somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছেলে শিশুদের বলাৎকার: প্রভাব, প্রতিকার ও প্রতিরোধে করণীয়

১৬ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ছেলে শিশুদের বলাৎকার বাংলাদেশের একটি গুরুতর সামাজিক সমস্যা, যা মানবাধিকার, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর গভীর প্রভাব ফেলে। যদিও মেয়ে শিশুদের ধর্ষণ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়, ছেলে শিশুদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি প্রায়ই উপেক্ষিত হয়। বাংলাদেশে লিঙ্গভিত্তিক কুসংস্কার, ট্যাবু এবং সচেতনতার অভাবের কারণে ছেলে শিশুদের বলাৎকারের বিষয়টি চাপা পড়ে যায়। আজকের এই আলোচনায় ছেলে শিশুদের বলাৎকারের প্রতিটি দিক গভীরভাবে বিশ্লেষণ করা হবে।

➤প্রেক্ষাপট: সমস্যার ব্যাপকতা ও প্রকৃতি
☞বাংলাদেশে পরিসংখ্যান
বাংলাদেশে শিশুদের বলাৎকারের হার উদ্বেগজনক। বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর শতাধিক শিশু বলাৎকারের শিকার হয়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছেলে শিশু রয়েছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে, কারণ অনেক ক্ষেত্রে এই ঘটনাগুলি রিপোর্ট করা হয় না।
◑অপ্রকাশিত ঘটনা: বাংলাদেশে ছেলে শিশুদের বলাৎকারের বিষয়টি প্রায়ই গোপন রাখা হয়, কারণ সমাজে এ নিয়ে কথা বলতে লজ্জা বা ভয় কাজ করে। পরিবার ও সমাজের চাপে বিষয়টি চাপা পড়ে যায়।
➤অভিযুক্ত ও ভিক্টিমের প্রোফাইল
☞অভিযুক্ত:
বাংলাদেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা শিশুর পরিচিত ব্যক্তি হয়, যেমন পরিবারের সদস্য, আত্মীয়, শিক্ষক, বা প্রতিবেশী। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ৮০% ক্ষেত্রে অপরাধী শিশুর বিশ্বাসভাজন কেউ হয়।
◑পরিবারের সদস্য: অনেক সময় পরিবারের সদস্যরাই এই অপরাধ করে, যা শিশুর জন্য আরও বেশি মানসিক আঘাতের কারণ হয়।
◑শিক্ষক ও ধর্মীয় নেতা: স্কুল এবং মাদ্রাসায় শিশুদের উপর বলাৎকারের ঘটনা প্রায়ই ঘটে, কারণ এই স্থানগুলিতে শিশুদের উপর কর্তৃত্বশীল ব্যক্তিরা তাদের ক্ষমতা অপব্যবহার করে।
☞ভিক্টিম:
বাংলাদেশে ছেলে শিশুরা প্রায়ই বলাৎকারের শিকার হলে তা প্রকাশ করতে চায় না। সমাজে "ছেলেরা শক্তিশালী" এই ধারণার কারণে তাদের কণ্ঠ চাপা পড়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে তারা বুঝতেই পারে না যে তাদের সাথে কী ঘটছে এবং কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে হয়।
◑বয়স: সাধারণত ৬-১৬ বছর বয়সী ছেলে শিশুরা বেশি ঝুঁকিতে থাকে।
◑সামাজিক অবস্থান: দরিদ্র ও প্রান্তিক পরিবারের শিশুরা বেশি ঝুঁকিতে থাকে, কারণ তাদের সুরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল।
➤বলাৎকারের আওতা ও পরিধি
বলাৎকারের আওতা শারীরিক, মানসিক, এবং আবেগগত নির্যাতন পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি শুধুমাত্র শারীরিক আক্রমণই নয়, বরং শিশুর মানসিক ও আবেগগত স্বাস্থ্যেও গভীর প্রভাব ফেলে। এই নির্যাতন ঘরোয়া পরিবেশ, স্কুল, মাদ্রাসা, বা যেকোনো স্থানে ঘটতে পারে।
◑শারীরিক নির্যাতন: শারীরিক আক্রমণ, যৌনাঙ্গে স্পর্শ, বা অন্যান্য শারীরিক নির্যাতন।
◑মানসিক নির্যাতন: শিশুকে ভয় দেখানো, হুমকি দেওয়া, বা মানসিক চাপ দেওয়া।
◑আবেগগত নির্যাতন: শিশুর আবেগগত নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করা, যা তাদের ব্যক্তিত্ব বিকাশে বাধা দেয়।
➤কারণ: সমস্যার মূল উৎস
১.সামাজিক ট্যাবু ও লজ্জা:
বাংলাদেশে ছেলে শিশুদের বলাৎকারের বিষয়টি প্রায়ই গোপন রাখা হয়, কারণ সমাজে এ নিয়ে কথা বলতে লজ্জা বা ভয় কাজ করে। পরিবার ও সমাজের চাপে বিষয়টি চাপা পড়ে যায়।
