somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যেমন দেখলাম-দেহরক্ষী

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



তারিখ ১২ এপ্রিল। সময় বিকেল সাড়ে ৩ টা। স্থান বলাকা হল। বর্তমান অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে অনেক পরিচালক-প্রযোজক ই যখন ছবি মুক্তি দিতে সাহস পাচ্ছে না তখন দেহরক্ষী ছবির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বেশ সাহসী সিদ্ধান্তই নিয়েছে বলা যায়। তাদের সেই সাহসিকতাকে সম্মান দেখাতেই আমরা মাত্র ৭ জন:P মিলে চলে আসলাম হলে। সিদ্ধান্তটি যে কতটা সাহসী তা বোঝা গেল হলে ঢোকার পর। শুক্রবার সাড়ে ৩ টার শো অথচ হল প্রায় অর্ধেকও ভরে নি! যাই হোক,যথাসময়েই ছবিটি শুরু হল।

কাহিনী সংক্ষেপ:

ঢাকা শহরের আন্ডারওয়াল্ডের ডন আসলাম(মিলন)।সে ভালবাসে সোহানা(ববি) কে। কিন্তু সোহানা তাকে ভালবাসে না। সোহানা অসুস্থ বাবার( কাজী হায়াত) চিকিৎসার খরচ যোগাতে বিভিন্ন হোটেলে নেচে বেড়ায়। একদিন সোহানার ভালবাসা পাবার আশায় তার বাবাকে কিডন্যাপ করে আসলাম। আর সোহানাকে শেরপুরের নিজ বাংলোয় আটকে রাখে।
আসলামের প্রতিপক্ষ শহরের আরেক ডন সিজার।আসলাম সিজারের বিদেশফেরত ছোট ভাইকে হত্যা করে লাশ গুম করে। ক্ষিপ্ত হয় সিজার।৭২ ঘন্টার মধ্যে ভাইকে ফেরত চায়। আর তা না হলে( এসময় দর্শকদের মধ্যে রসিকতা করে কেউ কেউ বলে ওঠেন তা না হলে লাগাতার হরতাল :P) আসলামের জান সোহানার ক্ষতি করার হুমকি দেয়।
এসময় ব্যবসায়িক প্রয়োজনে আসলামকে আমেরিকায় যেতে হয়।সোহানার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে দেহরক্ষী হিসেবে নিয়োগ দেয় একসময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু তীব্র(কাজী মারুফ) কে।
শুরু থেকেই সোহানা তীব্র কে অসহযোগিতা করতে থাকে। সোহানাকে নিয়ন্ত্রণ করারজন্য হাতকড়া এমনকি সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থাও করতে হয় তীব্র কে। সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে টয়লেটেও।( এসময় দর্শকদের মধ্যে বেশ উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। আমার এক বন্ধু সোহানার সম্ভাব্য গোসলের দৃশ্যের কথা চিন্তা করতে থাকে ;)। যদিও পরিচালক তাকে হতাশ করেন/:))।
একপর্যায়ে সোহানা বুঝতে পারে একমাত্র তীব্রর মত কেউ ই তাকে আসলামের মত সন্ত্রাসীর হাত থেকে বাঁচাতে পারবে। তাই সে তীব্র কে তার ভালবাসার ফাঁদে ফেলতে চায়। কিন্তু তার সবরকম চেষ্টাই ব্যর্থ হতে থাকে। কারণ তীব্র কিছুতেই তার বন্ধুর ভালবাসার দিকে হাত বাড়াবে না। তাহলে উপায়...?

মিলনের অভিনয় ভাল লেগেছে। ববি কে পরিচালক যতটা না অভিনেত্রী হিসেবে দেখাতে চেয়েছেন তার চেয়ে হয়তো আইটেম হিসেবেই বেশি দেখাতে চেয়েছেন।ববি যথেষ্ট আবেদনময়ী হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন। কাজী পরিবারের পিতা-পুত্রের কারো অভিনয়ই ভাল লাগে নি। হায়াত সাহেবের এক্সপ্রেশন গুলো জানি কেমন কেমন। আর মারুফের সংলাপ তো পুরোই রোবোটিক লেগেছে। মারুফের সংলাপ শুনে পাশে বসা এক বন্ধু একসময় বলেই বসলো- দোস্ত, একটা বালিশ দে,ঘুমাই :)। চাকর-বাকরদের ভাঁড়ামোর অংশগুলো অহেতুক মনে হয়েছে। কোন দরকার ছিল না।

ক্যামেরার কাজ খারাপ লাগে নাই(এই বিষয়ে আমি এক্সপার্ট না)। প্রিন্ট ভাল। গানগুলো মোটামুটি । তবে ১ টি গানের চিত্রায়নে ভারতীয় মুভির প্রভাব আছে বলে মনে হল।কাহিনী খুব বেশী শক্ত মনে হয় নি। বুকের বামপাশে ২ বার গুলি লাগার পরও নায়ক মরলো না আর ওই একই জায়গায় একবার গুলি খেয়েই ভিলেন মারা গেল-ব্যাপারটা ঠিক মাথায় ঢুকলো না।
টাইমপাস মুভি হিসেবে দলবেঁধে গিয়ে দেখে আসতে পারেন। বাট সিরিয়াস মুডে দেখতে গেলে নিজ দায়িত্বে দেখবেন।

শেষ করার আগে একটা পুরনো প্রশ্ন আবারো করছি- লাস্ট কবে কোন মুভি তে প্রবীর মিত্র কে ফুলটাইম বেঁচে থাকতে দেখেছিলেন?:P

আর হ্যা, নতুন বাংলা বছরের শুভেচ্ছা সবাইকে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৫৫
১৪টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বেফাঁস মন্তব্য করায় সমালোচনার মুখে সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩২



"মেট্রোরেলে আগুন না দিলে, পুলিশ না মারলে বিপ্লব সফল হতো না "- সাম্প্রতিক সময়ে ডিবিসি নিউজে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করে সমালোচনার শিকার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিবুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমিত্ব বিসর্জন

লিখেছেন আজব লিংকন, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৪৮



আমি- আমি- আমি
আমিত্ব বিসর্জন দিতে চাই।
আমি বলতে তুমি; তুমি বলতে আমি।
তবুও, "আমরা" অথবা "আমাদের"
সমঅধিকার- ভালোবাসার জন্ম দেয়।

"সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট"
যেখানে লাখ লাখ শুক্রাণুকে পরাজিত করে
আমরা জীবনের দৌড়ে জন্ম... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×