আজকাল বিভিন্ন ধর্মীয় দিন যেমন, ঈদ, আশুরা, শবে বরাত, শবে মেরাজ প্রভ্ব্রতি দিবসে আমরা দেখতে পাই যে, মসজিদে নানা রংয়ের আলোকসজ্জা করা হয়ে থাকে। বিষয়টি হাল আমলে বেশ চালু হয়েছে।
কিন্তু একটু চিন্তা করে দেখুনতো এই আলোকসজ্জা কি কোনভাবেই ইসলামে সমর্থন করে কিনা? মসজিদ হচ্ছে ইবাদতের সবচেয়ে উত্তম স্থান। আর আল্লাহকে ডাকতে হয় নিরিবিলিতে, চুপিচুপি তাকে বলতে হয় মনের কথা। কিন্তু দিবসে যে হারে মসজিদে হৈ-হল্লা করা হয় তাতে ইবাদতের মূল আবেগ নষ্ট হয়ে পড়ে বহুলাংশে। বলছিলাম আলোকসজ্জার কথা। জ্বি হ্যা, এই ধরনের আলোকসজ্জার ব্যবহার অবশ্যই পরিত্যাজ্য। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ সুষ্পষ্টভাবে ঘোষণা করে বলেন,"নিশ্চই অপচয়কারী শয়তানের সহোদর" । আর মসজিদে সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনে এই অযাচিত আলোর ব্যবহার ইবাদত-বন্দেগীর কোন কাজেই আসেনা।
আপনারা হয়তো লক্ষ্য করে থাকবেন, কোন কোন মসজিদে খতমে তারাবী, মোনাজাতের সময় নিয়মিত আলো বন্ধ বা কমিয়ে ফেলা হয় এই কারনে যে এতে ইবাদাতের একাগ্রতা বেড়ে যায়। কিন্তু যারা মসজিদে এহেন লাল নীল বর্ণের বাতি জ্বালিয়ে মসজিদের বহিরাংগে সাজিয়ে তোলেন এতে করে কি ফল লাভ হয় বোধ করি তারা নিজেরাও জানেননা। মূলত এ বিষয়গুলো বিভিন্ন বিধর্মীদের আচার থেকে উতসারিত। আমরা অধিকাংশ স্বল্প শিক্ষিত মুসলমানরা এরূপ ভূলের মধ্য নিপতিত আছি এবং সবচেয়ে দু:খজনক হচ্ছে আমাদের ইমাম সাহেবরা এ ব্যাপারে একেবারেই নীরবতা পালন করে আসছেন। আর এর কারণ হলো ইমাম শব্দের অর্থ যে নেতা এটা আমরা ভুলে বসে আছি, মসজিদের ইমাম শুধুমাত্র নামাজ পড়াবেন, মীলাদে দাড়াবেন, বিয়ে পড়াবেন আর জানাযা দিবেন। ব্যস এই পর্যন্ত তাদের দায়িত্ব। তিনি আজ সমাজের নেতা (ইমাম) হয়ে উঠতে পারেন না।
আশা করব আগামী দিনগুলোতে আপনার পাশের মসজিদে আলোকসজ্জা থেকে যদি আপনার সুযোগ হয় তবে সবাইকে বিরত রাখবেন।
আপনার ক্ষুদ্র চেষ্টা হয়তো ইসলামকে অনেক বড় বিদয়াত থেকে বাচিয়ে রাখবে। আগে নিজে জানুন, জেনে বুঝে অপরকে জানাবার চেষ্টা করুন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন ও দ্বীনের সহী পথে থাকার ও আমল করার তাওফিক দিন।