◑লিঙ্গভিত্তিক কুসংস্কার: সমাজে ছেলে শিশুদের "শক্তিশালী" হিসেবে দেখা হয়, যা তাদের সমস্যা প্রকাশ করতে বাধা দেয়।
◑ট্যাবু: বলাৎকার নিয়ে কথা বলাকে সমাজে নিষিদ্ধ বা লজ্জাজনক হিসেবে দেখা হয়।
২.অপরাধীর সুযোগ গ্রহণ:
বাংলাদেশে অনেক সময় অপরাধীরা ছেলে শিশুদের দুর্বলতা বা অসচেতনতার সুযোগ নিয়ে তাদের উপর বলাৎকার চালায়। শিশুদের বিশ্বাস ও নির্ভরতা কাজে লাগিয়ে তারা এই অপরাধ করে।
◑ক্ষমতার অপব্যবহার: অপরাধীরা তাদের ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব ব্যবহার করে শিশুদের নিয়ন্ত্রণ করে।
◑অসচেতনতা: শিশুদের বলাৎকার সম্পর্কে সচেতনতার অভাব অপরাধীদের সুযোগ দেয়।
৩.শিক্ষা ও সচেতনতার অভাব:
বাংলাদেশে ছেলে শিশুদের প্রায়ই বলাৎকার সম্পর্কে সচেতন করা হয় না। তারা বুঝতে পারে না যে তাদের সাথে কী ঘটছে এবং কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে হয়।
◑পারিবারিক শিক্ষার অভাব: অনেক পরিবারে শিশুদের বলাৎকার সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া হয় না।
◑স্কুলে শিক্ষার অভাব: স্কুলে যৌন শিক্ষা ও নিরাপত্তা সম্পর্কে পর্যাপ্ত শিক্ষা দেওয়া হয় না।
৪.পারিবারিক ও সামাজিক কাঠামোর দুর্বলতা:
বাংলাদেশে অনেক পরিবারে শিশুদের প্রতি পর্যাপ্ত মনোযোগ দেওয়া হয় না, যা অপরাধীদের সুযোগ দেয়। এছাড়াও, আইনের দুর্বল প্রয়োগও এই সমস্যাকে বাড়িয়ে তোলে।
◑পারিবারিক বিচ্ছিন্নতা: অনেক পরিবারে শিশুদের সাথে বাবা-মায়ের সম্পর্ক দুর্বল হয়, যা শিশুদের নিরাপত্তাহীন করে তোলে।
◑আইনের দুর্বল প্রয়োগ: বাংলাদেশে বলাৎকারের বিরুদ্ধে আইন থাকলেও তার প্রয়োগ দুর্বল।
➤প্রভাব: শিকার ও সমাজের উপর প্রভাব
১.মানসিক আঘাত:
বাংলাদেশে ছেলে শিশুদের বলাৎকারের ফলে তারা গভীর মানসিক আঘাত পায়। এই আঘাত তাদের ব্যক্তিত্ব, আত্মবিশ্বাস এবং সামাজিক সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
◑পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (PTSD): অনেক শিশু PTSD-তে ভোগে, যা তাদের দৈনন্দিন জীবনে সমস্যা সৃষ্টি করে।
◑আত্মবিশ্বাসের অভাব: বলাৎকারের শিকার শিশুরা আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে এবং সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
২.আত্মহত্যার প্রবণতা:
বাংলাদেশে অনেক ক্ষেত্রে বলাৎকারের শিকার ছেলে শিশুরা মানসিক চাপ ও হতাশায় ভুগে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
◑মানসিক চাপ: বলাৎকারের ফলে শিশুরা গভীর মানসিক চাপে ভোগে, যা তাদের আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেয়।
◑হতাশা: বলাৎকারের শিকার শিশুরা হতাশায় ভোগে এবং ভবিষ্যতের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।
৩.বিশ্বাসের সংকট:
বলাৎকারের শিকার শিশুরা মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে এবং ভবিষ্যতে সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হয়।
◑সম্পর্কের সমস্যা: বলাৎকারের শিকার শিশুরা ভবিষ্যতে সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সমস্যা অনুভব করে।
◑বিশ্বাসহীনতা: তারা মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে এবং সমাজে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
৪.আচরণগত পরিবর্তন:
বাংলাদেশে অনেক সময় শিশুরা আক্রমণাত্মক বা বিচ্ছিন্ন আচরণ করে, যা তাদের সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে সমস্যা সৃষ্টি করে।
◑আক্রমণাত্মক আচরণ: বলাৎকারের শিকার শিশুরা আক্রমণাত্মক আচরণ করে, যা তাদের সামাজিক সম্পর্কে সমস্যা সৃষ্টি করে।
