যারাই হরতালের ডাক দেয় , তারাই দাবি করে হরতাল একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া! প্রশ্ন হোল তারা কি আসলেই গণতন্ত্রের মানে বুঝে? আমার মনে হয় নাহ, আমাদের সোনার বাংলাদেশে আজ অব্দি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় নি- যার ফলশ্রুতিতে আমাদের আজও টানা ৪ দিন হরতালের মত এক ভয়ংকর একটি দুর্ভিক্ষের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে।
একটি স্বাধীন দেশে হরতাল কারোরই কাম্য নয় বলেই আমার বিশ্বাস, যারা হরতালের ডাক দিচ্ছে তারা অবশ্যই জনগনের মুক্তির পরোয়ানা এনে দেয়ার জন্য হরতালের মত অভিশাপের আশ্রয় নিচ্ছে নাহ, তাদের একটাই লক্ষ্য - লুণ্ঠিত ক্ষমতা ফিরে পাওয়া। ক্ষমতার জন্যই কিংবা নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্যই তাদের এই সংগ্রাম।
একটা জিনিষ কি কখনও ভেবে দেখেছেন- এই যে বানের গতিতে হরতালের পর হরতাল আমাদের ভাসিয়ে দিচ্ছে- এইভাবে ভেসে ভেসে আমরা আসলে কোথায় গিয়ে দাঁড়াচ্ছি ? আমরা দাঁড়াচ্ছি মহাকালের গহবরে হারিয়ে যাওয়া অন্ধকার ঘরের সামনে! যেখান থেকে উত্তরনের পথ আসলেই অজানা! সেই মানুষ গুলোর কথা কি কখনও ভেবেছেন - যারা দিন আনে দিন খায়! একটি হরতাল তাদের জন্য একটি উপোষ, একটি হরতাল মানে তাদের ক্ষুধার্ত পেটে কাটানো আরও একটি বিনিদ্র রজনী। সেই সব ক্ষুদ্র ব্যাবসায়িদের কথা কি কখনও ভেবেছেন- যারা হরতালের তোপে প্রতিনিয়ত পথে বসে যাচ্ছে! সেই সব শিক্ষার্থীদের কথা কি ভেবেছেন - যারা দিনের পর দিন সেশন জটের গোলক ধাঁধায় নিজেদের ভবিষ্যৎ হারিয়ে ফেলছে! না আমরা ভাবি না, আমরা ভাবি না- এই হরতালে যে মায়ের বুক খালি হচ্ছে তার কথা, আমরা ভাবি না- উপোষ করা মানুষ টার কথা!! এই যদি হয় গণতান্ত্রিক হরতাল তাহলে সেই গনতন্ত্রে আমি থুথু ফেলি।আমার সেই গণতন্ত্রের কোন দরকার নাই।।
৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই দেশ কারো চুড়ি করা অর্থের পাহাড় তৈরির জন্য নাহ, কারো স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য নাহ। বাংলাদেশে আর কোন হরতাল মানি নাহ। যারা হরতালের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করবে তাদের এর পর থেকে নৈরাজ্য কাকে বলে বুঝিয়ে দিবো ইনশাল্লাহ।
সকল প্রকার হরতাল কে প্রত্যাখ্যান করুন, এটা আপনার আমার গণতান্ত্রিক অধিকার।।
জয় বাংলা।।