(আরবী রজব মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতে আল্লাহ পাক তার প্রিয় হাবীব রাহমাতুল্লীল আলামীন, শাফিউল মুজনেবীন হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রথমে মক্কা শরীফ থেকে বাইতুল মুকাদ্দিসে এবং এরপর উর্ধ্বলোকে ভ্রমণ করিয়ে স্বীয় দীদার দানে ধন্য করেন।এখানে আমি ইসলামের ইতিহাসের এই মহাগুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ও রাসুলে পাক (দঃ) এর জীবনের সর্বশ্রেষ্ট মো’জেজা টিকে ইসরা, মিরাজ, উপঢৌকন ও সত্যায়ন চারটি পর্বে ভাগ করে কাব্যিক ছন্দে বর্ণনা করেছি। হযরত জালালুদ্দীন সুয়ুতী (রঃ) কৃত ‘খাসায়েসুল কুবরা’, শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দেস দেহলভী (রঃ) কৃত 'মাদারেজুন নবুওয়াত' ও আল্লামা সৈয়দ সাঈদ শাহ কাযেমী (রঃ) কৃত 'মিরাজুন্নবী (দঃ)' থেকে এই কবিতার মালমশলা সংগ্রহ করেছি।)
প্রথম পর্বঃ ইসরা
উর্ধ্বজগত ব্যাকুল হয়ে একোন রঙ্গিন সাঁজে,
আজকেই কেন জগত জুড়ে খুশির ঢংকা বাজে।
আজ আসে তাঁর প্রিয় মাহবুব আল্লাহর দর্শনে,
পথে পথে সবে অপেক্ষমাণ ব্যাকুল নয়ন-মনে।
এদিকে খোদার প্রিয় মাহবুব উম্মে হানীর ঘরে,
নিদ্রা মগ্ন নুরের রবি সৌম্য শান্ত নীড়ে।
বোরাক সাথে জিবরীল এলেন রবের দাওয়াত নিয়ে,
মিলবেন তিনি আল্লাহ্র সনে আরশে আজীম গিয়ে।
চললেন নবী আকসার তরে বোরাকে সওয়ার হয়ে,
যেখানে সকল নবী রাসুলে অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে।
দাড়িয়ে কাতারে সকল নবী- পিতা আদম হতে
আদায়ে সালাত সায়্যিদ মুরসালীনের ইমামতে।
যাত্রাপথেতে দেখেন হাবীব হযরত মুসা’য়,
করতে দাঁড়িয়ে তাঁর সমাধিতে সালাত আদায়।
জিবরীল সনে পৌছেন তিনি বাইতুল মুকাদ্দিসে,
সার বেঁধে সব নবী ও রাসুল দাড়াল আপনি পিছে।
নামাজ আদায় করলেন সবে দুনিয়ার রাহবার,
হলেন সবেতে মুক্তাদি আর ইমাম নবী আমার।
তারপরে তিনি বোরাকে সওয়ার চলেন উর্ধ্বপানে,
রু’হুল আমিন পাশেতে পাশেতে আপনি প্রহর গুনে।
(চলমান)
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:২১