তাকে যে ঘরে ( রেল মন্ত্রনালয়) পোষ্য করা হলো সেখানে এই দুধ চোরকে ধরার জন্য রোল উঠলো। কালো বেড়ালটি বরাবরই অস্বীকার করে আসছিল, সে অন্য এক অজ্ঞাত কালো বেড়ালের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে যাচ্ছিল। তার মতে, সেই ১৯৭৫ এর পর থেকে তার চেয়ে কালো একটি বেড়াল এই ঘরে দেদারসে চুরি করে দুধ খেয়ে আসছে। সে ঐ কালো বেড়ালটি ধরার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।
যাহোক অবশেষে গতকাল কালো বেড়ালটি ধরা পরেছে। এই বুড়ো, ধামরা, শেয়ালের মত চতুর, কাকের মত ধূর্ত কালো বেড়ালটি ধরা পড়েছে একজন সাহসী বনী আদমের (ড্রাইভার) হাতে। ধরা পরার পর দেখা গেলো এটি সেই বুনো কালো বেড়ালটি, যাকে পোষ মানিয়ে ঘরে তোলা হয়েছিল। সেই ওখানকার সবচেয়ে কালো বেড়াল। ঐ ঘরে এর চেয়ে কালো আর কোনো বেড়াল নেই। এটি সেই চোর যে চুরি করে দুধ খাচ্ছিল। আমি আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাই সেই সাহসী বনী আদমকে। এ দেশে আপনার মত সাহসী বনী আদমের বড়ই অভাব।
বিঃ দ্রঃ বেড়ালটির একটি নাম আছে। আর সেটি হলো কুরঞ্জিত।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই এপ্রিল, ২০১২ রাত ৯:২০