বি এন পি, জামাত এবং অন্যান্য ইসলাম পন্থীগণ আজও পূর্ব-পাকিস্তান মুসলিমলীগের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। আওয়ামিলীগ, জাসদ এবং অন্যান্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীগণ স্বাধীন বংলাদেশের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। ১৯৫৪ ও ১৯৭০ সালের নির্বাচনে এবং সর্বশেষ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মাধ্যমে পাকিস্তান ও মুসলিমলীগের রাজনীতিকে এদেশের মানুষ পরিত্যাগ করেছে। কিন্তু ১৯৭৫ সালের নৃশংস হত্যাকান্ড এবং জিয়া, এরশাদ ও খালেদা নিজামিদের মদদে ও দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে রাষ্ট্র ক্ষমতার অপব্যবহারে পাকিস্তান আদর্শের রাজনীতির ৩০-৩৫% সমর্থন সৃষ্টি করা হয়েছে। এই সমর্থন ১৯৭০/৭১ সালে ১০-১৫% এর বেশী ছিল না।
রাজনীতির চাকা সময়ের মত সামনে চলে; জোর করে পিছন দিকে নেয়ার চেষ্টা সাময়িকভাবে সফল হলেও তা স্থায়ী হয় না। তাই বাংলাদেশে মুসলিমলীগের রাজনীতির সম্পূর্ণ মৃত্যু বেশী দূরে নয়। কারণ রাজনীতির জন্ম-মৃত্যূ জনগণ নির্ভর। আজকে যারা বি এন পি জামাত জোট এবং আওয়ামিলীগের জোটের রাজনীতির মাঝে ঐক্যের কথা বলেন তারা রাষ্ট্র বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে কথা বলছেন।
বি এন পি জামাতের নেতাগণের পক্ষে মুসলিমলীগপন্থী রাজনীতি ত্যাগ করা অসম্ভব। কারণ তাদের রাজনৈতিক জীবনিশক্তি তাদের প্রভুদের হাতে; জনগণের হাতে নয়। এই সত্যটা বি এন পি জামাত সমর্থনকারী আজকের প্রজন্মকে অনুধাবন করতে হবে। নতুবা তারা অচীরেই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীতে পরিণত হতে বাধ্য হবে।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৭:২৭