সহজ ভাষায় কঠিন কথা বলার এখন আর সাহস হয় নাহ!! তবুও , কুত্তার ল্যাজ যেমন সোজা হয় না- তেমনই একজন ব্লগার হিসেবে আমাদেরও কীবোর্ডে টিপাটিপি বন্ধ হয় নাহ!!
প্রসঙ্গঃ হালাল নাস্তিক ও হারাম নাস্তিক!!
>> নাস্তিকতা ও আস্তিকতা শব্দ দুইটার সাথে এখন আমরা অতি পরিচিত ইহা বলাই বাহুল্য!! প্রশ্ন হোল আমরা কাকে নাস্তিক বলবো? কিংবা কাদের কে নাস্তিকের আয়তায় আনা যায়! কি করলে ডিবি আমাদের ধরে নিয়ে যাবে কিংবা কি করলে বাক-স্বাধীনতা অবরুদ্ধ হয়!
__ যে ব্যাক্তি একেশ্বরবাদে বিশ্বাসী নয়, তাকে আমরা নাস্তিক বলে অভিহিত করতে পারি! নাস্তিকতা কোন অপরাধ হতে পারে না বলেই আমার বিশ্বাস! একজন মানুষ তাঁর নিজস্ব চিন্তা ধারায় বিশ্বাস রাখার অধিকার রাখে- এবং এটা তাঁর একান্তই ব্যাক্তিগত ব্যাপার!আমাদের মধ্যে অনেক বিখ্যাত ব্যাক্তি আছেন যারা নাস্তিক! হুমায়ূন আজাদ স্যার , সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় - এরাও নাস্তিক ছিলেন! সমস্যা টা তাহলে কোথায়? সমস্যা হোল ধর্মানুভুতিতে আঘাত! এবার এই আঘাতের কিছু নমুনা ব্যাখ্যা করি! আমাদের মধ্যে একজন নাস্তিক ব্লগার ভাইয়ের উদাহরন এখানে দিতে পারি, তিনি আর কেউ নন মহান আসিফ মহিউদ্দিন! তিনি মুহাম্মাদ কে মহা - আহাম্মক বলে ব্যাঙ্গ করেছেন - যা অবশ্যই ধর্মানুভুতিতে আঘাত করে! আমি একজন মুসলমান হিসেবে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই! এটা আমার ঈমানী দায়িত্ব! সেই দিক থেকে ধর্ম প্রান মুসলমান রা যদি এর প্রতিবাদ করে ও বিচার দাবি করে তাতে কোন ভুল আছে বলে আমার মনে হয় নাহ!! কিন্তু, সমস্যা হোল, বাংলাদেশের ধর্মপ্রান মুসলমান'রা এখনও নাস্তিকতার রুপ অনুধাবন করতে সক্ষম হন নি! একটু ব্যাখ্যা করা উচিৎ!
যখন একদল মানুষ ইসলামের নামে হরতাল ডেকে , জ্বালাও - পোড়াও কর্মসূচী পালন করে তখন কি ইসলাম কে অবমাননা করা হয় না? যদি হয় তাহলে তারাও নাস্তিক! যখন ইসলাম কে পণ্য করে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য বাজারে নিলামে তোলা হয় , তখন কি ইসলাম অবমাননা হয় না? যদি হয় তবে তাঁর সাথে সম্পৃক্ত সকলেই নাস্তিক! যখন , একজন মাওলানা মাহফিলের নামে , অন্য ধর্ম কে নিয়ে কটূক্তি করে, তখন কি এটা অন্য ধর্মাবলম্বী মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করে না? যদি করে, তাহলে সেই সব মাওলানা ও নাস্তিক! যখন ইসলাম কে সামনে রেখে একদল সুযোগ সন্ধানী লোক , অন্য ধর্মের মানুষের ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে দেয় , ইসলাম নিয়ে রাজনীতি করে - তারা কি নাস্তিকতার ভিতরে পরে না? অবশ্যই তারা নাস্তিক!!
ইসলাম শান্তির কথা বলে- ধ্বংসের কথা নয়!!
রাজনৈতিক পটভূমিঃ
আমাদের হাম্বালীগ সরকার নাস্তিক নিধনে একটি নতুন আইন প্রণয়ন করেছে! যার ফলশ্রুতিতে , বাংলাদেশের অক্ষম পুলিশ বাহিনী যাকে খুশী তাকে আটক করে - রিমান্ডে নেবার জন্য আপিল করছে! প্রশ্ন হোলঃ জামায়েতের ধর্ম ব্যাবসা যদি নাস্তিকতার সামিল হয় , তাহলে তাদের কে কেন আটক করে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে না? এই হরতালের নামে নৈরাজ্য কি তাদের কাছে হালাল আস্তিকতা বলে মনে হয়? নাকি হাম্বালীগ ডাবল টাইমিং করে নির্বাচনে আসার জন্য নতুন নকশা করতে ব্যাস্ত!? আর আসিফ মহিউদ্দিনরা তো আজকের নাস্তিক নয়- তাহলে তাদের কে এতো দিন কেন আটক করা হয় নি?
সারকথাঃ শেষ বলে বাংলাদেশে কিছুই নেই! জামায়েত- শিবির নিষিদ্ধ ও রাজাকারের ফাঁসি দিয়ে শুরু হয়েছিল, সেখান থেকে নাস্তিক ও আস্তিক বিষয়ে বিষদ আলোচনা- কথা হোল, এর শেষ কোথায়? এর শেষ যেখানেই হোক না কেন, আমার কেবল একটাই কথা, "সমুদ্রে পেতেছি শয্যা শিশিরে কি ভয়" - রাজাকারের ফাঁসির দাবিতে পথে নেমেছিলাম- ফাঁসি দিয়েই ঘরে ফিরবো ইনশাল্লাহ।। এক দফা - এক দাবি - রাজাকারের ফাঁসি দিবি!!
জয় বাংলা।।