এই আমাদের জীবন।কদিন পর হয়তো চুল-দাড়ি পাকা শুরু করবে,ছেলে-মেয়েরা বড় হবে,নাতী নাতনীরা দাদাভাই,নানাভাই সম্বোধন করবে(যদি বেচেঁ থাকি আরকি)কিন্তু তারপরও মনে হয় আমি বোধহয় এখনো ছোটই রয়ে গেছি।জীবনের পরিপূর্ণ উপলব্ধি থেকে আজো আমি বেশ দূরে রয়ে গেছি।
আবার সমাজ নিয়েও ভাবি।আমাদের সমাজটাকে আমার কাছে খুব অসহায় মনে হয়।মনে হয় এ সমাজটাকে আমরা অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে চালাতে পারতাম,চলতে পারতাম।কিন্তু সেটা কিছু বোধহীন মানুষের জন্য হচ্ছেনা।কে জানে আমি নিজেও হয়তো এ জন্য দায়ী!সময়ে সবকিছু পাল্টায়,পাল্টায়না শুধু আমাদের হিংসার চেতনা,মনে পুষে রাখি দাম্ভিকতা,সমাজে কলুষতা ছড়াতে পারলে নিজেকে সভ্য বলে দাবী করি।এই হল আমাদের অবস্থা।পরিবর্তনের নীতি মনে প্রোথিত থাকলেও প্রকাশ্যে সেটা দিল্লী কা লাড্ডু কা তারাহ।
লাভ নেই।এ ভাবে যদি আমি চলি তাহলে সমাজের একজন হিসেবে আমার অপরাধ কোন অংশে কম হবেনা।এজন্য প্রয়োজন সত্যিকার পরিবর্তন।দেশ কে চালাবে তা নিয়ে মাথাব্যাথার দরকার নেই যদি সেই নেতা/নেত্রী একজন পরিপূর্ণ মানুষ হন।আওয়ামিলীগ হোক,বিএনপি হোক বা জাতীয় পার্টি-ই হোক।দরকার একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক।যিনি আমাদের দেশকে শান্ত,সুন্দর,সংঘাতমুক্তভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।ভবিষ্যত প্রজন্মকে দিয়ে যাবেন এক কোন্দলহীন বাংলাদেশ।
যদি তা না হয় তাহলে খুব শীঘ্রই আমাদের সম্ভাবনা মুখ থুবড়ে পরবে।আমরা আমাদের স্বকীয়তা হারাবো।বিদেশী হস্তক্ষেপের অপার সম্ভাবনা উন্মুক্ত হবে।সেটা কি আমাদের জন্য কোন সুখ-সময় বয়ে আনবে?ভাবা উচিৎ।
এই দেখুন।বড় হওয়ার কত জ্বালা।এই চিন্তাগুলো কিন্তু ছোটদের থাকেনা।বড় হয়েছি বলেই এত ভাবতে হয়।নিজের স্বার্থে হোক আর সমাজের স্বার্থেই হোক।তাই মাঝে মাঝে প্রার্থণাটা করেই ফেলি।খোদা!আমায় সেই ছোটটি বানিয়ে দাও।বলুন এটা কি সম্ভব?
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:০১