বিঃদ্রঃ নিম্নোক্ত লেখাটি আমার নয়। আমার দেশ নামক একটি পত্রিকার ওয়েবসাইটে একটি খবরের মন্তব্য হিসাবে জনৈক নিম্নোক্ত মন্তব্যটি প্রদান করেন। তার মন্তব্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আমার এই পোষ্ট। আসলেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বাংলাদেশকে ধর্মনিরপেক্ষ করার এই পদক্ষেপগুলো নিয়েছিলেন এবং তার এই পদক্ষেপগুলো কতটুকু যুক্তিযুক্ত ছিল তা একটু বিশ্লেষন করলে ভাল হত।
আমার প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একজন মুসলমান হয়েও কেন ইসলাম বিদ্বেষী ছিলেন? (যদি নিচের কথাগুলো সত্য হয়)
১৯৫৫ সালে 'আওয়ামী মুসলিম লীগ' শব্দ থেকে মুসলিম বাদ দিয়ে শুধু আওয়ামীলীগ করে ।
১. শেখ মুজিবুর রহমান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রাম থেকে “ইকরা বিস্মী রাব্বিকাল্লাজি খালাক” অর্থ পড় সে প্রভুর নামে যিনি তোমায় সৃষ্টি করেছেন। কোরানের এই আয়াত তুলে দেন, ধর্মীয় শব্দ বলে।
২. শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রাম থেকে “রাব্বি জিদনী ঈলমা” অর্থ “প্রভু আমায় জ্ঞান দাও”। কোরানের এই আয়াতটিও তিনি তুলে দেন তাঁর প্রচন্ড ক্ষমতা বলে ধর্মীয় শব্দের অযুহাতে।
৩. “কবি নজরুল ইসলাম কলেজ” থেকে ইসলাম বাদ দিয়ে, কবি নজরুল কলেজ করা হয়। অপবাদ দেন ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গির।
৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের “সলিমূ্ল্লাহ মুসলিম হল” থেকে, মুসলিম শব্দ বাদ দিয়ে সলিমূ্ল্লাহ হল করা হয়, যা এখনও বিদ্যমান। অপবাদ ইসলাম ধর্মের। অথছ ভারতের মত কট্টর হিন্দুয়ানী দেশে ২০০শত বছরের পুরানো বিদ্যাপীট আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালেয় নামের সাথে মুসলিম শব্দ আজও টিকে আছে।
৫. ঢাকার মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ রোডের নাম পরিবর্তন করা লাগবে, তার স্থলে বসানো হল ইন্দিরা গান্ধীকে। ধরেই নিলাম ইন্দিরা গান্ধী একদা আমাদের বন্ধু ছিল, সে জন্য তো অন্য রোড ছিল। আবার জিন্নাহ তো আমাদের দোষমন ছিলনা। রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকতেই পারে, তিনিই পাকিস্থান সৃষ্টি করেছেন, পাকিস্থান না হলে শেখ মুজিব কখনও বলতে পারতেন না - বাংলাদেশ।
৬. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আল্লামা ইকবাল হলের নাম পরিবর্তন করে সূর্যসেন হল করা হল।
ইকবাল মুসলিম জাগরনের কবি, তাঁর কবিতা মুসলিম সাহিত্য, মাদ্রাসা, হাজারো আলেমের হূদয়ে গুঞ্জরণ হয় আজো। মুসলিম জাতিকে গড়ে তূলতে ২৫ হাজার পংতির শুধু কবিতাই লিখেছেন। তিনিই প্রথমে বৃটিশ থেকে স্বাধীন করে আলাদা একটি মুসলিম ভূখন্ডের কথা বলেছিলেন ফলে তাকে পাকিস্থানের স্বপ্নদ্রস্টা বলা হয়। তিনি মৃত্যুবরন করেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে মানে পাকিস্থানের জন্মেরও বহু আগে।
ইকবালের নাম নাহয় তুলে দেয়া হল, কিন্তু যার নাম তাঁর যায়গায় দেওয়া হল তিনি হলেন বিপ্লবী নেতা সূর্যসেন। সূর্যসেন চরম মুসলিম বিদ্ধেষী, তার দলে মুসলিম তো দূরের কথা, ব্রাহ্মন ব্যতীত কোন সাধারন হিন্দুকেও সদস্যও করা হত না। তিনি বৃটিশের বিরুদ্ধে বিপ্লবের কথা বলে যত ব্যক্তি হত্যা করেছেন, তার ৮০% ছিলেন মুসলিম।
৭. শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর শাসনকালে ধর্মনিরেপেক্ষতার অজুহাত তুলে সংবিধান থেকে বিসমিল্লাহর মত ছোট্ট কথাটিকেই ঝেঁটিয়ে বিদায় করেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:১৩