somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

~জামাতে ইসলামী~ ইসলামের আড়ালে এরা কি করতে চাচ্ছে?

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

"বৃক্ষ তোমার নাম কি?ফলেই পরিচয়"
এই প্রবাদটির সাথে আমরা সকলেই পরিচিত।এর ভাবার্থ হল কোন কাজের শুরুতে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে জানানোর কোন প্রয়োজন নেই।যদি সেই কাজ দ্বারা সবাই সুফল পায় তাহলে এমনিতেই সেটা প্রসিদ্ধি লাভ করবে।
কথিত জামাতে ইসলামী নামক দলটির বেলায় ও একই কথা প্রযোজ্য।নাম তারা দিয়েছে ইসলামী কিন্তু কাজগুলো করছে অনৈসলামিক।হা কিছু কিছু ইসলামী জিনিষ তাদের মাঝেও আছে।আমি নিম্নে তাদের ইসলাম সমর্থন করেনা এমন কিছু বিষয় নিয়ে আসার চেষ্টা করেছি।
ক- দাড়ি কাটা।এটা আমাদের নবীর একটি বড় সুন্নত।অথচ জামাত ও শিবিরের অধিকাংশ লোকই এ ব্যাপারে উদাসীন।
খ- পর্দা করা ফরজ।কিন্তু এ ব্যাপারেও তারা উদাসীন।এটা তাদের ব্যাংক গুলোতে গেলেই বুঝা যাবে।
গ- ইসলামের নাম করে বোমাবাজী,রগ কাটার মত জঘন্য অন্যায়।
ঘ- ভ্রান্ত আকীদা পোষন।
ঙ- সাহাবায়ে কেরাম সম্বন্ধে ভুল ধারনা পোষন।
চ- অন্যায় করতে গিয়ে মৃত্যু হলে ইসলামী পরিভাষায় শহীদি শব্দের অন্যায় ব্যবহার ইত্যাদী !!
তবে তাদের মাঝে কিছুই যে নেই তাও ঠিক না।শুনেছি শিবিরের দৈনন্দিন কাজের একটা রুটিন আছে।সেখানে উল্লেখযোগ্য ভাল ভাল আমাল লেখা আছে।কিন্তু তা কয়জনে মেনে চলে সেটাই দেখার বিষয়।
তাই জামাতী ভাইদের উদ্দেশ্যে বলছি,ইসলামী নাম ধারণ করে ইসলামের ক্ষতি আর করবেন না।আপনাদের কারনে মানুষ ইসলাম থেকে যোজন যোজন দূরে চলে যাচ্ছে।শাশ্বত ইসলামের মুখে চুনকালী দিয়ে নিজেদের বড় বুযুর্গ ভাববেননা।এর দায় কিন্তু তাহলে আপনাদেরই নিতে হবে।কিয়ামতের দিন খোদার সামনে এর জবাবদিহিতা করতে হবে।আপনাদের এই অক্ষম ইসলামী (?) কর্মকান্ডের কারনে সাধারন লোকজনের দ্বীনদারী নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।এবার নিষ্পত্তি দিন।নিজে বাচুন অপরকেও বাচান।
পরিশেষে ফেসবুক থেকে আমার জনৈক বন্ধুর এ বিষয়ক একটি পোষ্ট দিয়ে শেষ করছি।
click this link
মওলানা আবদুল আওয়াল আলেম মানুষ।
উনার একখানা দারুণ বই আছে ‘জামাতের
আসল চেহারা’ নামে। তো একবার
এলাকার জামাত কর্মীরা আসছেন
মওলানারে দাওয়াত দিতে। তার নিজের মুখেই শোনা যাক : ১৯৮৬ সালের
জানুয়ারি মাসের এক
শুক্রবার বিকেলে তিন/চারজন যুবক
আমার বাসায় আসে। দরজা খুলতেই
তারা বলে, আপনার সাথে আমাদের কিছু
কথা আছে। তাদের মধ্যে আমার সামনের বাসার একজন ছেলেও আছে।
সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে।
মেধাবী ছাত্র। ব্যবহারও অমায়িক।
ঘরে বসার পর পরিচিত ছেলেটি সবার
সঙ্গে আমাকে পরিচয় করিয়ে দিল। সবাই
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাল ভাল বিষয়ে পড়ে। এরপর একটি ছেলে বলল,
আমরা আপনাকে দাওয়াত দিতে এসেছি।
ভাবলাম কোনো অনুষ্ঠানে বোধহয়
যাওয়ার জন্য দাওয়াত নিয়ে এসেছে।
বললাম, কোথায়। একজন বলল, ইসলামের
দাওয়াত দিতে এসেছি। ইতিমধ্যে আমি ব্যাপারটা আঁচ
করে ফেলেছি। বললাম,
তোমরা কি আমাকে মুসলমান
মনে করো না? আমার এ কথায়
তারা একটু বিব্রত হয়ে পড়ল। একজন
বললো, জামাতে ইসলামীর দাওয়াত। বললাম, তাই বলো। এ
কথাটা আগে বললে তো আর এত
কথা বলতে হতো না। তোমরা বোধহয়
আমাকে চিনো না, চিনলে আসতে না।
একজন বললো,
না আপনাকে আমরা চিনি। জেনেশুনেই এসেছি। ইসলামের দাওয়াত
আমরা সবাইকেই দিচ্ছি। বললাম,
