বাংলাদেশে যে কোন স্তরের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীর ছড়াছড়ি দেখা যায় এবং সবাই মরিয়া হয়ে প্রতিযোগিতা করে ও অনেক সময় মাসলপাওয়ার ব্যবহার করে।
লাভজনক কোন কিছু পাওয়ার জন্য মরিয়া হওয়া যখন রীতিতে পরিণত হয়; তখন মানুষ যোগ্যতার যাচাই করে না। নির্বাচনে জয়ী হলে একটা পদে বসে রাষ্ট্র ক্ষমতা ব্যবহারের সুযোগ হয়। রাষ্ট্র ক্ষমতা ( যত সামান্য হোক) ব্যবহার করে এদেশে সহজে ও দ্রুত অর্থ-সম্পদের মালিক হওয়া যায়; এটা রাজতন্ত্র ও কলোনীয় শাসনের লেগাসি।
সুতরাং লাভবান হওয়ার সুযোগ বন্ধ না হলে বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। তবে কথায় আছে গণতন্ত্রের ত্রুটি গণতন্ত্র দিয়েই শুধরাতে হয়। অতএব নির্বাচিতদের দুর্নীতি বন্ধ করতে ক্ষমতার গণতন্ত্রায়ন সূত্র ব্যবহার করতে হবে। প্রতিনিধিদের ( মেয়র, চেয়ারম্যান, কাউনসিলর) জবাবদিহিতা এখন ন্যস্ত আছে পুলিশ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও মেয়াদ শেষে পুন:নির্বাচন ব্যবস্থার মধ্যে। এই জবাবদিহিতার ব্যবস্থা করতে হবে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা গঠিত সংসদের( ইউনিয়ন সংসদ, থানা সংসদ, জেলা সংসদ, পৌর সংসদ, সিটি সংসদ) মাধ্যমে। রাষ্ট্র ক্ষমতার বিতরণ হবে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা গঠিত সংশ্লিষ্ট স্তরের সংসদ, নির্বাহী, বিচার ও অর্থ-সম্পদ বিভাগের মধ্যে।