বিশ্ব বানিজ্য সংস্থার ২৩ টি অসম অন্যায্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ যার একটি হচ্ছে বানিজ্য সম্পর্কিত মেধাস্বত্ব অধিকার চুক্তি। এ চুক্তির ২৭,৩ খ ধারায় দুনিয়ার সব প্লান প্রাক্রিতিক প্রক্রিয়ার উপর পেটেন্ট করার বৈধ অধিকার রাখা হয়েছে। আবার ২২ ও ২৩ ধারায় ভৌগোলিক ভাবে নির্দেশিত পন্যের জন্য কিছু আইনগত স্বীকৃতির কথাও বলা হয়েছে। এ চুক্তির ধারা মেনেই বাংলাদেশ বিগত তত্বাবাধায়ক সরকারের আমলে শিল্প মন্ত্রনালয় বাংলাদেশের ভৌগলিক নির্দেশিত পন্যের জন্য ভৌগলিক নির্দেশক পন্য আইন জারি করে। এখানে বাংলাদেশ ৩ টি মৎস পন্য, ১২ টি ফল, ১১ টি প্রক্রিয়াজাত খাবার, ৮ টি শাক সবজি সহ ৬৬ টি পন্যকে ভৌগলিক নির্দেশক পন্য হিসেবে চিহ্নিত করে। কিন্তু বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত হীনতার কারনে বেশ কিছু ঐতিহ্যবাহী পন্যের স্বত্ব হারিয়েছে ভারতের কাছে। এর মাঝে অন্যতম হল জামদানি, নিমগাছ ও ফজলি আম। বিশ্বব্যাপী জামদানির কদর থাকলেও ভারত তার অন্ধ্র প্রদেশের কিছু গ্রামের জামদানি সাদৃশ্য পন্য দেখিয়ে জামদানির স্বত্ব নিয়ে গেছে। রাজশাহীর সীমান্তবর্তী মালদহ এলাকার কিছু পরিমান ফলন হলেও ফজলি মুলত রাজশাহী অঞ্চলের আম। অথচ মালদহের ফজলি দেখিয়ে ভারত ফজলি আমের স্বত্ব নিয়ে গেছে।
কই যামু