আজ শুক্রবার দুপুরে ফরিদপুরের কাজী নজরুল ইসলাম হলে কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে “শ্রম, কর্মসংস্থান ও প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বিশ্বজুড়ে মন্দা থাকলেও গত ১০ মাসে চার লাখ এক হাজার ৫০৫ জনকে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। এ সময় দেশে আট হাজার ৮০২ দশমিক ৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। ভালোভাবে কর্মসংস্থান করে আগামী বছর ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে আরও পাঁচ লাখ লোককে বিদেশে পাঠানো হবে।“
আমার প্রশ্ন ও ভাবনা
১) সরকারের ভূমিকা কি বিদেশে লোক পাঠানোর ক্ষেত্রে? বাংলাদেশের অশিক্ষিত জনগন নিজের গাঁটের খরচ করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতারনার শিকার হয়ে বিদেশে কাজের আশায় যাচ্ছে। সরকার কি করছে? পাসপোর্ট ইস্যু আর নবায়ন করাই কি তাদের কাজ? বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো কি সরকার নিয়ন্ত্রন করছে? কেউ প্রতারিত হলে সরকার কি করছে?বেসরকারি প্রতারক রিক্রুটিং এজেন্সিদের বিরুদ্ধে সরকার নিশ্চুপ কেন? বিদেশে যারা অবৈধভাবে চাকুরী করছে তাদের বৈধতার কথা কি তারা চিন্তা করেন?
২)হ্যাঁ অনেক রেমিট্যান্স এসেছে। কিন্তু এই রেমিটেন্স এর পিছনে বাংলাদেশের প্রবাসী জনগনের কষ্টের কথা কি কখনও ভেবে দেখেছেন? তারা যে প্রতারিত হচ্ছে তাদের জন্য সেখানে কিছু করার চেষ্টা করছেন? তারা যে সেখানে তাদের পরিশ্রমের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না তা চিন্তা করে দেখেছেন।বিদেশে শ্রমিকদের পাসপোর্ট কোম্পানি জোর করে নিজের জিম্মায় কেন রাখে তার কোন সুরাহা করতে পেরেছেন।
৩) “ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে আরও পাঁচ লাখ লোককে বিদেশে পাঠানো হবে” – এই পাঁচ লাখ লোকের জন্য বাংলাদেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করলে কি বেশি সমস্যা হবে নাকি? যারা বিদেশে যাবে তারা সরকারের কাছ থেকে কি সুবিধা পাবে? আমার উত্তর – সরকার তাদের মুলিবাঁশ উপহার দিবে পিছন দিয়ে।
অবশেষে বলিতে চাই - হে শ্রমমন্ত্রী ঘুমাইয়া ঘুমাইয়া বিদেশে কত লোকেরে পাঠাইবেন আর রেমিটেন্স বাড়াইবেন, দু-চোখ খুলিয়া ধরেন। বাংলাদেশী শ্রমিকদের কষ্টের প্রতিদান দিন। আমি প্রতি সকালে আপনার লুঙ্গিতে সপ্ন বাস্তবায়নের ম্যাপ দেখিতে চাই না।