বিশিষ্ট পরিবেশ বিজ্ঞানী ও সুশীল সমাজের হোতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি- আপনাদের নিশ্চয়ই জানা আছে যে , সুন্দরবন পৃথিবীর একমাত্র দীর্ঘতম ম্যানগ্রোভ বন। যেখানে ২৪০০০ প্রজাতির প্রাণীকুলের বসবাস রয়েছে। পরিবেশ ও প্রতিবেশগত দিক থেকে সুন্দরবনের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। সুন্দরবনের বাঁচা মরার উপর নির্ভর করবে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১৭ টি জেলার বাঁচা মরা। বাগেরহাটের পশুর নদের তীরে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপিত হলে এর বিষাক্ত কালো ধোঁয়া আচ্ছন্ন করে ফেলবে সুন্দরবন এলাকার নির্মল আকাশ। চিমনি দিয়ে উগরানো ছাই বিস্তীর্ন এলাকার বাতাসে ঘটাবে মারাত্মক দূষণ। কারখানাটির কার্বন, পারদ, সিসা, আর্সেনিকসহ নানা বর্জ্য সরাসরি দূষিত করবে নদীনালার পানি। পরিবেশ বিদগণের একটা বড় অংশ তাই আশংকা করছেন যে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ফলে সুন্দরবন পৌঁছে যাবে নিশ্চিত ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
এখন প্রশ্ন এটাই যে এত কারণের পরেও কেন সুন্দরবনে নির্মিত হতে যাচ্ছে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র?? বাংলাদেশের এই দুর্ভোগ কেন আমাদের সরকারের চোখে পড়ছে না?
ভারতীয় দালাল হাম্বালীগ সরকার বরাবরই দেশ কে নিয়ে জুয়া খেলে চলেছে- এটা স্পষ্ট যে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র আমাদের জন্য অভিশাপ নিয়ে আসবে আর এর সুযোগ নিবে ভারতীয় রক্তচোষা’রা।
দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকারের জোচ্চুরি রুখতে আমাদের স্বাধীন দেশে রক্ত দিতে হয়। অবিলম্বে এই প্রহসনের বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি।।
সভ্যতার কাছে হেরে গিয়ে আমরা ঐতিহ্য কে বিলিন করতে পারি নাহ।।