◑বিচ্ছিন্নতা: তারা সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং একাকীত্বে ভোগে।
➤বিস্তৃতি: ধর্মীয় ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি
১.ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি:
বাংলাদেশে ইসলামসহ অন্যান্য ধর্মে বলাৎকারকে গুরুতর পাপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে ধর্মীয় নেতারা এই বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা দিলেও, সমাজে এর প্রয়োগ অনেক সময় দুর্বল হয়।
◑ধর্মীয় শিক্ষা: ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিতে বলাৎকার নিয়ে শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন।
◑ধর্মীয় নেতাদের ভূমিকা: ধর্মীয় নেতাদের এই বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান নেওয়া প্রয়োজন।
২.সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি:
বাংলাদেশে সমাজে ছেলে শিশুদের বলাৎকার নিয়ে কথা বলতে লজ্জা বা ভয় কাজ করে। এই বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং আলোচনা করা প্রয়োজন।
◑সামাজিক সচেতনতা: সমাজে বলাৎকার নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
◑মিডিয়ার ভূমিকা: মিডিয়া এই বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
➤প্রতিরোধে করণীয়: সমাধানের পথ
১.সচেতনতা বৃদ্ধি:
বাংলাদেশে ছেলে শিশুদের বলাৎকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। পরিবার, স্কুল এবং সমাজে এই বিষয়ে আলোচনা করা উচিত।
◑ক্যাম্পেইন: বলাৎকার নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ক্যাম্পেইন চালানো প্রয়োজন।
◑শিক্ষা: স্কুল ও কলেজে বলাৎকার নিয়ে শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন।
৩.শিশুদের শিক্ষা দেওয়া:
বাংলাদেশে শিশুদের তাদের শরীরের নিরাপত্তা সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন। তাদের বুঝতে হবে কোন স্পর্শ ঠিক নয় এবং কীভাবে সাহায্য চাইতে হয়।
◑শারীরিক নিরাপত্তা: শিশুদের শারীরিক নিরাপত্তা সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন।
◑সাহায্য চাওয়া: শিশুদের সাহায্য চাওয়ার উপায় সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন।
৩.আইনের কঠোর প্রয়োগ:
বাংলাদেশে বলাৎকারের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন এবং তার সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। অপরাধীদের দ্রুত শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন।
◑আইনি সংস্কার: বলাৎকারের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন।
◑আইনের প্রয়োগ: আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
৪.মানসিক সহায়তা:
বাংলাদেশে বলাৎকারের শিকার শিশুদের মানসিক সহায়তা প্রদান করা প্রয়োজন। কাউন্সেলিং এবং থেরাপির মাধ্যমে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার করতে হবে।
◑কাউন্সেলিং: বলাৎকারের শিকার শিশুদের কাউন্সেলিং প্রদান করা প্রয়োজন।
◑থেরাপি: মানসিক স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারের জন্য থেরাপি প্রদান করা প্রয়োজন।
৫.পারিবারিক সচেতনতা:
বাংলাদেশে পরিবারকে শিশুদের প্রতি আরও সচেতন হতে হবে। শিশুরা কী করছে, কার সাথে মিশছে এবং তাদের আচরণে কোনো পরিবর্তন হচ্ছে কিনা তা খেয়াল রাখতে হবে।
◑পারিবারিক শিক্ষা: পরিবারে শিশুদের নিরাপত্তা সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন।
◑মনোযোগ: শিশুদের প্রতি পরিবারের সদস্যদের মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

