কোনো কিছু লিখলেই সেটা দৈববাণীর মত প্রতিভাত হয় এক শ্রেণীর লোকের কাছে। আবার আরেক দলের কাছে তাঁর প্রতিটি নির্দোষ বক্তব্যও অসহ্য। এ থেকে বোঝা যায়- আমাদের দেশে সহনশীলতা, মুক্তচিন্তা এবং বাকস্বাধীনতার অবস্থান কোথায়।" কারণ আম-আঁটির ভেঁপুর সাথে আমি চরম ভাবে সহমত।