বাংলাদেশে স্থানীয় পর্যায়ের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান পৌরসভা যা পৌরবাসি জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা পরিচালিত হওয়ার কথা। কিন্তু একজন মেয়র ও কিছু কাউনসিলর নিয়ে পরিষদ গঠন ব্যতীত গণতন্ত্রের আর কোন নিশানা সেখানে পাওয়া যায় না। গণতন্ত্রের মৌলিক কথা জনগণের সম্মতি ও অনুমোদনে আইন প্রণয়ন, আইন প্রয়োগ, আইন ভঙ্গের প্রতিকার তথা সংসদ, নির্বাহী, বিচার বিভাগ সমুহের কার্যক্রম পরিচালিত হবে। রাষ্ট্রের আয়(কর ধার্য ও আদায়); ব্যয় (প্রশাসনিক ও উন্নয়ন) এবং সকল আর্থিক সিদ্ধান্ত ও বাজেট জনগণের সম্মতি ও অনুমোদনে নির্ধারিত হবে এবং বাংলাদেশের সংবিধানের নির্দেশ ও তাই।
কিন্তু পৌরসভার সবকিছু নির্ধারিত হয় এবং পরিচালিত হয় পৌর পরিষদ ( নির্বাহী বিভগ) দ্বারা এবং কেন্দ্রীয় সরকারের আইন ও নির্দেশ মোতাবেক। সেখানে পৌর সংসদ, পৌর বিচার ও পৌর আর্থিক নীতি নির্ধারণের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নেই। পৌর সংসদ না থাকায় পৌরবাসি জনগণের পৌর কার্যক্রমে অংশগ্রহনের কোন ব্যবস্থা থাকে না এবং পৌর বাজেট প্রণয়ন ও অনুমোদনে তাদের অংশগ্রহন থাকে না। এসবই চলে আমলাতান্ত্রিক পদ্ধতিতে। যার ফলে দুর্নীতি অবাধে ঘটে। কারণ পৌর সংসদ না থাকায় পৌরবাসি জনগণের কাছে জবাবদিহিতার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা থাকে না।
তৃণমূল পর্যায়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবিলম্বে পৌর সংসদ, পৌর বিচার ব্যবস্থা এবং পৌর অর্থ ব্যবস্থায় জনগণের অংশগ্রহনের পদ্ধতি চালু করতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৮