প্রিয় রেবেকা,
আমার চিঠি তোমার কাছে যেমনি অদ্ভুত ঠেকেছে, তারচেয়ে উদ্ভট ঠেকেছে আমার প্রিয় শব্দের ব্যবহার।জানি,আমার উপর তোমার অনেক অভিযোগ কিন্তু তোমার উপর আমার একটিই অভিযোগ,কেন সেদিন আমার মাথা ফাটিয়ে দিলে না।আমি এখন ল্যাব এইডের ৩২১ নাম্বার রুমে আছি।ডাক্তার বলেছে,আমার রাত সকাল হবার নয়।
ইতি
হতভাগা রুদ্র মোঃ কায়েস
রেবেকার গন্ডদেশ বেয়ে দু’চোখের দু’ ফোটা জল চিঠিখানার উপর পড়ল।দশ বছর আগের কথা।রেবেকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাষ্টার্সে পড়ছে।আর রুদ্র মোঃ কায়েস উঠতি একজন সব্যসাচী সাহিত্যিক।একদিন রেবেকা এবং তার এক বান্ধবী টিএসসি ক্যান্টিনে বসে কথা বলছিল।হঠাৎ কায়েস কোথা থেকে এসে নির্লজ্জের মতো তাদের টেবিলে বসে পড়ল।কেমন বেহায়ার মতো কায়েস রেবেকার দিকে তাকিয়ে ছিল।ইতস্তত রেবেকা বলল,আমরা আপনার লেখা পছন্দ করি কিন্তু এখানেতো লেখার কোন টপিক নেই। মোহভঙ্গ করে কায়েস একটু নড়ে চড়ে বসল।"আসলে চেয়ারটা খালি ছিল, তাই বসে পড়লাম।আপনি রেবেকা,আমার হাজার বছরের বনলতা সেন"।"জ্বী,ঠিক বুঝলাম না।" "না. আমি বলতে চাচ্ছি,আপনি যদি চান আমি আপনার সাথে প্রেম করতে চাচ্ছি আর যদি তা না চান,আমাকে অনুমতি দেন,আমি আপনার পরিবারের কাছে আমার আপনার বিয়ের প্রস্তাব পাঠাচ্ছি।"এরকম নির্লজ্জ কথাবার্তায় কিছুটা ইতস্তত বোধ করলেও স্মার্ট রেবেকা বলল,"আপনার যদি এত আগ্রহ থাকে,তাহলে আপনি দ্বিতীয় অপশনটি বেছে নিতে পারেন;যদি কিছু হয়।" সেই নির্লজ্জতার কথা মনে পড়ে অশ্রমন্ডিত চোখেও রেবেকার হাসি চলে আসল।
-কে পাঠাল চিঠি খানা?" ড্রইং রুম থেকে রেবেকার মা প্রশ্ন করল।"আমার এক বন্ধু"। "কেমন বন্ধু? নাম দাম কিছু লেখে নাই,আর এই যুগে কেউ চিঠি লেখে নাকি?" "ও একটু এরকম;সবাইকে চমকে দিয়ে মজা পায়।"
রুমের ভিতর পায়চারি করছে।রেবেকার সাত বছরের ছেলে আরিয়ান ঘুমিয়ে আছে।সেসব দিনের কথা মনে পড়লে,রেবেকা এখনও নিজেকে ঠিক রাখতে পারেনা;অস্থির হয়ে পড়ে।প্রচন্ড ঘৃণা তার মধ্যে ক্রোধের আগুন জালিয়ে দেয়।কি রকম মানসিক কষ্ট নিয়ে রেবেকা কায়েসের থেকে ডির্ভোস নেয়।তারপর এতগুলো বছর কেটে গেলো কায়েস কোনদিন তাদের খোঁজখবর নেয়নি, এমনকি তার বাচ্চাটারও না।হঠাৎ তার এমন কি হল যে চিঠি লিখল আর যেখানে স্পষ্টত তার অসহায়ত্ব ফুটে উঠেছে।সেই যাক,আমার তাকে নিয়ে ভেবে অযথা সময় নষ্ঠ করার কোন মানে হয়না,মনে মনে রেবেকা ভাবল।সকালে আমার স্কুলে যেতে হবে,ঘুমিয়ে পড়ি।বিছানা হেলান দিয়ে শুইলো।মনের মধ্যে যেন তারই কথা ভেসে উঠছে।
২০০৪ সালের ২৯ শে ফেব্রুয়ারী।মহা ধুমধামের সহিত রেবেকা ও কায়েসের বিয়ে হয়।২৯ শে ফেব্রুয়ারী দিনটাও কায়েসের নির্বাচিত।সেখানেও ছিল তার সাহিত্যিক মনের রস ভাবনা।প্রতি চার বছর পর তারা বিবাহ বার্ষিকী পালন করবে।অর্থাৎ চারবছরে তাদের কাছে যেন মনে হবে এক বছর।বাসর রাত পুরোটাই তারা ছাদে কাটিয়ে দেয়।কখনও কায়েসের আলো আঁধারী কবিতা,কখন তার রসভরা গদ্য আর কখনও তার আলতো স্পর্শ, মনে হয়েছিল স্বর্গ যেন তাদের পাশে অবস্থান করছে।শেষ রাতের তার শেষ উক্তিছিল,"আমি প্রেম পাগল,আমায় গ্রহণ করো আর আমায় বেধো রেখো তোমার সোনালী আঁচলে।"
বছর কাটতে কাটতে কায়েসের জনপ্রিয়তার আকাশ ছুঁই ছুঁই।জনপ্রিয়তা যেন তার মধ্যে পরিবর্তনের বাতাস বয়ে দিল।জনপ্রিয়তা যেন তাকে রেবেকার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিচ্ছে।কিন্তু রেবেকা নিজেকে তার প্রতিভা বিকাশে বাধা হতে চায়নি।রেবেকা বুঝতে পারেনি,তার উদারতা তার কায়েসকে অন্য জগতের বাসিন্দা করে দেয়।রাতে প্রায়ই বাসা আসেনা।অবহেলা আর শূন্যতা তার মধ্যে কিছুটা ক্ষোভের সঞ্চার করে।কিন্তু কায়েসের কাব্যিক ফিরে আসা তাকে সব ভুলিয়ে দিত।কিন্তু তারপরও ঝগড়াঝাটি লাগতে শুরু হয়।কায়েস রেবেকাকে একটি চাকরি করার জন্য বলে।রেবেকা মনে মনে খুশি হয়।তার একাকিত্ব কিছুটা লাগব হবে।একটা স্কুলে চাকরিও ঝুটে যায় সহজে।কিন্তু কায়েসের পরিবর্তনটা ঝড়ের বেগে হতে থাকে।একদিন,দুইদিন কয়েকদিনও দেখা যেত কায়েসের কোন খবর নাই।মোবাইল ফোনও বন্ধ থাকত প্রায় সময়ে।একদিন তার এক কলিক তার সামনে একটি মেগাজিন দিল আর বাসায় গিয়ে মনোযোগ দিয়ে পড়তে বলল।রেবেকা ভাবল হয়তো কোন গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল আছে।কৌতুহল নিয়ে রেবেকা সেখানেই মেগাজিনটা খুলে দেখতে লাগল।কয়েকটা পেজ খুলতে তার চোখ ছানাবড়া।কায়েসকে নিয়ে বিশাল ফিচার করল মেগাজিনটি।একটা নয়,দুইটা নয় কয়েকটা মেয়ের সাথে কায়েসের সম্পর্ক;এর মধ্যে একজন উঠতি মডেলও আছে।ব্যাপক মদ্যপ্রিয় কায়েসকে মেগাজিনটি নব্য হিপ্পিবাদের সমর্থক বলে চিহিৃত করল।এরপর থেকে রেবেকা আর কায়েসের সম্পর্কে বিশাল ফারাক হতে শুরু করল।বাসায় কায়েস যতক্ষণ থাকত ততক্ষণ ঝগড়াঝাটি লেগে থাকত।হঠাৎ একদিন সন্ধ্যে বেলা কায়েসের এক বন্ধু বাসায় আসল।সে কিছুক্ষণ থেকে কেমন যেন হতাশ হয়ে ফিরে গেল।এরপর প্রায়ই তার বন্ধুরা এভাবে আসতে লাগল।রেবেকার কাছে তা মোটেই ভাল ঠেকল না।সে একদিন কায়েসকে এসব খুলে বলল।কায়েস পুরো বিষয়টা উড়িয়ে দিয়ে বলল,"তারা হয়তো আমার খোজে আসে অথবা হত চিন্তা করে ভাবীর সাথে একটু গল্প করে আসি।তুমি এটাকে এত ছোট মনে দেখছ কেন"।এর মধ্যে রেবেকার গর্ভে আসে কায়েসের প্রথম সন্তান।কিন্তু কায়েসের মধ্যে এই নিয়ে কোন উৎসাহ বা উচ্ছ্বাস নেই।শিক্ষিতা,স্মার্ট রেবেকার কাছে আজকাল নিজেকে অসহায় মনে হতে লাগল।এর মধ্যে সে স্কুল থেকে গর্ভকালীন ছুটিও নিয়ে নিল।বিপদকালীন সময়ের কথা চিন্তা করে ছোট ভাইকে নিজের কাছে নিয়ে আসে।দেখতে দেখতে বাচ্চা প্রসবের সময় খুব সন্নিকটে চলে আসল।ডাঃ বলে দিয়েছে, এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে বাচ্চার প্রসব হতে পারে।রেবেকা কায়েসকে বলল,এই মাসে যেন সে কোথায়ও না যায়,এসময়ে তার কাছে থাকা প্রয়োজন।কায়েস বলল,”তোমার মাথা খারাপ এ মাসেই আমাকে ইন্ডিয়া যেতে হবে।সেখানে আমাকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে আরো কয়েকজন বিভিন্ন দেশের সাহিত্যিকের সাথে।অতএব,এ সময় কোন ভাবে আমার দেশে থাকা সম্ভব নয়।" রেবেকা তাকে বলল,এই বছর ২৯ শে ফেব্রুয়ারী তাদের ২য় বিবাহ বার্ষিকী।কায়েস তাকে বলল,তার আগে সে দেশে ফিরে আসবে।যাবার কালে কায়েস তার হাতে বেশ কিছু টাকা দিয়ে চলে যায়।কতটুকু শক্ত হলে নিরুশ্র রেবেকা শুধু কায়েসের চলে যাওয়া দেখে।হয়তো কেউ দেখলে বলত,এই মেয়ে অতি দুঃখে পাষাণ হয়ে গেছে।তাইতো তার মধ্যে কোন প্রতিক্রিয়া নেই।কায়েসের চলে যাবার কয়েকদিন পরই আসে রেবেকার কোল জুড়ে কায়েসের প্রথম সন্তান।এই সংবাদটি তাকে জানানো জন্য ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।২৫ শে ফেব্রুয়ারী কায়েস ঢাকা ফিরে।রেবেকার আশা ছিল,তার প্রতি কোন আকর্ষন না থাক কিন্তু সন্তানের আকর্ষনে হলে কায়েস ঢাকা ফিরেই বাসায় আসবে।কায়েস ফিরল ২৯শে ফেব্রুয়ারী,সকালে ঘুম ঘুম চোখে একতোড়া ফুল নিয়ে।ঘরে ডুকে রেবেকাকে ফুলের তোড়া দিয়ে কায়েস চিৎকার দিয়ে বলে উঠে,"হ্যাপি ম্যারেজ এনিবার্সারি রেবেকা এন্ড কায়েস"।মুহুর্তে ফুলের তোড়া কায়েসের পায়ে ছুড়ে ফেলে দিয়ে বলে,’’ধিক্কার জানাই তোমার সাহিত্যকে,ধিক্কার জানাই তোমার এসব কাব্যিকতাকে,ধিক্কার জানাই তোমাকে,তুমি একটা পশুর চেয়েও অধম;একটি বারের জন্য নিজের সন্তানের খোজ নিলেনা।আজ মাতাল হয়ে আসলে ম্যারেজ এনিভার্সারি পালন করতে।দিনের পর দিন তুমি আমাকে অবহেলা করেছ,অন্য ডজন খানিক মেয়ের সাথে ছিঃ ছিঃ;আমার বলতেও লজ্জা হয়।যে তুমি বলেছিলে আমাদের চার বছর হবে এক বছরের মত,সেই তুমি আমার চারবছরকে বানিয়ে দিয়েছ শত শত বছর।থুক দিয় তোমার সাহিত্যকে।"ঘুম ঘুম চোখ নিয়ে কায়েস রেবেকার দিকে তাকিয়ে বলে,"তুমি নিজে এর জন্য দায়ী।আমি কি তোমাকে কম সুযোগ করে দিয়েছি;একের পর এক বন্ধুকে পাঠিয়েছি তোমাকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য,তোমার চাহিদা পূরণ করার জন্য;তুমিতো তোমার সম্মানকে এত উচুতে তুলে ধরেছ যে,তারা লজ্জা পেয়ে চলে গেল।" রেবেকা নিজেকে আর সামলে রাখতে পারল না;"কায়েস তুমিই? এই তোমাদের হিপ্পিবাদ।" বলেই হাতের কাছে থাকা ফুলদানিটা নিয়ে কায়েস এর মাথায় মারতে গেল।মারতে গিয়েও থেমে গেল।ফুলদানিটা রেখে রেবেকা বাচ্চাটাকে নিয়ে বেরিয়ে আসল।শুধু রেখে আসল কায়েসের জন্য দু’ফোটা চোখের জল।
আজ আবার নিজের অজান্তেই দু’ফোটা জল কায়েসের চিঠিতে পড়ল।মধ্যরাতে রেবেকার চোখে কিছুটা ঘুম নেমে আসল।
সকালে রেবেকা তার বাচ্চাকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে নিজের স্কুলে চলে গেল।স্কুলে গিয়ে ছুটি নিয়ে আবার বাচ্চার স্কুলে আসল।বাচ্চার ছুটি নিয়ে রেবেকা চলল ল্যাব এইডের দিকে।হয়তো কোন বাদ তাকে স্পর্শ করতে পারেনি বরং নিজের জন্য সরল পথকেই বেছে নিয়েছে।রুমের দরজা খুলে বিছানার সামনে রাখা সফায় গিয়ে বসল রেবেকা ও আরিয়ান।বিছানায় যেন একখান কঙ্কাল শায়িত আছে,আর তার উপর মোড়ানো একখানা চামড়া।চোখগুলো যেন গর্ত থেকে ব্যাঙের মত উঁকি দিচ্ছে।ঘন্টা খানেক রেবেকা ও আরিয়ান বসে আছে।হঠাৎ নার্স এসে দরজা খুলল।"কি ব্যাপার,আপনারা সে কখন এসেছেন,এখনও বসে আছেন, রোগীর সাথে কথা বলেননি"।"না,উনিতো ঘুমাচ্ছেন,তাই ডিস্টার্ব দিই নাই"।"আপনি না ডাকলে,উনি সারাদিন এমনই থাকবে।উনিতো একটা জ্যান্ত লাশ মাত্র।" "বসেন আমিই ডেকে দিচ্ছি।"
