ফেলানি হত্যাকান্ডের রায় মানি না। প্রতিবাদে ভারতীয় সব টিভি চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধ করা হউক।
আমি এটাকে শুধু ফেলানী হত্যার প্রতিবাদ মনে করি না। আমি মনে করি সকল সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদ।
যখন ই বলি আসুন ভারতীয় চ্যানেল বর্জন করি প্রতিবাদ হিসেবে আমার পাশের কেও হয় বলবেন চ্যানেল বাদ দিলে কি হবে ভারতের পন্য ছাড়া তো এক দিন ও চলতে পারবো না।
স্বীকার করছি । Globalization এর যুগে সেইটা আসলে ই possible না।
তবে কথা থেকে যায় । আচ্ছা ধরুন আপনার সামনে বাংলাদেশী পন্য আর ইন্ডিয়ান পন্য রাখা হলো আপনি কি নিবেন ? কোন টা নিবেন ? বুকে হাত দিয়ে আমি বলব আমি বাংলাদেশী টা ই নিবো।
যে খানে আমাদের opportunity আছে সেই খানে কেনো আমরা ভারতীয় পন্য কিনতে যাবো?
আজ কে যদি বাংলাদেশে ইন্ডিয়ান চ্যানেল গুলোর উপর একটু কড়াকড়ি আরোপ করা হয়, আস্তে আস্তে কমিয়ে ফেলা হয় তাহলে কি দাঁড়াবে ? ভারতীয় পন্যের বিজ্ঞাপন দেখা থেকে মুক্তি পাবেন, সকাল ঘুম থেকে উঠে টিভি খুলে দেখেন তারা যে প্রোডাক্ট দিয়ে দাত মাঝতেছে আপনার মনে ও সেই বাসনা জাগবে । তাই আপনি সকাল থেকে ই তাদের মাঝে হারিয়ে যান । থাকেন বাংলাদেশে কিন্ত চিন্তা চেতনায় আপনি ইন্ডিয়ান । বিশ্বাস হচ্ছে না । আসেন প্রমান করি । আপনি যখন সারা দিন ইন্ডিয়ার সিরিয়াল গুলো দেখতেছেন কি হচ্ছে আপনার মননে ? শুধু ই তাদের কালচার টা কে আপনি ধারন করতেছেন। তাই ইন্ডিয়ায় পন্য বর্জন করার আগে ই সবার আগে বর্জন করতে হবে ইন্ডিয়ার সিরিয়াল । আমরা যদি সচেতন হই সরকার ও বন্ধ কর দিতে পারবে এই সব চ্যানেল।
হুম বলবেন বাংলাদেশে ভালো মানের সিনামা তৈরী হয় না। হেন তেন। আচ্ছা গেরিলা , আমার বন্ধু রাসেদ এই মুভি গুলো দেখছেন ? এই বার হয়ত বলবেন খুব নগন্য সংখ্যক । আচ্ছা কত টা সাড়া পড়ছে এই মুভি গুলো তে? যদি আমরা এই মুভি গুলো সাড়া ফেলতে পারতাম আর ও মুভি তৈরী হত । আমরা ইংলিশ মুভি দেখি , চাইনিজ মুভি দেখি সেই অনুপাতে ভারতীয় মুভি দেখতে পারি কিন্তু কোনো ভাবে সিরিয়াল না। আবার ও বলি globalization এর যুগে ভারত এর মুখ দেখব না পন করে থাকতে পারবো না । তবে ভারত প্রীতি থেকে তো সরে আসতে পারি ।
কিছু কুলাঙ্গার কে দেখি ভারত এর সাথে ক্রিকেট ম্যাচ হলে ভারত এর সাপোর্টার তারা। এরা মাঝে সাঝে যুক্তি দিতে আসে আমার কেনো জানি রুচি হয় না এদের সাথে তর্কে যাওয়ার। আমি হারি জিতি বাংলার ক্রিকেটের ই এক মাত্র সাপোর্টার। জিতলে যেমন কাধে তুলে আমরা নাচি আবার হারলে আমরা ই গালি দেই আমাদের ছেলে গুলো কে। এই যে হেরে গেলে গালি দেই এই টা ও এক ধরনের ভালোবাসা ।
ইন্ডিয়ার স্বাধীনতার ২৪ বছর পরে আমরা স্বাধীনতা পাই। আমরা তাদের থেকে ২৪ বছর পিছিয়ে আছি। যদি ইন্ডিয়ার চ্যানেল গুলো থেকে আমরা বের হয়ে না আসতে পারি আগামী ১০ বছর পরে আমরা ৫০ বছর পিছিয়ে যাবো তাদের থেকে।
আবার ও বলি ইন্ডিয়া কে বর্জন না। ইন্ডিয়া প্রীতি কে বর্জন করতে হবে প্রথমে।
আপসোস হয় এই দিকে ঝুলে গুলির আঘাতে সীমান্তে এক বোন ,আরেক দিকে ঝুলে স্টার জলসা দেখতে না দেওয়ার অভিমানে আত্বহত্যায় আরেক বোন।
বাজারে গিয়ে আগে না হয় দেশী তেল টা ই নেই । যদি না থাকে তো ইন্ডিয়ার টা না হয়।
অথ্যাৎ বলতে চাইতেছি এক বারে না পারলে নিবো।
আমরা এখন ও স্বয়ংসম্পুর্নটা অর্জন করতে পারি নাই, তাই আমরা বললাম আর করে ফেললাম তা হবে না।
তবে ভারত বর্জন এর প্রথম ধাপ অবশ্যিই ভারতীয় চ্যালনেল বর্জন করা।
আমাদের কত গুলো চ্যানেল ভারতে যায়? আনুপাতিক হারে এই দেশে ঠিক তত গুলো চ্যানেল ই চলতে দেয়া হোক।
বলবেন চ্যানেল বন্ধের দাবিতে পাশে কাওকে পাবেন না। হুম পাইনি। প্রথম যে দিন এই নিয়া আমি পোস্ট করি আজ থেকে দেড় বছর আগে সেই দিন আমার এক বন্ধু গালী দিয়া ইনবক্স করছে। গত ৬ মাসে যখন এই নিয়া কথা বলছি অনেক গুলো মানুষ কে দেখেছি আমার মত করে কথা বলছে। নিজে থেকে এগিয়ে গিয়ে তাদের কে বলছি আমি ও ছিলাম এবং আছি এবং থাকব । প্রতিবাদ হোক। বিজয় আসবে ই ।