প্রিয় জোনাকি
প্রযত্নে: বর্ণকথা
তুমি কেমন আছো ; খুব জানতে ইচ্ছে করে। আজ অনেক দিন হলো তোমার চুলের সেই ঘ্রাণ খুঁজে পাই না। শেষ বিকেলে তোমার চিবুকে মাথা রেখে আকাশ দেখি না। আমি গভীর রাতে ঘুম থেকে উঠে বলি না জোনাকি ; চল আমারা দু'জনে জোছনায় স্নান করি। তোমায় নিয়ে হয়ত এখন অন্য কেউ জোছনা দেখে, হয়ত দেখে না। হয়ত সে জোছনা কী তাই জানে না। তোমায় নিয়ে এখন কি কেউ কাব্য লিখে? আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে। আমি সেই কাব্য গুলো একবার পড়তে চাই। সেই বর্ণ গুলো কি তোমার আয়োময় বর্ননা দিতে পারে? হয়তবা তোমায় নিয়ে এখন কেউ কোন কাব্যই লিখে না। তুমি ও তোমরা হয়ত এখন মিশে গেছো নাগরিক সভ্যতায়। তোমরা জীবনকে গুছিয়ে নিয়েছো তোমাদের মত করে। যেখানে আছে তিন বেডের ছিমছাম ফ্লাট, গাড়ি আর দামি দামি আসবাবপত্র। সেখানে নেই কোন খোলা আকাশ, নেই ফুলের তাজা ঘ্রাণ, নেই কোন রক্তকরবী, নেই পাখিদের কিচিরমিচির, নেই কোন কবির তোমায় নিয়ে লিখা কাব্যমালা।
তুমি বলেছিলে আমায়; আমি কেন আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকি। তুমি কি জানো; আমি এখনো আকাশের দিকেই তাকিয়ে থাকি। আকাশের বিশালতায় আমি আমার বেদনার নীল রঙ গুলো ছড়িয়ে দেই। তুমি বারান্দা দিয়ে তাকিয়ে দেখো ; আকাশটা কত নীল! আমার বেদনা গুলো এখনো তোমার বারান্দায় উঁকি দেয়, তোমার প্রতিটি চলার পথে আমার আকাশ চলে তোমার সাথে সাথে। তোমার মাথার উপরে দাঁড়িয়ে তোমাকে আজো আমার ভালবাসায় স্নিগ্ধ করে। যা তোমার অগোচর।
ভাল থেকো তুমি। আমি আকাশ নিয়ে ভাল আছি। সেখানে তুমি নেই। তবে আমার বেদনার রঙ গুলো আমায় ভাল রেখেছে। ওরা আকাশের সাথে আমায় নিয়ে সুখে আছে।
ইতি
বর্ণের ফেরিওয়ালা ।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩৩