ডাক্তার জাকরি নায়কে ইসলামী লকেচাররে নামে ভ্রান্ত মতবাদ প্রচার করে মানুষকে গোমরাহ করে চলছেনে। তনিি শরীয়তরে নানা বষিয়ে কুরআন-হাদীস ও ইসলামরে সহীহ মতার্দশরে খলোফ বক্তব্য প্রদান করছনে। আবার তনিি গাইরে মুকাল্লদি (লা-মাজহাবী/আহলে হাদীস) সম্প্রদায়রে লোক হওয়ায় একদকিে তনিি তাদরে মতবাদরে পক্ষে বভ্রিান্তকির তথ্য উপস্থাপন করে মানুষকে বভ্রিান্ত করছনে এবং হানাফী মাজহাবরে বরিুদ্ধে নানারকম কুৎসা রটনা করে চলছেনে, অপরদকিে দ্বীনরে অনকে বষিয়ে নজিস্ব ভ্রান্ত মতবাদ প্রচার করে মানুষকে পথভ্রষ্ট করছনে।
লখোপড়া হসিবেে তনিি কোন মাদরাসায় বা মাহরে আলমে-উস্তাদরে নকিট ইলমে দ্বীন শক্ষিা লাভ করনেন।ি তনিি ডাক্তারী পড়াশোনা করছেনে। প্রথমে তনিি খৃষ্টান মশিনারীদরে সন্টে পটর্িাস হাইস্কুলে পড়াশোনা করনে। অতঃপর হন্দিুদরে কৃষ্ণচাঁদ ছলোরাম কলজেে পড়নে। তারপর টপওিয়ালা ন্যাশনাল মডেক্যিাল কলজে এন্ড নয়োর হসপটিাল ইউনভর্িাসটিি অব মুম্বাই থকেে এমববিএিস ডগ্রিী র্অজন করনে।
(দ্রষ্টব্য : ডা. জাকরি নায়কে লকেচার সমগ্র, ভলয়িাম নং ১, পৃষ্ঠা নং ৫)
আর দ্বীনী বষিয়ে যা শখিছেনে, তা ইংরজেী অনুবাদ পড়ে শখিছেনে; মৌলকি কতিাব পড়ে ইসলামরে জ্ঞান হাসলি করনেন।ি তাই ইসলামী বষিয়ে তার গভীর জ্ঞান নইে। মানুষকে আর্কষণ করতে শুধু নর্দিষ্টি কছিু আয়াত ও হাদীসরে রফোরন্সে মুখস্ত করছেনেÑযা তনিি সংশ্লষ্টি বষিয়রে আলোচনায় পশে করনে আর তাতে মানুষ তাকে বদ্বিান ভবেে থাকনে। অথচ তার দ্বীনী জ্ঞান অতটুকুতইে সীমাবদ্ধ। পবত্রি কুরআন ও হাদীসরে বশিদ ইল্ম তার নইে। এমনকি তনিি যে আয়াত বা হাদীসরে রফোরন্সে মুখস্ত শুনান, তার র্পূবরে বা পররে আয়াতটি বা হাদীসটি সর্ম্পকওে তনিি অবগত নন। এ কথা তনিি নজিইে স্বীকারোক্তি করছেনে।
(দ্রষ্টব্য : ডা. জাকরি নায়কে লকেচার সমগ্র, ভলয়িাম নং ১, পৃষ্ঠা নং ৪৫৭)
এ আনাড়ি র্ধমজ্ঞান নয়িে ইসলাম সর্ম্পকে বলতে গয়িে তনিি পদে পদে পথচ্যুতরি শকিার হয়ছেনে । যদ্দরুণ ইসলামরে বভিন্নি বষিয়ে তার মনগড়া বক্তব্য শুনে মানুষ গোমরাহ হয়ে যাচ্ছ।ে
ডাক্তার জাকরি নায়কেরে ভ্রান্তি শুধু ফকিহী ব্যাপারে সীমাবদ্ধ নয়। তনিি ফকিহী মাসআলায় যমেন ভন্নিমতরে দ্বারা সমাজে বভ্রিান্তি ছড়য়িছেনে, তমেনি দ্বীনরে মৌলকি অনকে বষিয়ে ভন্নিমতরে দ্বারা গোমরাহীর সৃষ্টি করছেনে। অনুরূপভাবে দ্বীনরে অনকে জরুরী বষিয়ে তনিি ভ্রান্ত মতধারা রচনা করছেনে। উদাহরণ স্বরূপ ন¤িœে শ্রণেীবদ্ধভাবে এ সর্স্পকতি কছিু বষিয় পশে করা হলÑ
দ্বীনরে মৌলকি বষিয়ে ডাক্তার জাকরি নায়কেরে ভ্রান্তইিসলামরে মৌলকি বষিয়গুলো ঈমানরে সাথে সংশ্লষ্টি। এক্ষত্রেে ভন্নিমতরে দ্বারা ঈমান নষ্ট হওয়ার আশংকা রয়ছে।ে তাই এ ব্যাপারে মুসলমানদরে খুব সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। অথচ ডাক্তার জাকরি নায়কে দ্বীনরে এ র্স্পশকাতর বষিয়ে ভ্রান্তকির মন্তব্য করে ঈমানবধ্বিংসী পথ রচনা করছেনে। ন¤িœে এ সর্ম্পকে কয়কেটি বষিয় উল্লখে করা হলÑমহান আল্লাহকে ব্রাহ্ম, বষ্ণিু প্রভৃতি নামে ডাকা যাবে বলে ভ্রান্ত মতবাদ সৃষ্টি
ইসলামরে হুকুম হচ্ছÑেমহান আল্লাহকে তাঁর সত্তাগত নাম হসিবেে ‘আল্লাহ’ নামে ডাকতে হবে অথবা যদি তাঁকে গুণগত নামে ডাকা হয়, তাহলে তনিি নজিরে জন্য যসেকল নাম নর্ধিারণ করছেনে, তাঁকে যে নামইে ডাকতে হব,ে যা মহান আল্লাহর ৯৯ নামরূপে হাদীস শরীফে র্বণনা করা হয়ছে।ে আর আল্লাহ তা‘আলার গুণ র্বণনা করে অন্যকোন শব্দে আল্লাহ তা‘আলাকে ডাকার জন্য র্শত হল, সইে শব্দটি যনে বর্ধিমীদরে পরভিাষা না হয়।