আবারো গোলমাল করে ফেললে। ইসলাম
আর জামাতে ইসলামীকে এক
করে ফেললে। আমরা কিন্তু ইসলাম আর
জামাতকে এক মনে করি না। ইসলাম আমাদের ধর্ম আর
জামাতে ইসলামী একটি রাজনৈতিক
সংগঠন। সে যাই হোক,
তোমরা ছেলেমানুষ। কথা বাড়ানো ঠিক
নয়। ইসলাম প্রচারের
ব্যাপারে তোমাদের আন্তরিকতা সম্পর্কে আমার
কোনো সন্দেহ নেই। তবে তোমাদের
নেতাদের আন্তরিকতা সম্পর্কে আমার
যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
আমি মনে করি তোমাদের
নেতারা পবিত্র ইসলামকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন।
তারা কি যেন বলতে যাচ্ছিল। বলার
সুযোগ না দিয়ে বললাম, তোমাদের
নেতাদের সম্পর্কে সন্দেহমুক্ত
হলে কালই আমি তোমাদের দলে যোগদান
করব। তবে এজন্য তিনটি বিষয়ে তোমাদের নেতাদের স্পষ্ট
বক্তব্য এনে দিতে হবে। তারা জিজ্ঞেস
করলো, সেগুলো কি কি? বললাম,
প্রথমে আমার দেশের কথাই বলছি।
বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে,
এটা কি আল্লাহতায়ালার ইচ্ছের বিরুদ্ধে হয়েছে, না তার
ইচ্ছানুযায়ী হয়েছে? তারা বললো অবশ্যই
আল্লাহর ইচ্ছায় হয়েছে।
তাহলে তোমরা আমার সঙ্গে একমত হবে,
মুক্তিযুদ্ধে পাক হানাদার
বাহিনীকে সহযোগিতা বা সমর্থনকারীরা আল্লাহর ইচ্ছের বিরোধী কাজ করেছে। এ
কথাটি তোমাদের নেতাদের স্বীকার
করতে হবে। বলতে হবে মুক্তিযুদ্ধের
সময় আমরা আল্লাহর ইচ্ছার
বিরুদ্ধে কাজ করেছি।
আচ্ছা ইসলামে কি শোষণমুলক অর্থনীতি অনুমোদন করে,
নাকি শোষণমুক্ত অর্থনীতি? নিশ্চয়ই
ইসলাম শোষণমূলক অর্থনীতি অনুমোদন
করে না। আর ধনতন্ত্র
হচ্ছে শোষণমূলক অর্থনীতির ফলশ্রুতি।
সুতরাং ধনতন্ত্র বা পুজিবাদের বিরুদ্ধে তোমাদের নেতাদের স্পষ্ট
বক্তব্য থাকতে হবে।
আমার তৃতীয় বিষয়টি হলো- গণতন্ত্র।
তোমাদের কি মত- ইসলাম কি গণতন্ত্র
সমর্থন করে, না রাজতন্ত্র?
তারা বললো ইসলামে রাজতন্ত্রের কোনো অবকাশ নেই। বললাম বেশ
ভালো কথা। তোমাদের নেতাদের
বক্তব্যে এই কথাটা থাকবে যে ইসলাম
রাজতন্ত্র সমর্থন করে না।
মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব, আরব
আমিরাত, কুয়েত প্রভৃতি দেশের রাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা
ইসলামবিরোধী রাষ্ট্রব্যবস্থা। এই
তিনটি ব্যাপারে তোমাদের নেতাদের
বক্তব্য যত তাড়াতাড়ি আনতে পার,
তত তাড়াতাড়ি আমাকে তোমাদের দলের
একজন কর্মী হিসেবে পাবে। শুধু তাই নয়, আমি তাদের বক্তব্য অর্থ ব্যয়
করে হলেও সংবাদপত্রে ছাপার
ব্যবস্থা করব। তারা বলল, এটা এমন
কিছু নয়। আমরা আগামীকালই
নিয়ে আসব। বললাম, যখনই
আনো তখনই আমাকে তোমরা তোমাদের একজন হিসেবে পাবে। ছেলেগুলো চলে গেল,
কিন্তু আজো তারা ফিরে আসেনি।
এ হচ্ছে জামাতিদের ইসলামের
প্রতি আন্তরিকতার একটি দৃষ্টান্ত।
আমি জানি জামাত নেতারা এই
তিনটি বিষয়ে কোনোদিনই সত্যিকার ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে অভিমত
দিতে পারে না। কারণ,
মুক্তিযুদ্ধে তাদের অপরাধ
তারা কখনো স্বীকার করবে না। তাদের
আয়ের উৎস আরবের পেট্রোডলারসমৃদ্ধ
রাজতান্ত্রিক দেশগুলো সম্পর্কেও তারা টু শব্দ করবে না। কারণ
তাতে হালুয়া-রুটি বন্ধ হয়ে যাবে।
অনুরূপ অর্থনীতির ব্যাপারেও একই
কথা। যারা কায়েমী স্বার্থে পবিত্র
ধর্মকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে,
তারা আর যাই হোক, শোষণমুক্ত অর্থনীতি সমর্থন করতে পারে না।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১২
৮টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×