মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে কি আমি পাপ করেছি??
হ্যাঁ হাইকোর্ট বাঁশ দিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে। ভুল শুনছেন না। ঠিকই শুনেছেন। “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'খ' ও 'ঘ' ইউনিট অন্তর্ভুক্ত ছয়টি বিষয়ে লিখিত পরীক্ষা পরবর্তী ভর্তি কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছে হাইকোর্ট”।
“আদালত বাংলা, ইংরেজি, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ ও ভাষাতত্ত্ব বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে বাংলা ও ইংরেজিতে উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় দুইশ' নম্বর করে থাকার শর্ত আরোপকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এর কারণ জানাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি রুলনিশি জারি করেছে”।
সকালের পোষ্টে লিখেছিলাম যে কিছুদিন আগে অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকারী মাদ্রাসা ছাত্র আব্দুল আলিম বাংলা, ইংরেজি, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ ও ভাষাতত্ত্ব বিভাগে ভর্তি হতে পারবে না। কারন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির ক্ষেত্রে বাংলা ও ইংরেজিতে উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় দুইশ' নম্বর করে থাকার শর্ত আরোপ করে। কিন্তু মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা বাংলা ও ইংরেজিতে ১০০+১০০=২০০ নম্বরের পরীক্ষা দেয়।
এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘খ’ ইউনিটের পরীক্ষায় প্রথম ২০ জনের মধ্যে ৮ জনই কিন্তু মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। এ থেকে বোঝা যায় যে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীর থেকে মেধা ও যোগ্যতায় কম যায় না।
কালকে সকালে এ নিয়ে বিস্তারিত লেখবো।
তথ্যসূত্র