(হাওয়ালা : আল-কুরআন, সূরাহ বনী ইসরাঈল, আয়াত : ১১০/ সূরাহ ত্বহা, আয়াত : ৮/ সূরাহ আ‘রাফ, আয়াত : ১৮০/ সূরাহ হাশর, আয়াত : ২৪/ সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ২৭৩৬)
এ ভত্তিতিে মহান আল্লাহকে ব্রাহ্ম, বষ্ণিু প্রভৃতি নামে ডাকা জায়যি হবে না। কনেনা, এ নাম দু’টি একতেো আল্লাহর ৯৯ নামরে মধ্যে নইে, অপরদকিে এ নামগুলো বহুঈশ্বরবাদী হন্দিুর্ধমমতরে পরভিাষাÑযা তারা তাদরে দবেতাদরেকে বুঝাতে ব্যবহার কর।ে তাদরে সইে শরিকী দবেতাদরে থকেে মহান আল্লাহ অতপিবত্রি। সুতরাং মহান আল্লাহকে এ ধরনরে নামে কছিুইে ডাকা যাবে না। এসব নামে আল্লাহকে ডাকা নাজায়যি।
(হাওয়ালা : আকায়দিুল ইসলাম, ১ম খ-, ৩৫৫ পৃষ্ঠা)
কন্তিু ডাক্তার জাকরি নায়কে বলনেÑ“আল্লাহ তা‘আলাকে ব্রাহ্ম, বষ্ণিু প্রভৃতি নামে ডাকতে আপত্তি নইে ।”
(দ্রষ্টব্য : ডা. জাকরি নায়কে লকেচার সমগ্র, ভলয়িাম নং ১, পৃষ্ঠা নং ২৬৫)
রাম ও কৃষ্ণরে নবী হওয়ার ব্যাপারে ভ্রান্ত মতবাদ সৃষ্টি
ইসলামরে আক্বীদা হচ্ছÑেপবত্রি কুরআন ও হাদীসে যে সকল নবী-রাসূলরে কথা প্রকাশ করা হয়ছে,ে তাদরেকইে নবী-রাসূল বশ্বিাস করতে হব।ে অন্য কাউকে নর্দিষ্টি করে নবী-রাসূল বলে বশ্বিাস করা যাবে না। কোন অ-নবীকে নবী বলে বশ্বিাস করা ঈমানরে জন্য হুমকি স্বরূপ।
(সূরাহ মুমনি, আয়াত : ৭৮)
অথচ ডাক্তার জাকরি নায়কে হন্দিুদরে রাম ও কৃষ্ণ সর্ম্পকে নবী হওয়ার সম্ভাবনা প্রকাশ করে বলনেÑ“অনকে নবী ছলিনে। রাম ও কৃষ্ণরে নবী হওয়ার ব্যাপারে আমরা বলতে পারÑিহতে পারে ।”
(দ্রষ্টব্য : ডা. জাকরি নায়কে নায়কে লকেচার সমগ্র, ভলয়িাম নং ২, পৃষ্ঠা নং ১৬২)
হন্দিুদরে বদে আল্লাহর বাণী হতে পারে বলে ভ্রান্ত মতবাদ সৃষ্টি
ইসলামরে আকীদা হচ্ছÑেমহান আল্লাহ চারটি প্রধান আসমানী কতিাব নাযলি করছেনে : পবত্রি কুরআন, তাওরাত, ইঞ্জীল ও যাবূর। এ ছাড়াও বভিন্নি নবীর প্রতি ১০০টি সহীফা অবর্তীণ করছেনে। কন্তিু হন্দিুদরে বদে আল্লাহর কতিাব হওয়ার ব্যাপারে কুরআন ও হাদীসরে কোথাও বলা হয়ন।ি তাই যাকে আল্লাহর কতিাব বলা হয়ন,ি তাকে আল্লাহর কতিাব বলে বশ্বিাস করা যাবে না।
(হাওয়ালা : মরিকাত, ১ম খন্ড, ২৩৪ পৃষ্ঠা)
কন্তিু ডাক্তার জাকরি নায়কে বলনেÑ“আমাদরে এ ব্যাপারে কোন আপত্তি নইে য,ে বদে হয়তো আল্লাহর বাণী হতে পার।ে”
(দ্রষ্টব্য : ডা. জাকরি নায়কে লকেচার সমগ্র, ভলয়িাম নং ২, পৃষ্ঠা নং ১৬২)
সাহাবী (রা.) রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নামে মথ্যিা হাদীস র্বণনা করছেনে বলে উক্ত!ি
মুসলমানদরে আক্বীদা হচ্ছÑেরাসূলুল্লাহ (সা.)-এর মহান সান্নধ্যিপ্রাপ্ত সাহাবীগণ সত্যরে মাপকাঠ।ি তাঁরা ইসলামরে জন্য নবিদেতিপ্রাণ ছলিনে। তাঁরা কখনো রাসূলুল্লাহর (সা.) নামে মথ্যিা কথা বা মথ্যিা হাদীস প্রচার করনেনÑিরাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবদ্দশায় নয় এবং তাঁর ওফাতরে পরও নয়।
(সূরাহ বাক্বারা, আয়াত : ১৩৭/ সহীহ মুসলমি, সাহাবীগণরে (সা.) বদনাম করা হারাম অধ্যায়)
কন্তিু ডাক্তার জাকরি নায়কে বলনেÑরাসূলুল্লাহ (সা.)-এর ইন্তকিালরে পর তারা কউে কউে রাসূলুল্লাহর (সা.) নামে মথ্যিা হাদীস র্বণনা করছেনে (নাউযুবল্লিাহ)। দখেুন ডাক্তার জাকরি নায়কেরে ভাষ্যÑ“পরর্বতীতে যখন তনিি (রাসূলুল্লাহ সা.) ইন্তকিাল করলনে আর লোকজন যখন তাঁর কথাগুলো উদ্ধৃতি দতিে শুরু করলো এবং কউে কউে এমন কথাও বলতে শুরু করলোÑযা নবীজী হয়তো বলনেন.ি..।”
(দ্রষ্টব্য : ডা. জাকরি নায়কে লকেচার সমগ্র, ভলয়িাম নং ৫, পৃষ্ঠা নং ৭৬)
পবত্রি কুরআনে ভুল আছে বলে স্বীকার!
পবত্রি কুরআন সর্ম্পকে ইসলামরে আকীদা হলÑপবত্রি কুরআন অকাট্যভাবে নর্ভিুল ও চরিশাশ্বত। তাই কুরআনে কোনরূপ ভুল আছে বা ব্যাকরণগগত ত্রুটি আছÑেএটা বলা বা এরূপ বশ্বিাস করা কংিবা এ ধরনরে কারো অভযিোগ কোনভাবে মনে নয়োর দ্বারা ঈমান নষ্ট হয়ে যাব।ে
(আল-কুরআন, সূরাহ বাক্বারা, আয়াত : ২)
অথচ পবত্রি কুরআন প্রসঙ্গে জনকৈ খৃষ্টান পন্ডতি ডাঃ উইলয়িাম ক্যাম্পবলে-এর আরোপতি একটি অভযিোগরে উদ্ধৃতি টনেে ডাক্তার জাকরি নায়কে পবত্রি কুরআনে ভুল হয়ছেে বলে এক প্রকার মনেে নয়িে বলনেÑ“ডাঃ উইলয়িাম ক্যাম্পবলে বলছেনেÑকুরআনে রয়ছেে ‘নূহ (আ.)-এর জাতি রাসূলদরেকে প্রত্যাখ্যান করছেলিো’। অথচ আমরা ইতহিাস থকেে জানি য,ে নূহ (আ.)-এর জাতরি নকিট একজন মাত্র নবীকে প্ররেণ করা হয়ছেলি। সুতরাং এটি (পবত্রি কুরআনরে) একটি ব্যাকরণগত ভুল। কুরআনরে বলা উচতি ছলিÑ‘নূহ (আ.)-এর জাতরি লোকরো রাসূলকে প্রত্যাখ্যান করছেলি’। আমি আপনাদরে সাথে একমত য,ে এটা ভুল হতে পার.ে..।”
(দ্রষ্টব্য : ডা. জাকরি নায়কে লকেচার সমগ্র, ভলয়িাম নং ১, পৃষ্ঠা নং ৫১২)
কুরআন শরীফরে আয়াতরে র্অথ বকিৃতপিবত্রি কুরআনে মহান আল্লাহ ইরশাদ করনেÑ
“পবত্রিতা র্অজনকারীগণ ব্যতীত কউে কুরআন শরীফ র্স্পশ করবে না।”
(সূরাহ ওয়াক‘িআহ, আয়াত নং ৮৯)
এ আয়াতরে দ্বারা বুঝা যাচ্ছÑেপবত্রি হওয়া ব্যতীত কুরআন শরীফ র্স্পশ করা নষিদ্ধি। সুতরাং যাদরে ওপর গোসল ফরজ হয়ছে,ে তারা পবত্রি কুরআন র্স্পশ করতে হলে আগে গোসল করে নতিে হবে এবং যাদরে উজু নইে, কুরআন শরীফ র্স্পশ করতে হলে তাদরে আগে উজু করে নতিে হব।ে কারো জন্য অপবত্রি অবস্থায় কুরআন শরীফ র্স্পশ করা যাবে না। উক্ত আয়াতরে এ তাফসীরই মুফাস্সরিগণ করছেনে।
(হাওয়ালা : তাফসীরে ইবনে কাছীর/ মা‘আরফিুল কুরআন)
কন্তিু ডাক্তার জাকরি নায়কে বলনেÑ“কুরআন শরীফ র্স্পশ করতে উজুর প্রয়োজন নইে। বনিা উজুতে কুরআন শরীফ র্স্পশ করা যাব।ে” এরপর উক্ত আয়াতরে র্অথ বকিৃত করে তনিি বলনেÑ“এটা আমাদরে এ কুরআন সর্ম্পকে বলা হয়ন,ি বরং লওহে মাহফুজে সংরক্ষতি কুরআন সর্ম্পকে বলা হয়ছেে য,ে ফরেশেতা ব্যতীত কউে সটো র্স্পশ করতে পারবে না।”
(দ্রষ্টব্য : ডা. জাকরি নায়কে লকেচার সমগ্র, ভলয়িাম নং ২, পৃষ্ঠা নং ৬২৬)
আরো আফসোসরে ব্যাপার য,ে আরবী সর্ম্পকে জ্ঞান না থাকায় উক্ত আয়াতে র্বণতি ‘র্স্পশ করবে না’ শব্দ দ্বারা ডাক্তার জাকরি নায়কে বুঝছেনেÑ“র্স্পশ করার ক্ষমতা রাখবে না”। তাই তনিি এক্ষত্রেে অসার যুক্তরি আশ্রয় নয়িে দাবী করছেনে য,ে আমরা যদি এটাকে আমাদরে এই দুনয়িার কুরআনরে ব্যাপারে বল,ি তাহলে যে কউে (অমুসলমি) র্মাকটে থকেে ৮০/১০০ টাকায় কুরআন শরীফ কনিে নয়িে বলবে য,ে কুরআন মথ্যিা। কনেনা, কুরআনে বলা হয়ছেে য,ে পবত্রিতা র্অজনকারী ব্যতীত কউে এটা র্স্পশ করতে পারবে না। অথচ আমি অপবত্রি হয়ওে এটা র্স্পশ করতে পারলাম।
(দ্রষ্টব্য : ডা. জাকরি নায়কে লকেচার সমগ্র, ভলয়িাম নং ২, পৃষ্ঠা নং ৬২৬)
হাদীস শরীফরে র্অথ বকিৃতি
হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করনেÑ“নামাযরে কাতারে সোজা হয়ে দাঁড়াও। কোন ফাঁক রখেো না। শয়তান যনে স্থান নতিে না পার।ে” (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ৬৫৬)
বস্তুতঃ শয়তান নামাযরত মুসল্লীদরেকে ওয়াসওয়াসা দতিে চষ্টো কর।ে এ হাদীসে তাই সইে শয়তান থকেে হুঁশয়িার করা হয়ছে।ে মুহাদ্দসিীনে করিাম হাদীসটরি এ ব্যাখ্যাই র্বণনা করছেনে।
(হাওয়ালা : যাদুল সুনান, র্৪থ খ-, ২৩২ পৃষ্ঠা )
কন্তিু ডাক্তার জাকরি নায়কে বলনেÑ“এখানে আসল শয়তানকে বুঝানো হয়ন।ি বরং শয়তান বলে মানুষরে বভিদেকে বুঝানো হয়ছেÑেউঁচু-নচিু, সাদা-কালো, ধনী-গরীব-এর বভিদে।”
(দ্রষ্টব্য : ডা. জাকরি নায়কে লকেচার সমগ্র, ভলয়িাম নং ২, পৃষ্ঠা ১৫)ফকিহী মাসআলায় ডাক্তার জাকরি নায়কেরে ভ্রান্তইসিলামরে বভিন্নি মৌলকি বষিয়ে যমেন ডাক্তার জাকরি নায়কে ইসলামরে মূলনীতি থকেে দূরে সরে গয়িে ভ্রান্ত মতধারা সৃষ্টি করছেনে, তমেনি ইসলামরে অনকে ফকিহী মাসআলায় তনিি পবত্রি কুরআন-হাদীস, ফুকাহায়ে ইসলাম, আয়ম্মিায়ে মুজতাহদিীন ও সালফে সালহিীনরে খলিাফ অবস্থান নয়িে বভ্রিান্তি ছড়য়িছেনে। ন¤িœে এ সর্ম্পকতি কয়কেটি বষিয় তুলে ধরা হলÑ
