রাহাত - গ্রামের সহজ সরল ছেলে।
কলেজের গন্ডি পার হয়ে ভার্সিটি তে ভর্তি হবে , তাই তার গ্রাম থেকে শহরে আসা।
আসার পথে ভাবতেছে গ্রামটা কে। রেখে আসা পরিচিত সব গুলো মুখ বার বার ভেসে আসতেছে তার চোখে.
ঢাকাতে তার তেমন কেও নাই এক দুঃসম্পর্কের খালা ছাড়া , খালার বাসা তে ই থাকবে । এক দিকে পারিবারিক অসচ্ছলতা অন্য দিকে ক্যারিয়ার। তাই রাহাত এর ভাবনায় আর অন্য কিছু নাই। সন্ধ্যার দিকে রাহাত এসে পোঁছায় খালার বাসায়। খালার কোনো ছেলে নেই এক মেয়ে। সুন্দরী বলা চলে । আহামরী সুন্দরী তা ও কিন্তু না তবে তার রেশম কালো চুপ আর হরিনী চোখ তাকে আলাদা করে নেয় অন্যদের থেকে।খালা রাহাত কে তার থাকার ঘর দেখিয়ে দেয় - ফ্রেস হয়ে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে রাহাত। কাল সকালে ভার্সিটি তে ভর্তি হতে যাবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালইয়ের ইংরেজি বিভাগে চান্স পেয়েছে সে। ক্লাস , ভার্সিটি পড়াশুনা এই রাহাত এর পৃথিবী , কিন্তু হটাৎ কি থেকে কি হয়ে যায় এক দিন বিকালে খোলা চুলে ছাদে হাটছে আনিকা। মানে রাহাতের খালার মেয়েটি।
কি দেখে যেনো রাহাত আনমনা হয়ে যায়। হারিয়ে যায় রাহাত , রুমে চলে আসে রাহাত। আজ পড়ায় মন বসতেছে না , #আনিকাকে কোনো ভাবে ই রাহাত মন থেকে আজ মুছে ফেলতে পারতেছে না। আজ কাল ভার্সিটি তে ও কম যায় আনিকাকে সারা দিন দেখবে বলে।
রাহাত বুঝতে পারে এর নাম ভালোবাসা । সে আনিকাকে ভালোবেসে ফেলেছে। কিন্তু এই অসম্ভব কাজ টি রাহাত কি করে পারলো রাহাত বুঝতে পারছে না। রাহাত জানিয়ে দেয় আনিকাকে তার ভালোবাসার কথা এর পর অনেক দিন কেটে গেলো দুইজনের মাঝে কথা নাই। আনিকা কলেজ থেকে এসে নিজের রুমে চলে যায় খুব একটা বের হয় না ।
আজ পুর্নিমা- চাঁদে দেখছে রাহাত ছাদে একা। পিছন থেকে কে যেনো রাহাত এর কাঁদে হাত দেয় ফিরে তাকায় রাহাত। আনিকা কে দেখে চমকে উঠে, মৃদু আলোতে আনিকাকে অসাধারন লাগছে আজ, কিছু একটা বলতে গিয়ে ও রাহাত বলতে পারলো না। থেমে গেলো রাহাত আনিকা রাহাত এর হাত ধরে বসে আছে এই যেনো স্বপ্ন আজ সত্যি হলো। কেটে গেল এই ভাবে কিছু সময়। আনিকা ও তার ভালোবাসার কথা জানিয়ে দিলো রাহাত কে।
এর কয়েক দিন পরের ঘটনা - আনিকার বাবা রাহাত কে তার অফিসে ডেকে পাঠালেন , একটা ঠিকানা হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললেন ভার্সিটি থেকে অনেক দূরে বাসা তাই রাহাতের ভার্সিটির পাশে ই তার থাকার ব্যবস্থা করে দিলেন তিনি অগত্য রাহাত কে চলে যেতে হচ্ছে আনিকার বাসা ছেড়ে। আনিকা শুধু দুই চোখ দিয়ে জল ফেলা ছাড়া কিছু করার ছিলো না।
চার টি বছর এই ভাবে কেটে গেলো - খুব একটা দেখা হতো না রাহাত আর আনিকার/
এক দিন রাহাত কে তার তার খালা ফোন করে বলে কাল যেনো রাহাত সন্ধ্যার দিকে তাদের বাসায় থাকে কারন আনিকাকে দেখতে আসবে পছন্দ হলে কাল ই বিয়ে। রাহাত চমকে উঠে - তার এতো দিনের ভালোবাসা এই ভাবে হারিয়ে যাবে সে বুঝতে পারতেছে না কি করবে।
রাহাত সন্ধ্যার আগেই পোঁছে যায় , আনিকা বৌ সাজে বসে আসে। আজ আনিকাকে একটু বেশী ই সুন্দর লাগছে। হটাৎ রাহাতের কি হয় বুঝতে পারে না। মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যায়, যখন জ্ঞান ফিরলো নিজেকে আবিস্কার করলো তার পুরোনো থাকার ঘরটাতে। আর তার বুকে মাথা রেখে শুয়ে আছে আনিকা।
চমকে উঠে রাহাত , পাশে ই আনিকার আব্বু আম্মু আর রাহাতে আম্মুর গলা শুনতে পায়, আনিকাকে সরিয়ে দিতে চাইলো কিন্তু আনিকা সরতেছে না। রাহাত আনিকা কে বলে তোমার না আজ কে বিয়ে। কেও দেখলে কেলেংকারি হয়ে যাবে, কে শুনে কার কথা আনিকা আর ও জোরে জড়িয়ে ধরে রাহাত কে। টুপ করে চুমু খেয়ে বসে রাহাতের ঠোটে আনিকা, কিছু ই বুঝতে পারে না রাহাত, আমি আমার হবু জামাইয়ের বুকে আছি তাতে কার কি, এই বলে দুস্ট হাসি দেয় আনিকা।
রাহাত এর উষ্ন আলিঙ্গনে শিহরিত আনিকা।
একটু পর কাজী আসবে-
( সম্পুর্ন কাল্পনিক। কার ও ব্যাক্তিগত জীবনের সাথে মিলে গেলে লেখক দায়ি নহে।)