আমি কোথায় পৌঁছালাম জানি না। কার ঘর, কোন দেশ? আকাশের কোন খণ্ড আমার মাথার উপরে হেসে ভেসে ছিল কে জানে? কেবল বুঝলাম পায়ের কাছে হাজার পাখির লাশ পড়ে আছে। অজস্র মৌমাছির পাখা খুলে ছড়িয়ে আছে দিগন্ত পর্যন্ত। গাছ, পাতা, ডাল পোড়া কত শত ছাই-কয়লার পাহাড় যে জমে গেছে সমস্ত জমিন জুড়ে! জানলাম এখানকার সমুদ্র জুড়ে কেবল রক্তরঙের কচুরি পানা। আর প্রত্যেক ছাইয়ের কণায়, কয়লার সমস্ত রঙে, রক্ত-কচুরির সকল পাতায় আমাদের নাম স্পষ্ট হরফে লেখা । সহস্র ভাষায় লেখা অজস্র নাম আমি ধীরে ধীরে পড়লাম।
বুঝলাম এই যুগে যত মানুষ বেঁচে আছি, যতজন মরে যাব,
মৃত্যুময় স্বর্গবাস হবে আমাদের।
সেখানে অন্যকে বহু বহু বার হত্যা করে,
নিজেরা বারবার মরে যাব।
রাধাহীন বৃন্দাবন হতে পারে!
ডাল ছাড়া ডালপুরি!
তবু মৃত্যু ছাড়া স্বর্গ আমরা চাইতে পারব না!
যেহেতু মরণ বেচে জন্মেছিলাম
বেঁচে ছিলাম লাশের গন্ধে
মরণ বিহীন স্বর্গ আমরা সইতে পারব না ।
পুনশ্চ:
সেই স্বর্গসমুদ্দুরে এমন এক নদী চাই
যার দুই কূলই চিরকাল অন্যকূল।