তনি তালাককে এক তালাক বলে হারামীর পথ উন্মোচন
পবত্রি কুরআন ও অসংখ্য সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণতি মাসআলা হল, যে কোনভাবে কউে স্বীয় স্ত্রীকে তনি তালাক দলিে তাতে তনি তালাকই পততি হবে এবং এতে তাদরে স্বামী-স্ত্রীর ববৈাহকি সর্ম্পক সর্ম্পূণ ছন্নি হয়ে যাব।ে এমতাবস্থায় তারা নতুনভাবে ববিাহ দোহরানোর দ্বারাও একে অপররে জন্য হালাল হবে না। বরং বগোনার ন্যায় হারামই থাকবে এবং তাদরে মলোমশো যনিা হব।ে
এক্ষত্রেে এই মহলিা ইদ্দত পালনরে পর ইচ্ছা করলে অন্যত্র ববিাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পার।ে এমতাবস্থায় যদি সইে মহলিা ইদ্দত সমাপ্ত করার পর জীবনে কখনো স্বচ্ছোক্রমে অন্যত্র ববিাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়, আর নতুন স্বামীর সাথে তার দাম্পত্য জীবন স্থাপতি হয়, অতঃপর যদি কখনো সইে স্বামী মারা যায় অথবা বনবিনা না হওয়ায় তাকে তালাক দয়ে, তখন ইদ্দত পালনরে পর এই মহলিা ইচ্ছা করলে র্পূবরে স্বামীর সাথে পুনঃ নতুন করে (নতুন আকদ ও নতুন মহররে সাথ)ে ববিাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারব।ে এই অবস্থাকে ‘হালালাহ’ (র্অথাৎ হালাল হওয়ার সূরত) বল।ে
কন্তিু এক্ষত্রেে এই মহলিাকে র্পূব স্বামীর নকিট ফরিয়িে দয়োর জন্য অন্য লোকরে সাথে র্শত করে এক রাতরে ববিাহরে বাহানা করা জায়যি হবে নাÑযা কোন কোন র্মূখ লোকরো করে থাকনে। যাকে সমাজে ‘হীলা’ বলা হয়। র্অথাৎ এক্ষত্রেে ‘হালালাহ’ হচ্ছে শরীয়তসম্মত বষিয়, ‘হীলা’ নয়।
বলা বাহুল্য, কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে যে কোনভাবে তনি তালাক দলি,ে চাই একত্রে দকি বা আলাদা আলাদা এবং চাই এক তুহরে দকি কংিবা তনি তুহর,ে তাতে তনি তালাক মুগাল্লাজা পততি হয়ে সইে মহলিা উক্ত পুরুষরে জন সর্ম্পূণ হারাম হয়ে যাব।ে একমাত্র র্বণতি ‘হালালাহ’র সূরত ছাড়া তার সাথে তার দাম্পত্য জীবন অতবিাহতি করার কোন পথ নইে। তারপরও যদি কর,ে তা হারাম ও যনিা হব।ে
(হাওয়ালা : সুনানে আবু দাউদ, ১ম খন্ড, ২৯৮ ও ২৯৯ পৃষ্ঠা / ইবনে মাজাহ্, ১৪৭ পৃষ্ঠা / বাইহাকী-সুনানে কুবরা, ৭ম খন্ড, ৩৩৫ পৃষ্ঠা / দারে কুত্বনী, ২য় খন্ড, ৪৩৮ পৃষ্ঠা / মুআত্তা মালকি, ২০৭ পৃষ্ঠা / মুসান্নাফে আবদুর রায্যাক, ২য় খন্ড, ১৯৯ পৃষ্ঠা, ৩৯৫ পৃষ্ঠা ও ৩৯৬ পৃষ্ঠা)
কন্তিু ডাক্তার জাকরি নায়কে বলনেÑ“এক সঙ্গে তনিতালাক দলি,ে তাতে এক তালাক হব।ে”
(দ্রষ্টব্য : যঃঃঢ়://তধশরৎ ঘধরশ - ছঁবংঃরড়হং ধহফ অহংবৎিং (টৎফঁ) (৭থ২৬)
যঃঃঢ়://৩ ঞঅখঅছ নু তঅকওজ ঘঅওক)
এভাবে ডাক্তার জাকরি নায়কে একসঙ্গে তনি তালাক দয়োর পর সইে মহলিা ও পুরুষকে হালালাহ ছাড়াই মলিয়িে দয়োর ব্যবস্থা করে আজীবন তাদরে যনিা-ব্যভচিাররে বন্দোবস্ত করছেনে। এতে তাদরে সন্তান হলে তা হারামরে সন্তান হবে এবং এমনি করে তাদরে যত বংশ বস্তিার হব,ে সবার হারামরে সাথে যোগসূত্র হবে (নাউযুবল্লিাহ)।
তারাবীহ ও তাহাজ্জুদ একই নামায এবং তা ৮ রাক‘আত বলে বভ্রিান্তি সৃষ্টশিরীয়তরে হুকুম হচ্ছÑেমাহে রামাজানরে তারাবীহ্র নামায তাহাজ্জুদ থকেে আলাদা একটি ভন্নি নামায। তাহাজ্জুদ নামায রামাজানে ও রামাজানরে বাইরে ৮ রাক‘আত পড়া যায়, কন্তিু মাহে রামাজানরে তারাবীহ নামায ২০ রাকআতই নর্ধিারতি। রাসূলুল্লাহ (সা.) ২০ রাক‘আত তারাবীহ পড়ছেনে বলে হাদীস শরীফে র্বণতি হয়ছেে এবং ২০ রাক‘আত তারাবীহ নামায-এর ব্যাপারে সাহাবায়ে করিামরে ইজমা হয়ছে।ে
(হাওয়ালা : আবু দাউদ, ১ম খন্ড, ২০২ পৃষ্ঠা/ বাইহাকী, ২য় খন্ড, ৪৯৬ পৃষ্ঠা/ তাবরানী-মু‘জামে কাবীর, ১১ খন্ড, ৩৯৩ পৃষ্ঠা / মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবাহ্, ২য় খন্ড, ২৯৪ পৃষ্ঠা)
