কখনো এমন সময় আসে যখন দুটি হৃদয় একে অপরের হৃদস্পন্দন অনুভব করতে পারে কিন্তু পারে না একে অপরকে আকড়ে ধরতে। পারে না একসাথে সারাজীবন বাচতে। অনেক সময় ক্ষনিকেই শেষ হয়ে যায়। অনেক ভালোবাসাই আছে যেখানে দুটি প্রাণ একসাথে স্পন্দিত হয় কিন্তু তার ছোয়া তৃতীয় কোনো প্রাণে লাগে না। হয়তবা লাগে, লাগলেও তারা দূরে সরিয়ে রাখে পৃথিবীর সামন্জস্যতার ব্যঘাত নিরসনে। অদ্ভুত এসব জটিলতার মাঝে অনেক বাধা বিপত্তি পার করা যায় কিন্তু শান্তি মেলেনা। জানি ভালোবাসা শান্তির সুবাতাস নিয়ে আসে, কিন্তু ঠিক একই কারনে অনেক সময় ভালোবাসা দূরে সরে যায় স্বেচ্ছায়।
স্বেচ্ছায় নির্বাসনে যাওয়া হৃদয়ে অনেক শুন্যতা ঘিরে ধরে, দিনের পর দিন শুন্যতা বাড়তেই থাকে। অনেক সময় এই শুন্যতার মাঝে ঝটিকা শান্তির সুবাতাস দোলা দিয়ে যায় কিন্তু শূন্যতাকে ছূড়ে ফেলতে পারে না। শুন্য হৃদয় জানে, যেখানে দুটি হৃদয় সমসুরে গাইলেও সংগীত হয় না সেখানে প্রেমকাব্যও রচিত হতে পারে না। তাই এই সংগীত, কাব্য শুন্য থেকে শুন্যেই মিলিয়ে যায়।
ভালোবাসার উদয়ের দিনগুলোতে মনের হাজারো কথা কয়েক লাইনে লিখে পাঠানো চিঠিখানা শুরু থেকে শেষদিন পর্যন্ত রয়ে যায় স্মৃতি হয়ে। হয়তবা খুলেও দেখা হয় না, কিন্তু সময়ের ব্যবধানে হৃদয়ে নাড়া দেয় ভালোবাসা, হ্যা আমি আছি। হয়তোবা সাথে নেই, হয়তোবা নেই আজীবনের জন্য, কিন্তু হ্যা আমি আছি। এই ব্যক্ত কথামালার উপলব্ধি সামনের অব্যক্ত ভালোবাসাকে ভয় পায়। শত চাওয়া পাওয়ার আকাঙ্খাকে দূরে সরিয়ে রাখে। হয়তবা চায়না একই কাব্য বার বার রচিত হোক যেখানে দুটি হৃদয়ের একটি প্রানও সমসুরে সুর মেলাতে পারে না। প্রেমের পদ্য তাই নানা অনিশ্চয়তায় শুধুই ভেসে বেড়ায়। ধরা দেয় না। মন চায় বলতে, পারেনা নানা উপলব্ধির বেড়াজালে বন্দীদশায়।
অসীম প্রতিক্ষার শেষে
আজ এক টুকরো মেঘ নিয়ে এলে,
মরুভূমির দেশে এক পশলার বৃষ্টি।
চলে যেও মেঘ এতটুকু বৃষ্টি ঝড়িয়ে,
ধুয়ে মুছে দিও এই মরুর সীমাহীন ক্লান্তি,
সহস্র যুগ অপেক্ষার পর মেঘ তোমায় পেয়েছি
যেওনা এখনি, থেকে যাওনা কিছুক্ষন।
থেকে যাও রংধনু ফুটে ওঠা পর্যন্ত
চলে যেও, তবে দিয়ে যাও এতটুকু প্রতিশ্রুতি
আবার আসবে ফিরে, থাকবে তুমি আরও কিছুক্ষন
অপেক্ষায় রইলাম সেই মুহুর্তের জন্য।
(ডার্কলর্ড)
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১৭