মে মাসের প্রথম দিনঃ অনেক সভা - মিছিল , শ্রমিকদের প্রতি অকুণ্ঠ ভালবাসা!
মে মাসের দ্বিতীয় দিন থেকে ৩০ শে এপ্রিল পর্যন্তঃ শ্রমিক হোল কাজ করার জন্য , কাজ করতে করতে মরে গেলেই বা কি!? ওদের গোনায় ধরে কে!!? অর্থাৎ , বছরের ৩৬৪ দিন হোল মালিক দিবস!!
গত কালকের একটা ঘটনা বলি , , আমার বাসার পাশেই একটা পোশাক কারখানা আছে, তো সন্ধ্যায় আমি যখন চা পান করতে বাহিরে গেলাম দেখলাম ঐ কারখানা খুব জাক- জমক লাইটিং দিয়ে সাজানো হয়েছে! আমি তো পুরাই বিস্মিত! খুব আগ্রহ করে কারখানার দারওয়ান কে জিজ্ঞেস করলাম-
-মামা , মালিকের বিয়ে নাকি?
(মামা মহা বিরক্তি ভিতরে চাপিয়ে উত্তর দিল,)
- না ! জানেন না কাল মে ডে!!
(আমি , খিঁচ খেয়ে লজ্জার মাথা খেয়ে আবারও বোকার মত প্রশ্ন করলাম)
- তো কি হইছে!?
( মামা , এবার রাগান্বিত ভঙ্গি নিয়ে তাকিয়ে বলল)
-সেই জন্যই এই লাইট লাগাইতাছে!!
(মামার ভঙ্গি দেখে আর অনীহা দেখে ভয় পেয়ে আমি ঐ জায়গা প্রস্থান করলাম!)
এবার মজার কথা টা বলা যাক , মজার কথা টা হোল , যেই ছেলে টি লাইট লাগাচ্ছিল , তার বয়স ঊর্ধ্বে গেলে ১২-১৩ হবে! সুতরাং , এটা শিশু শ্রমের আওতায় পরে , মে দিবস উৎযাপন উপলক্ষে যদি এক্তি শিশু কে খাটানো হয় , তাহলে আমি সে মে দিবস চাই নাহ! আজ আমরা যারা মিটিং মিছিল করছি তারাই কাল এইসব শ্রমিক দের কথা ভুলে যাবো! আচ্ছা , আজ কি আপনি কোন শ্রমিক কে ভালবেসে বুকে টেনে নিয়েছেন- অন্তত একদিনের জন্য? না নেন নি , আমরা কেউ নেই না! আর এটাই সত্যি! একদিনের জন্য আমরা তাদের সম্মান দিতে পারি না, যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য আজ আমরা এখানে মাথা উঁচু করে বেচে আছি!
মে দিবস উপলক্ষে নয় , সামগ্রিক দিক বিবেচনা করি সকল শ্রমিক কে জানাই আমার লাল সালাম! মে দিবসের চেতনা রয়ে যাক ৩৬৫ দিন।