কন্তিু ডাক্তার জাকরি নায়কে তাহাজ্জুদ ও তারাবীহ একই নামায বলে উল্লখে করে বলনেÑ“ইসলামী শরীয়তে কয়িামুল লাইল বলতে এমন ঐচ্ছকি নামাযকে বুঝানো হয়Ñযা ইশার পর হতে ফজররে আগ র্পযন্ত যে কোন সময়ে পড়া হয়। এই কয়িামুল লাইল-এর আরো নাম হচ্ছে রাত্রকিালীন নামায, তাহাজ্জুদ, বতির এবং তারাবীহ।”
এরপর তারাবীহরে রাক‘আত সর্ম্পকে তনিি তাহাজ্জুদ হসিবেে ৮ রাক‘আত পড়ার কথা বলছেনে। তারপর ১১, ১৩, ১৯, ২৩, ২৯, ২০ ও ৩৬ রাক‘আতরে কথাও উল্লখে করে ধু¤্রজাল সৃষ্টি করে বলনেÑ“তারাবীহ নামায যত খুশী তত আদায় করা যাব।ে”(দ্রষ্টব্য : ডা. জাকরি নায়কে লকেচার সমগ্র, ভলয়িাম নং ৫, পৃষ্ঠা নং ২৩৯, ২৪২, ২৪৭, ২৫১)ডাক্তার জাকরি নায়কেরে এ সংক্রান্ত বক্তব্যরে লাইভ ডকুমন্টে ইন্টারনটেে ইউটউিবে পাওয়া যায় ন¤িœোক্ত নামÑে
যঃঃঢ়://ওং জধসধফযধহ ঞধৎধববিয ৮ ড়ৎ ২০ জধশধঃ নু উৎ তধশরৎ ঘধরশ
ফজররে আযানরে পরও সাহরী খাওয়া যাবে বলে বভ্রিান্তি সৃষ্টি
পবত্রি কুরআন ও হাদীসে সাহরীর শষে সময় সুবহে সাদকি বলে উল্লখে করা হয়ছে।ে সুবহে সাদকিরে র্পূবইে সাহরী খাওয়া শষে করতে হব।ে সুবহে সাদকি হওয়ার পর কছিু খলেে রোযা হবে না।
যহেতেু সাধারণত ফজররে আযান দয়ো হয় সুবহে সাদকি হওয়ার পর, তাই ফজররে আযানরে সময় সাহরী খলেে কছিুতইে রোযা হবে না। এমতাবস্থায় সইে রোযা নষ্ট হয়ে যাব।ে
(হাওয়ালা : আল-কুরআন, সূরাহ বাক্বারা, আয়াত : ৮৭)
কন্তিু ডাক্তার জাকরি নায়কে বলনেÑ
“ফজররে আযান শুরু হল,ে এক্ষত্রেে কছিুটা ছাড় রয়ছেে য,ে হাতে যে খাবার রয়ছে,ে তা শষে করার সুযোগ রয়ছে।ে হতে পারে তা ১ গ্লাস পানি বা পাত্ররে বাকি অল্প খাবার।”
(দ্রষ্টব্য : ডা. জাকরি নায়কে লকেচার সমগ্র, ভলয়িাম নং ৩, পৃষ্ঠা নং ৩২৪)
নাউযুবল্লিাহ! এভাবে ডাক্তার জাকরি নায়কে মুসলমানদরে রোযা নষ্ট করার ব্যবস্থা করছেনে।
বাধ্যতা, ভুল করে কংিবা অজ্ঞতার কারণে রোযা ভাঙ্গবে না বলে বভ্রিান্তি সৃষ্টি
ইসলামরে হুকুম হচ্ছÑেযদি কউে এ কথা মনে করে সাহরী খায় য,ে সুবহে সাদকি হয়ন,ি কন্তিু বাস্তবে সুবহে সাদকি হয়ে গছে,ে তাহলে তার রোযা ভঙ্গেে যাব।ে তমেনভিাবে যদি কউে না জানে য,ে এ কাজ দ্বারা রোযা ভঙ্গ হয়, অতঃপর সইে কাজটি কর,ে তাহলওে রোযা ভঙ্গেে যাব।ে
(হাওয়ালা : আল-কুরআন, সূরাহ বাক্বারা, আয়াত : ১৮৭)
কন্তিু ডাক্তার জাকরি নায়কে বলনেÑ“যদি খাওয়া, পান করা, সহবাস ইত্যাদি করতে কউে বাধ্য করে কংিবা এগুলো ভুল করে করা হয়, যমেনÑকউে সাহরী খাওয়া শুরু করলো এবং ভাবলো, সুবহে সাদকি এখনো হয়ন,ি কন্তিু আসলে সুবহে সাদকি হয়ে গয়িছে,ে তাহলে তার রোযা ভাঙ্গবে না। তমেনি কউে যদি অজ্ঞতার কারণে কছিু কর,ে যমেনÑজানে না য,ে ইচ্ছাকৃত বমি করলে রোযা ভঙ্গ হয়ে যায়, ফলে সে গলায় আঙ্গুল দয়িে বমি করÑেএতে রোযা ভাঙ্গবে না।
(দ্রষ্টব্য : ডা. জাকরি নায়কে লকেচার সমগ্র, ভলয়িাম নং ৩, পৃষ্ঠা নং ৩৪৫)
নামাযরে নয়িমে ভন্নিমতরে দ্বারা বভ্রিান্তি সৃষ্টি
এ উপমহাদশেে সাধারণত মুসলমানগণ যভোবে নামায পড়নে য,ে পুরুষগণ নাভীর নীচে এবং মহলিাগণ বুকরে উপর হাত বাঁধনে, আর রুকু, সজিদা, বঠৈক ইত্যাদওি পুরুষ ও মহলিাগণ যার জন্য প্রযোজ্য মাসআলা অনুযায়ী আলাদা নয়িমে আদায় করনে, আর সকলে শুধু নামাযরে শুরুতে তাকবীরে তাহরীমার সময় রাফউল ইয়াদাঈন করনে, রুকূতে যতেে এবং রুকূ থকেে উঠে রাফউল ইয়াদাঈন করনে না, তমেনি জামা‘আতরে নামাযে সূরাহ ফাতহিার পর সবাই আস্তে আমীন বলনে, আমীন জোরে বলনে না। এ মাসআলাগুলো নর্ভিরযোগ্য হাদীস দ্বারা প্রমাণতি এবং ইসলামী শরীয়তরে পালনীয় আমল হসিবেে সুপ্রতষ্ঠিতি।
(হাওয়ালা : সূনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ৮০/ সুনানে আহমদ, ৫ম খ-, ২২৭ পৃষ্ঠা/ তাবরানী, ২২ খ-, ২৭২ পৃষ্ঠা/ বাইহাকী, ২য় খ-, ২২২ পৃষ্ঠা/ মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, ৩য় খ-, ১৩৮ পৃষ্ঠা/ মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, ২য় খ-, ৩০৮ পৃষ্ঠা/ আল-মু‘আল্লা, ২য় খ-, ২৯৫ পৃষ্ঠা/ আছারুস সুনান, ১ম খ-, ৯৪ পৃষ্ঠা, তাহাবী, ১ম খ-, ১৬৪ পৃষ্ঠা)
