জামাতে ইসলাম একটা কথা সব সময় বলে। তারা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য রাজনীতি করে না। তারা নাকি ইসলামী আন্দোলন করে।
ভৌগলিক অবস্থার কারনে জামাতের বেশ কিছু দায়িত্বশীলের সাথে কথা বলার সুযোগ আমার হয়েছে আমার।
তাদের মূল বক্তব্য হলো তারা ইসলামের জন্য আন্দোলন করে। যদি ও তাদের এই কথার সাথে আমি কাজের মিল খুব একটা পেতাম না।
যথেস্ট পরিমান উগ্রতা আমি লক্ষ করেছি তাদের কথার মাঝে। যাকে তাকে হুট হাট কাফের বলে দেয়া যেনো খুব ই সহজ একটা ব্যাপার -
এখন আমার ছোট মাথায় কিছু প্রশ্ন আছে - ইসলামী আন্দোলন কাদের নিয়ে হবে? আর কাদের বিরুদ্ধে হবে ?
বিদায় হজ্বের ভাসনে আমাদের প্রিয় নবী মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সঃ) বিদায় হজ্বের ভাসনে বলে গিয়েছেন যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। অন্য ধর্ম নিয়া বাড়াবাড়ি না করার জন্য।
এই খানে স্পস্টত ই নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে অন্য ধর্মের ব্যাপারে নাক না গলানোর জন্য।
তাহলে বলতে হয় ইসলামি আন্দোলন করতে হবে নিজের মনের বিরুদ্ধে ।
ইসলামে দুই ধরনের জিহাদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ছোট জিহাদ এবং বড় জিহাদ।
নিজের মনের সাথে যুদ্ধ করাকে বড় জিহাদ বলে।
অর্থাৎ আমি জানি আমাকে নামাজ পড়তে হবে কিন্তু কোনো কারনে আমি নামাজ পড়তেছি না। সেইটা খামখেয়ালী হোক কিংবা অলসতা ই হোক।
এখন এই জিহাদ করার জন্য কিছু অনুপ্রেরনা দরকার হয় আর সেইটা নুরুল ইসলাম ফারুকির মত ব্যাক্তিত্বরা ই করে চলেছেন । তিনি সুন্দর ভাষায় বুঝাতেন কি করে মনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ইসলামের পথে চলা যেতে পারে। আর তখন ই নুরুল ইসলাম ফারুকি অনেকে চোখে শত্রু হয়ে গেলেন।
অথচ লক্ষ করলে দেখবেন " হেফাজত কিংবা জামাত " ইসলামের কথা বলে গাড়িতে আগুন দিচ্ছে , মানুষ হত্যা করতেছে।
সাধারনের শান্তি নষ্ট করতেছে।
ইসলাম শান্তির ধর্ম। আর এই শান্তিপুর্ন ভাবে ইসলামিক আন্দোলন যারা কিংবা যিনি করতেছেন তাদের কে শেষ করে দিলে কারা লাভবান হবে সেইটা খুব সহজে ই অনুমেয়।