চোখ মেলে তাকিয়ে আছেন;আর অঝোর ধারায় চোখের জল ফেলছেন।’"রেবেকা,সফাটাকে আরো কাছে আনা যায়না।তোমার ছেলে? কি নাম?" "আরিয়ান,আমি মোঃ আরিয়ান"।"চমৎকার,তোমার নাম" ।"রেবেকা,আমি জানতাম তুমি আসবে,কারন তুমি একজন মানুষ।রেবেকা আমার HIV পজেটিভ,কিডনীও প্রায় বিকল,যকৃতে পছন ধরেছে;কোন জিনিসই খেতে পারিনা,খাইলেই সাথে সাথে বমি হয়।ডাঃ বলেছে ,আমার রাত আর সকাল হবার নয় ।রেবেকা চুপ, যেন তার কিছু বলার নেই নতুবা রাজ্যের কথা জমা হয়ে আছে যা এখন বলা নিরর্থক।"রেবেকা,আমার নরক যন্ত্রনা শুরু হয়ে গেছে,একটা ট্রাস্টকে আমার বই গুলোর সত্ত্ব দান করতে চেয়েছি।” তারা বলল," আপনার সম্বন্ধে আমরা যতটুকু জানি এবং আপনার লেখার যে বিষয়বস্তু তা থেকে অর্জিত অর্থ আমরা মসজিদ মাদ্রাসার কাজে ব্যবহার করতে পারব না।" রেবেকার জলের নদীর যেন বাঁধ ভেঙ্গে গেছে,অঝোর ধারায় সে কেঁদে চলছে।
অসহায় এই মানুষকে দেখে অশ্রশিক্ত হয়ে পড়েছে আরিয়ানও।
"রেবেকা,জীবনের এই বেলায় এসে আমি বুঝেছি, একজন মানুষের যতটুকু ভালবাসা প্রয়োজন, ঠিক ততটুকু শাসনও প্রয়োজন।"রেবেকা বলল,”তুমি চুপ থাক,কথা বলতে তোমার ব্যাপক কষ্ট হচ্ছে।" "একটু সুযোগ দেয়,তারপরতো একেবারেই চুপ হয়ে যাব।রেবেকা আমার সকল স্থাবর সম্পত্তি তোমার এই ছেলের নামে লিখে দিলাম।সে বড়ো হলে আমার কথা বলো।আমার নিয়ে আসা রাতকে সে যেন সকালে নিয়ে যায়।আর আমার বই গুলোর সত্ত্ব তোমাকে দিতে চাই ; আশা করি তুমি আমাকে ফিরাবে না,তুমি এগুলো মানুষের কল্যাণে ব্যয় করো।মানুষ যদি তাতেও রাজি না হয়,তবে মানুষের জন্য পাবলিক টয়লেট বানিয়ে দিও"।রেবেকা এবার আর নিজেকে সামলাতে পারলোনা, উচ্চস্বরে কেঁদে উঠল।বিছানার উপর রাখা রেবেকার হাতের উপর হাত রাখল কায়েস।রেবেকা কায়েসের দিকে তাকিয়ে মনে হল, ২০০৪ সালের ২৯ শে ফেব্রুয়ারী আবার ফিরে আসল।কায়েস বলল,”রেবেকা ,আমি কি মুক্তি পাবোনা?” রেবেকা চোখের জল মুছে বলল,"তুমি অবশ্যই মুক্তি পাবে।তোমার চোখের জল,এই বাচ্চার চোখের জল,আমার চোখের জল বলছে; তুমি জীবনের স্বার্থকতার পথেই হাঠা শুরু করেছ, হোকনা তা খুব স্বল্প সময় কিন্তু সেটা যে বড়ই গভীর।"অশ্রুমন্ডিত কায়েস রেবেকার দিকে তাকিয়ে ছিল আর তন্দ্রা আবার তার চোখে নেমে আসল।রেবেকা আস্তে আস্তে কায়েসের হাতখানা তার হাত থেকে সরিয়ে আরিয়ানকে নিয়ে চোখ মুছতে মুছতে বাহিরে বের হয়ে গেল।আর কায়েসের দিকে তাকাতে তাকাতে ধীরে ধীরে ৩২১ নাম্বার রুমের দরজা বন্ধ করে দিল।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১১