কন্তিু ডাক্তার জাকরি নায়কে এখানকার মুসলমানদরে এ ঐক্যবদ্ধ আমলরে মধ্যে উদ্দশ্যেপ্রণোদতিভাবে ভন্নিমত প্রচার করে বভ্রিান্তরি সৃষ্টি করে চলছেনে। তনিি পুরুষ ও মহলিাদরেকে একই নয়িমে নামায পড়তে বলনে, পুরুষদরেকে বুকরে ওপরে হাত বাঁধতে বলনে এবং রুকূতে যতেে ও রুকূ থকেে উঠতে সবাইকে রাফউল ইয়াদাইন করতে বলনে। এছাড়াও তনিি জামা‘আতে সূরাহ ফাতহিার পর ইমাম-মুক্তাদী সকলকে জোরে আমীন বলতে বলনে। এভাবে তনিি আরো অনকে ব্যতক্রিম নয়িম র্বণনা করনে আর বলনেÑতার র্বণনানুযায়ী নয়িমই নামাযরে একমাত্র নয়িম, নামাযরে অন্যকোন নয়িম নইে।
(দ্রষ্টব্য : ডা, জাকরি নায়কে লকেচার সমগ্র, ভলয়িাম নং ২, পৃষ্ঠা নং ৪৪Ñ৪৫ ও ৪৮/ ভলয়িাম নং ৫, পৃষ্ঠা নং ৮৪Ñ৮৫)
নামাযরে এ সকল ব্যাপারে ডাক্তার জাকরি নায়কেরে বক্তব্যরে লাইভ স্ক্রীপ্ট ইন্টারনটেে ন¤িœর্বণতি এড্রসেে পাওয়া যায়Ñযঃঃঢ়://ঐড়ি ঃড় ঢ়ৎধু (ঘরসধু শধ ঞধৎববশধ)- উৎ তধশরৎ ঘরধশযঃঃঢ়://যবিৎব ঃড় শববঢ় যধহফং ফঁৎরহম ংধষধয নু উৎ.তধশরৎ ঘধরশ
যঃঃঢ়://উৎ তধশরৎ ঘধরশ. ড়হ জধভধ ণধফধরহ
যঃঃঢ়://উৎ.তধশরৎ ঘধরশ উড়রহম ঝঁহহধয ড়ভ জধভধ অষ-ণধফধরহ
(জধরংরহম যধহফং ঁঢ়ঃড় ংযড়ঁষফবৎং ফঁৎরহম ঢ়ৎধুবৎ)
যঃঃঢ়://রং ঃযবৎব ফরভভৎবহপব নবঃববিহ সধহ ড়ৎ ড়সিবহ ংধষধয)
মুসাফরিরে জন্য দুই ওয়াক্তরে নামায একসাথে পড়া যাবে বলে বভ্রিান্তি সৃষ্টি
ইসলামরে বধিান মত,ে প্রত্যকে নামাযরে নর্দিষ্টি ওয়াক্ত রয়ছে।ে কোনভাবইে নামাযকে তার ওয়াক্তরে র্পূবে পড়া যায় না বা পড়লে আদায় হবে না। যমেনÑজোহররে ওয়াক্তে জোহররে নামায পড়ে গাড়ীতে চড়ার সময় মনে হলÑআসররে নামায গাড়ীতে পড়তে অসুবধিা হব,ে তাই এখন জোহররে ওয়াক্তইে তা পড়ে নইি। তা কখনো সমীচীন হবে না এবং তখন তা পড়লে আদায় হবে না। বরং আসররে ওয়াক্ত হওয়ার পর আসররে নামায পড়তে হব।ে
(হাওয়ালা : আল-কুরআন, সূরাহ নসিা, আয়াত : ১০৩/ সহীহ মুসলমি, ১ম খ-, ২৩৯ পৃষ্ঠা/ বাইহাকী, ১ম খ-, ১৬৯ পৃষ্ঠা)
কন্তিু ডাক্তার জাকরি নায়কে এর বরিোধতিা করে বলনেÑ
“সফরে গয়িে দুই ওয়াক্তরে নামায একসাথে পড়া যায়। যমেনÑজোহর ও আসররে নামায এবং মাগরবি ও ইশার নামায এক সাথে পড়তে পারনে।”
(দ্রষ্টব্য : ডাক্তার জাকরি নায়কে লকেচার সমগ্র, ভলয়িাম নং ২, পৃষ্ঠা নং ৪৩)
জুমু‘আর খুতবাহ যকেোন ভাষায় দয়ো যায় বলে বভ্রিান্তি সৃষ্টইিসলামরে হুকুম অনুযায়ী, জুমু‘আর নামাযরে খুতবাহ নামাযরে মতোই হুকুম রাখ।ে তাই এ খুতবাহ নামাযরে ন্যায় আরবীতইে প্রদান করা আবশ্যক।
(হাওয়ালা : মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, ২য় খ-, ২৪ পৃষ্ঠ্/া মুসাফ্ফা, ১ম খ-, ১৫৪ পৃষ্ঠা)
কন্তিু ডাক্তার জাকরি নায়কে বলনেÑ“জুমু‘আর খুতবাহ আরবীতে হওয়া জরুরী নয়। যে কোন ভাষায় জুমু‘আর খুতবাহ দয়ো যায়।”
(দ্রষ্টব্য : ডাক্তার জাকরি নায়কে লকেচার সমগ্র, ভলয়িাম নং ২, পৃষ্ঠা নং ৪২)
এ সর্ম্পকে ডাক্তার জাকরি নায়কেরে লাইভ ডকুমন্টে ইন্টারনটেে এ ঠকিানায় পাওয়া যায়Ñ
যঃঃঢ়://[নবহমধষর] ঝধষধয - চৎড়মৎধসসরহম ঞড়ধৎিফং জরমযঃবড়ঁংহবংং (ঢ়ধৎঃ ৯থ১১)
ঈদরে নামাযরে অতরিক্তি তাকবীরে ভন্নিমতরে দ্বারা বভ্রিান্তি সৃষ্টসিাধারণত এ উপমহাদশেরে মুসলমানগণ ঈদরে নামায অতরিক্তি ৬ তাকবীররে সাথে (প্রত্যকে রাক‘আতে অতরিক্তি তনি তাকবীর কর)ে আদায় করে থাকনে। আর এটা নর্ভিরযোগ্য হাদীসরে দলীল দ্বারা সুপ্রমাণতি।
(হাওয়ালা : সুনানে ্আবু দাউদ, ১ম খ-, ১৬৩ পৃষ্ঠা/ মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, ২য় খ-, ৭৯ পৃষ্ঠা)
কন্তিু ডাক্তার জাকরি নায়কে ভন্নিমত পোষণ করে বলনেÑ“ঈদরে নামাযে অতরিক্তি ১২ তাকবীর দতিে হব,ে প্রথম রাক‘আতে ৭ তাকবীর ও ২য় রাক‘আতে ৫ তাকবীর।”
(দ্রষ্টব্য : ডাক্তার জাকরি নায়কে লকেচার সমগ্র, ভলয়িাম নং ৫, পৃষ্ঠা নং ৪৭৫)