বাংলাদেশে ছেলে শিশুদের বলাৎকার একটি গুরুতর সমস্যা, যা সমাজের সকল স্তরে আলোচনা ও সমাধানের প্রয়োজন। সচেতনতা, শিক্ষা, এবং আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে এই সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব। শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের সকলের দায়িত্ব। এই সমস্যা মোকাবিলায় সরকার, স্থানীয় সংগঠন, এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। শুধুমাত্র সচেতনতা এবং আইনের প্রয়োগই নয়, সমাজের প্রতিটি স্তরে এই বিষয়ে আলোচনা ও শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমেই আমরা একটি নিরাপদ ও ন্যায়বিচারপূর্ণ সমাজ গড়ে তুলতে পারি।
➤ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা
১.গবেষণা ও তথ্য সংগ্রহ:
বাংলাদেশে ছেলে শিশুদের বলাৎকার সম্পর্কে আরও গবেষণা ও তথ্য সংগ্রহ করা প্রয়োজন। এই সমস্যার প্রকৃতি, কারণ, এবং প্রভাব সম্পর্কে গভীরভাবে বুঝতে পারলেই আমরা এর সমাধান খুঁজে পেতে পারব।
◑গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা: বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলিকে এই বিষয়ে গবেষণা চালানো উচিত।
◑তথ্য সংগ্রহ: সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলির মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা প্রয়োজন।
২.আন্তর্জাতিক সহযোগিতা:
এই সমস্যা মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা প্রয়োজন। বিভিন্ন দেশের মধ্যে তথ্য ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়া সম্ভব।
◑আন্তর্জাতিক সংস্থার ভূমিকা: ইউনিসেফ, WHO, এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সহযোগিতা নেওয়া প্রয়োজন।
◑অভিজ্ঞতা বিনিময়: অন্যান্য দেশের সফল অভিজ্ঞতা থেকে শেখা প্রয়োজন।
৩.সামাজিক আন্দোলন:
বাংলাদেশে সমাজের প্রতিটি স্তরে এই বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা প্রয়োজন। এই আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা সমাজের প্রতিটি ব্যক্তিকে এই সমস্যা সম্পর্কে সচেতন করতে পারব।
◑সামাজিক সংগঠনের ভূমিকা: স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে সামাজিক সংগঠনগুলির মাধ্যমে আন্দোলন গড়ে তোলা প্রয়োজন।
◑সামাজিক মাধ্যম: সামাজিক মাধ্যমের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
৪.শিশুদের অংশগ্রহণ:
বাংলাদেশে শিশুদের এই সমস্যা সম্পর্কে সচেতন করতে এবং তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। শিশুরা যদি তাদের সমস্যা সম্পর্কে সচেতন হয় এবং সাহায্য চাইতে শেখে, তাহলে এই সমস্যা অনেকাংশে কমে যাবে।
◑শিশু সংগঠন: শিশু সংগঠনগুলির মাধ্যমে শিশুদের সচেতন করা প্রয়োজন।
◑শিশুদের কণ্ঠ: শিশুদের কণ্ঠ শোনা এবং তাদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।