অধকিন্তু ডাক্তার জাকরি নায়কে তার র্বণনাকৃত নামাযরে পদ্ধতকিইে একমাত্র পদ্ধতি বলনে। অথচ হাদীস শরীফে এ জাতীয় কছিু ব্যাপারে একাধকি নয়িমরে র্বণনা রয়ছে।ে এ কারণে সাহাবায়ে করিাম (রা.) থকেে নয়িে র্সবযুগইে মতভন্নিতার ভত্তিতিে সবগুলো নয়িমই পালতি হয়ে এসছেÑেযে কারণে চার মাযহাবরে উদ্ভব হয়ছে।ে তাই এর শুধু কোন একটাকে সহীহ বলা আর অন্যসব পদ্ধতকিে বাতলি বলার অবকাশ নইে। (আল-ইসত‘িআব, আল-আদল্লিাতু ‘আলাল মাযাহবিলি আরবা‘আহ প্রভৃতি দ্রষ্টব্য)ঈদরে নামায পড়লে জুমু‘আর নামায পড়া লাগবে না বলে বভ্রিান্তি সৃষ্টইিসলামরে বধিান হলÑপাঁচওয়াক্ত নামায ও জুমু‘আর নামায অপরহর্িায ফরজ হুকুম। অন্যকোন আমলরে দ্বারা এগুলোর হুকুম শথিলি হয় না। তাই জুমু‘আর দনি ঈদ হল,ে ঈদরে নামায পড়লওে জুমু‘আর নামায অবশ্যই পড়তে হব।ে
(হাওয়ালা : সুনানে আবু দাউদ, সালাতুল জুমু‘আ অধ্যায়/দারে কুতনী, ৩৩৫ পৃষ্ঠা/ নাইলুল আওতার, ৩য় খ-, ২২৪ পৃষ্ঠা)
অথচ ডাক্তার জাকরি নায়কে বলনেÑ“জুমু‘আর দনি আগে ঈদরে নামায আদায় করল,ে জুমু‘আর নামায আদায় করা না করা ঐচ্ছকি ব্যাপার। সদেনি জুমু‘আর নামায আদায় না করলে অসুবধিা নইে।”
(দ্রষ্টব্য : ডাক্তার জাকরি নায়কে লকেচার সমগ্র, ভলয়িাম নং ৫, পৃষ্ঠা নং ৪৭৬)
শরীয়াতরে অন্যান্য ব্যাপারে ডাক্তার জাকরি নায়কেরে ভ্রান্তি
শরীয়তরে অন্যান্য বহু ব্যাপারওে ডাক্তার জাকরি নায়কে ভন্নিমত প্রকাশ করে বভ্রিান্তি ছড়য়িছেনে। ন¤িœে এর উল্লখেযোগ্য কয়কেটি বষিয় তুলে ধরা হলÑ
র্পদায় মহলিাদরে চহোরা ঢাকতে হবে না বলে বভ্রিান্তি সৃষ্টি
ইসলামরে হুকুম হলÑমহলিাদরে সমস্ত শরীর র্পদার অর্ন্তভূক্ত। তমেনি তাদরে চহোরাও র্পদার হুকুমরে মধ্যে গণ্য। এ জন্য হজিাব বা নকিাব দ্বারা তাদরে চহোরা ঢকেে র্পদা করতে হব।ে
(হাওয়ালা : আল-কুরআন, সূরাহ আহযাব, আয়াত : ৫৩ ও ৫৯/ সহীহ বুখারী, ২য় খ-, ৭৬৪ পৃষ্ঠা)
কন্তিু ডাক্তার জাকরি নায়কে বলনেÑ“মহলিাদরে চহোরা ঢকেে রাখা আবশ্যকীয় নয়। তাদরে মুখে নকোব দয়ো ফরজ নয়।
(দ্রষ্টব্য : ডাক্তার জাকরি নায়কে লকেচার সমগ্র, ভলয়িাম নং ১, পৃষ্ঠা নং ১৪, ১৭৫, ৩৬৬, ৪৪৮/ ভলয়িাম নং ৫, পৃষ্ঠা নং ১৬৯ প্রভৃত)ি
এ বষিয়ে ডাক্তার জাকরি নায়কেরে লাইভ বক্তব্য ইন্টারনটেে ন¤িœ ঠকিানায় রয়ছেÑে
যঃঃঢ়://ুধশরৎ হধরশ-ভধপব ধহফ যধহফং ভড়ৎ ড়সিবহ পড়াবৎরহম রং ভধৎধু ড়ৎ হড়ঃ-ষবধংব পধৎ ভৎড়স নধহশ
যঃঃঢ়://তধশরৎ ঘধরশ - ছঁবংঃরড়হং ধহফ অহংবৎিং (টৎফঁ) (১৪থ২৬)
র্শাট-প্যান্ট, র্কোট-স্যুট সবই নামাযরে উত্তম পোষাক বলে বভ্রিান্তি সৃষ্টি
ইসলামরে বধিান অনুযায়ী, নামাযরে জন্য সবচয়েে উপযুক্ত পোষাক হচ্ছে তা-ই যা পরহযেগারীর পোষাক, যে পোষাকে মুসলমানদরে স্বান্ত্রত্য প্রকাশ পায় এবং যাতে ইয়াহুদী, খৃষ্টান, হন্দিু বা অন্যকোন বর্ধিমীদরে সাথে সাদৃশ্য না হয়। এক্ষত্রেে নামায পড়তে পুরুষদরে জন্য র্শাট-প্যান্ট কখনো সুন্নতী জামা-লবোস পাঞ্জাবীর সমান হতে পারে না।
(হাওয়ালা : আল-কুরআন, সূরাহ আ‘রাফ, আয়াত : ২৬/ সহীহ বুখারী, ২য় খ-, ৮৬১ পৃষ্ঠা/ আবু দাউদ, ২য় খ-, ৫৫৮ পৃষ্ঠা/ মরিকাত, ৮ম খ-, ২৫৫ পৃষ্ঠা)
কন্তিু ডাক্তার জাকরি নায়কে ‘নামাযরে ক্ষত্রেে উত্তম পোষাক কী’Ñএ প্রশ্নরে উত্তরে বলনেÑ“নামায আদায়রে জন্য সবচয়েে গ্রহণযোগ্য পোষাক হসিবেে সতররে ন্যূনতম চাহদিা পূরণ করে র্শাট-প্যান্ট, র্কোট-টাই যে কোন কছিু পরতে পারনেÑযটো পরে আরাম পান।”
(দ্রষ্টব্য : ডাক্তার জাকরি নায়কে লকেচার সমগ্র, ভলয়িাম নং ২, পৃষ্ঠা নং ৫৪)
এ র্পযন্ত ডাক্তার জাকরি নায়কেরে ভ্রান্ত মতবাদ ও গোমরাহী সর্ম্পকে বস্তিারতি আলোচনা করা হল। এমনি করে তার লকেচারে আরো বহু বষিয়ে বভ্রিান্তকির মতধারা রয়ছে,ে যগেুলো উল্লখে করল,ে এর আরো কয়কেগুণ হব।ে মানুষকে তার গোমরাহী থকেে সর্তক করার জন্য এ বষিয়গুলো মাসকি আর্দশ নারীতে সবস্তিারে ধারাবাহকিভাবে প্রকাশ করা হচ্ছ।ে
যহেতেু ডাক্তার জাকরি নায়কেরে ভ্রান্ত মতবাদগুলো মুসলমানদরে মধ্যে গোমরাহীর সৃষ্টি করে চলছে,ে এ জন্য তার লকেচার, সডিি ও বই থকেে মুসলমানদরে দূরে থাকা র্কতব্য। আর এখানে ‘ডাক্তার জাকরি নায়কেরে লকেচার সমগ্র’ নামে তার যে লকেচার পুস্তকরে রফোরন্সে দয়ো হয়ছে,ে এটা ডাক্তার জাকরি নায়কেরে অনুমতক্রিমে তার লকেচারগুলো বাংলায় অনুবাদ করে পসি পাবলকিশেন্স, ৩৮/৩, বাংলাবাজার, ঢাকা থকেে প্রকাশ করে এদশেে ছড়য়িে দয়ো হয়ছে।ে ডাক্তার জাকরি নায়কেরে এ লকেচার পুস্তকগুলো কোন মুসলমানরে ঘরে থাকা উচতি হবে না। অন্যথায় তা পরবিার ও সমাজে বংশপরস্পরায় গোমরাহীর সৃষ্টি করে যাব।ে এ রফোরন্সেগুলো যাচাইয়রে জন্য প্রয়োজনে লাইব্ররেীতে গয়িে দখেে আসতে পারনে। কন্তিু এগুলো কনিে এনে ঘরে রাখা বা পড়া সাধারণ লোকদরে জন্য বধিয়ে হবে না।
সইে সাথে উল্লখ্যে য,ে ডাক্তার জাকরি নায়কেরে বক্তব্য বা সংশ্লষ্টি বষিয়রে যে লাইভ কপরি রফোরন্সে দয়ো হয়ছে,ে সগেুলো শুধু শুনে যাচাই করার জন্য দয়ো হয়ছে,ে তার ভডিওি দখোর জন্য নয়। কনেনা, ভডিওি বা টভিি দখো ইসলাসসম্মত নয়। তাই ওয়বেসাইটরে সইে স্ক্রপ্টিে গয়িে স্কীন র্পদাবৃত করে শুধু অডওি শুনে তা যাচাই করার অনুরোধ রইল।
বশ্বিরে উলামা-মাশায়খি ও দ্বীনী প্রতষ্ঠিানরে পক্ষ থকেে ডাক্তার জাকরি নায়কেরে গোমরাহী সর্ম্পকে হুঁশয়িারী
ডাক্তার জাকরি নায়কে ইসলাম প্রচাররে নামে উল্লখিতি ঈমানধ্বংসী ও বভ্রিান্তকির মতবাদ প্রচার করার কারণে মুসলমানদরে দ্বীন ও ঈমান হুমকরি সম্মূখীন হওয়ায় সহীহ দ্বীন ও ঈমান রক্ষার তাগদিে চর্তুদকি থকেে দ্বীনরে ধারক-বাহক উলামা-মাশায়খি ও ইসলামী স্কলারগণ তার সর্ম্পকে প্রতবিাদ করছেনে এবং মুসলমি জনসাধারণকে তার ভ্রষ্টতা সর্ম্পকে হুঁশয়িার করছেনে। তমেনভিাবে মুসলমি জনগণকে ডাক্তার জাকরি নায়কেরে গোমরাহী সর্ম্পকে সর্তক করে ইল্মে দ্বীনরে প্রাণকন্দ্রে প্রতষ্ঠিানগুলো থকেে ফাতওয়া প্রকাশ করা হয়।
এখানে প্রথমে উক্ত দ্বীনী প্রতষ্ঠিানসমূহরে সর্তকবাণী এবং পরে উলামা-মাশায়খিগণরে হুঁশয়িারী সর্ম্পকে উল্লখেযোগ্য কছিু উদ্ধৃতি পশে করা হলোÑ
ডাক্তার জাকরি নায়কে সর্ম্পকে বশ্বিবখ্যিাত দ্বীনী প্রতষ্ঠিানসমূহরে ফাতওয়া
দারুল উলুম দওবেন্দরে ফাতওয়া বশ্বিবখ্যিাত দ্বীনী শক্ষিা প্রতষ্ঠিান দারুল উলূম দওেবন্দ মাদরাসার ফাতওয়া বভিাগরে পক্ষ থকেে ডাক্তার জাকরি নায়কে সর্ম্পকে ন¤িœোক্ত ফাতওয়া প্রদান করা হয়ছেÑে
“এই ব্যক্তি নজিে পথভ্রষ্ট এবং অপরকে পথভ্রষ্টকারী। লকেচার পদ্ধততিে আধুনকি প্রচার মাধ্যম গ্রহণ করে যে কাজ তনিি চালয়িে যাচ্ছনে, তার সারাংশ হলÑ(ক) গোটা উম্মতকে হযরত আয়ম্মিায়ে মুজতাহদিীন ও ইসলামরে প্রসদ্ধি চার ইমাম (রহ.)-এর অনুসরণ থকেে বরে করে লা-মাজহাবী বানানো। (খ) দ্বীনরে বজ্ঞি উলামায়ে করিামরে প্রতি সাধারণ মুসলমানদরে যে আস্থা ও নর্ভিরতা রয়ছে,ে তা উঠয়িে দয়ো এবং এ আস্থা ও নর্ভিরতাকে কলঙ্কতি করতে যত রকমরে কলাকৌশল ও অস্ত্র ব্যবহার করা যায়, তা ব্যবহার করা। (গ) ফাসকি বদ্বেীনদরে চাল-চলন ও বশে-ভূষার প্রতি সাধারণ মুসলমানদরে অন্তরে যে ঘৃণা রয়ছে,ে তা উপড়ে ফলো। (ঘ) ইসলামী শরীয়তরে আহকাম ও আকায়দি-ইবাদতরে তাহকীক-বশ্লিষেণ এবং আমল করার ব্যাপারে সাধারণ মুসলমানগণ যে বজ্ঞি আলমে-উলামাগণরে সাথে জুড়ে আছনে, তাদরে সইে সর্ম্পককে আলমেগণ থকেে ছন্নি করে তার নজিরে ও তার কম্পাউন্ডরে স্কলারদরে সাথে জুড়ে দয়ো ইত্যাদ।ি...তাই মুসলমানদরে তার ফতিনা থকেে দূরে থাকা র্কতব্য।”
Ñফাতওয়া বভিাগ, দারুল উলুম দওেবন্দ, ফাতওয়া নং ৩১৩৯২, ফাতওয়া প্রদানরে তারখি : ১০ এপ্রলিÑ২০১১ ইং।
উক্ত ফাতওয়া দারুল উলূম দওেবন্দ-এর নজিস্ব ওয়বেসাইটে রয়ছে।ে তার মূল ডকুমন্টে দখেতে র্সাচ করুনÑযঃঃঢ়://ফধৎঁষরভঃধ-ফবড়নধহফ.ড়ৎমউল্লখিতি সাইটে প্রবশে করে র্উদূ ফাতওয়ার অপসনে গয়িে সলেক্টে করল,ে র্উদূ ফাতওয়ার মূল ডকুমন্টেটি পাবনে। র্উদূ ফাতওয়ার অপসনে জাকরি নায়কে সর্ম্পকে সর্তক করে আরো দু’টি ফাতওয়া রয়ছেে (ফাতওয়া নং ২৯৪২ ও ৬৭৩৭)।
এ ছাড়াও দারুল উলূম দওেবন্দরে ইংরজেী র্ভাসনরে ফাতওয়ায়ও ডাক্তার জাকরি নায়কে সর্ম্পকে সর্তক করে কয়কেটি ফাতওয়া দয়ো হয়ছেে (ফাতওয়া নং ১১০, ৯৪২১ ও ৭০৭৭)। সগেুলো দখেতে চাইলে ইন্টারনটেে র্সাচ করুনÑ
যঃঃঢ়://ফধৎঁষরভঃধ-ফবড়নধহফ.ড়ৎম/ারবভধিঃধ.ি
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ২:১০