বাংলাদেশে ছেলে শিশুদের বলাৎকার একটি জটিল ও সংবেদনশীল বিষয়, যা সমাজের প্রতিটি স্তরে প্রভাব ফেলে। এই সমস্যা মোকাবিলায় আমাদের সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সচেতনতা, শিক্ষা, এবং আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে আমরা এই সমস্যার সমাধান খুঁজে পেতে পারি। শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এখন আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫
৬টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ড. ইউনূস যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন: সেভেন সিস্টার্স দখল করতে বলেননি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০২ রা মে, ২০২৫ রাত ৮:৩২


পাকিস্তান-ভারতের এক্স মিলিটারি কর্মকর্তারা জোশে অনেক কথাই বলে থাকেন তাদের জনগণকে আলী বুঝ দেয়ার জন্য। ভারতের প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানে হামলার বিষয়ে ভারতের সেনাবাহিনীর সিদ্ধান্তকে চূড়ান্ত বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইস্টার আইল্যান্ড রহস্যময় মোয়াই

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৫ রাত ৮:৪৩



১৭শ শতাব্দীতে ইউরোপীয় নাবিকদের মাঝে একটা মিথ প্রচলিত ছিল। মিথটা হচ্ছে দক্ষিণ গোলার্ধে ভারত মহাসাগর এবং প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝে বিশাল অঞ্চল জুড়ে একটা মহাদেশ রয়েছে। এটাকে তারা টেরা... ...বাকিটুকু পড়ুন

এনসিপিকে আমাদের দেশের তরুণ-যুবা'রা ক্ষমতায় দেখতে চায়

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ০৩ রা মে, ২০২৫ রাত ১২:৪৫

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধে পাড়া-মহল্লায় জনতার আদালত গঠনের ডাক দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি তথা এনসিপি। দেশের বৃহত্তম ইসলামী দল 'ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ' তথা চর মোনাইয়ের পীর সাহেবের দল এনসিপিকে আগে থেকেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাতৃ ভাণ্ডার

লিখেছেন ঠাকুরমাহমুদ, ০৩ রা মে, ২০২৫ রাত ৩:২৬



আমাদের দেশে মিষ্টি পছন্দ করেন না এমন মানুষ পাওয়া বিরল ব্যাপার। ঢাকা চট্টগ্রাম রুটে যারা যাতায়াত করেন মাতৃ ভাণ্ডারের সাথে পরিচিত নন এমন মানুষও মনে হয় খুব বেশি নেই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

এনসিপি জামায়াতের শাখা, এই ভুল ধারণা ত্যাগ করতে হবে

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ০৩ রা মে, ২০২৫ সকাল ১০:৪৪

প্রিয় রাজীব ভাই,
আপনি আমার আগের পোস্টে কমেন্ট করেছেন যে, এনসিপি জামায়াতের শাখা। আপনার এনালাইসিস ভুল! ওরা জামায়াতের শাখা নয়। এনসিপি-কে বুঝতে হলে, আপনাকে জামায়াতকে জানতে হবে। আমি একটু বিস্তারিত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×